ষষ্ঠ শ্রেণি স্বাস্থ্য সুরক্ষা বাৎসরিক মূল্যায়ন অ্যাসাইনমেন্ট ও সমাধান ২০২৩

১৩ নভেম্বর ২০২৩ দ্বিতীয় সেশন থেকে ষষ্ঠ শ্রেণি স্বাস্থ্য সুরক্ষা বাৎসরিক মূল্যায়ন অ্যাসাইনমেন্ট শুরু হবে। পরবর্তী সেশন পরিচালিত হবে ১৬ তারিখ ২য় অংশে এবং চূড়ান্ত মূল্যায়ন উৎসব হবে ২৯ নভেম্বর ২০২৩। শিক্ষার্থী ও শিক্ষকের কার্যক্রম সুন্দরভাবে চালনা করার সুবিদার্থে এখানে ৬ষ্ঠ শ্রেণির স্বাস্থ্য সুরক্ষা বার্ষিক পরীক্ষার অ্যাসাইনমেন্ট ও সমাধান সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্যাদি শেয়ার করা হলো।

এখানে থাকবে ষষ্ঠ শ্রেণি স্বাস্থ্য সুরক্ষা বাৎসরিক মূল্যায়নের জন্য অ্যাসাইনমেন্টসমূহ, এবং কিভাবে কাজগুলো করতে হবে এবং কখন করতে হবে সেই সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় সব গাইডলাইন। আমাদের বার্ষিক মূল্যায়ন সেকশনে নতুন ক্যারিকুলাম এর আলোকে অনুষ্ঠিতব্য সকল শ্রেণির সকল বিষয়ের নিয়মাবলি ও প্রশ্ন শেয়ার করা আছে দেখে নিতে পারে।

পাঠ্যসূচী

ষষ্ঠ শ্রেণি স্বাস্থ্য সুরক্ষা বাৎসরিক মূল্যায়ন অ্যাসাইনমেন্ট

২০২৩ শিক্ষাবর্ষে ৬ষ্ঠ শ্রেণির স্বাস্থ্য সুরক্ষা পাঠ্য বইয়ের বাৎসরিক মূল্যায়ন বিষয়ে শিক্ষকদের জন্য প্রকাশিত নির্দেশনায় স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিষয়ের মূল্যায়ন সম্পন্ন করার জন্য তিনটি কার্যদিবস বরাদ্দ করা হয়েছে যার প্রতিটির জন্য সময় ৯০ মিনিট। নির্ধারিত পারদর্শিতার নির্দেশক অনুযায়ী এই তিন দিনেই (১ম, ২য় ও তৃতীয় মূল্যায়ন দিবসে) শিক্ষক শিক্ষার্থীদের অর্জিত যোগ্যতা যাচাই করবেন।

প্রাসঙ্গিক শিখন যোগ্যতাসমূহ: ষষ্ঠ শ্রেণি স্বাস্থ্য সুরক্ষা বাৎসরিক মূল্যায়ন অ্যাসাইনমেন্ট

৬.৩: নিজের ও অন্যের অনুভূতি অনুধাবন করে ও যত্নবান হয়ে ইতিবাচক প্রকাশ এবং সহমর্মী আচরণ করতে পারা।

৬.৪: নিজের সক্ষমতা, সামর্থ্য ও সম্ভাবনার যৌক্তিক বিশ্লেষণ করে অন্যের মূল্যায়নকে গ্রহণ ও বর্জনের সিদ্ধান্ত নিতে ও প্রকাশ করতে পারা।

৬.৫: পারিবারিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপটে বয়স উপযোগী বিভিন্ন পরিসরে অন্যের চিন্তা, অনুভূতি, আচরণ ও প্রয়োজন অনুধবিন করে সহমর্মীতার সাথে নিজের অনুভূতি, প্রয়োজন, মত ও ধারণা দৃঢ়ভাবে প্রকাশ করতে পারা।

৬.৬: পারস্পরিক সম্পর্কের প্রয়োজনীয়তা, সবলতা ও ঝুঁকি নির্ণয় করে প্রয়োজন এবং চাহিদা অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারা ও বিদ্যমান সেবা সহায়তা নিতে পারা।

বাৎসরিক মুল্যায়নের কাজ : ষষ্ঠ শ্রেণি স্বাস্থ্য সুরক্ষা

ষষ্ঠ শ্রেণি স্বাস্থ্য সুরক্ষা বাৎসরিক মূল্যায়ন অ্যাসাইনমেন্ট ও সমাধান ২০২৩
ষষ্ঠ শ্রেণি স্বাস্থ্য সুরক্ষা বাৎসরিক মূল্যায়ন অ্যাসাইনমেন্ট

প্রথম দিবস: (১০ মিনিট) : ষষ্ঠ শ্রেণি স্বাস্থ্য সুরক্ষা বাৎসরিক মূল্যায়ন অ্যাসাইনমেন্ট

প্রথম দিনে শিক্ষার্থীরা একটি প্রতিযোগিতামূলক কাবাডি/ফুটবল/মোড়গ লড়াই খেলায় অংশগ্রহণ করবে।

** যেসব বিদ্যালয়ে খেলার মাঠ নেই সেখানে হলরুম/বড় শ্রেণিকক্ষে খেলার কোর্ট এঁকে কম সংখ্যক খেলোয়াড়ের অংশগ্রহণে খেলা অনুষ্ঠিত হতে পারে।

** প্রতিবন্ধীতাসম্পন্ন শিক্ষার্থীরা অন্য সবার সাথে একইভাবে খেলায় অংশগ্রহণ করতে করবে। সে ক্ষেত্রে সবাই মিলে খেলার জন্য খেলার গতি কিছুটা কমিয়ে দিয়ে তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।

** প্রতিন্ধীতাসম্পন্ন শিক্ষার্থী থাকলে যে কোনো খেলার আয়োজন করা যেতে পারে যাতে শারীরিক কসরত ও উপভোগের এর সুযোগ থাকে।

প্রথম দিবস মূল্যায়নের জন্য প্রস্তুতি

১. মূল্যায়নের প্রথম দিনে খেলায় অংশগ্রহণের জন্য শিক্ষার্থীর সংখ্যা অনুপাতে দলে ভাগ করার জন্য একটি পরিকল্পনা করে রাখবেন।

২. কাবাডি/ফুটবল/মোড়গ লড়াই খেলার সরঞ্জামসহ প্রস্তুতি নিয়ে রাখবেন।

৩. আপনাকে সহযোগিতা করতে পারে এমন ১/২ জন শিক্ষককে আগে থেকে বলে রাখতে পারেন।

৪. যে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সহপাঠ শিক্ষা-কার্যক্রম (ছেলে ও মেয়ে শিক্ষার্থী একই সাথে পড়ে) চালু রয়েছে সেখানকার স্থানীয় সামাজিক পরিবেশের উপর ভিত্তি করে ছেলে ও মেয়েদের পৃথক দলের খেলা অনুষ্ঠিত হতে পারে।

৫. শ্রেণিতে কোন প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী থাকলে খেলায় তার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে প্রতিবন্ধীতার ধরণ অনুযায়ী উপরে উল্লেখিত খেলা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

৬. মনে রাখবেন, এখানে খেলার মূখ্য উদ্দেশ্য নিয়ম কানুন মেনে প্রতিযোগিতায় জেতা নয় বরং সবার অংশগ্রহণের ধরণ পর্যবেক্ষণ করা যাতে সংশ্লিষ্ট PI এর আলোকে শিক্ষার্থীদের পারদর্শিতার মূল্যায়ন করা যায়। এখানে খেলাকে উপভোগ্য পদ্ধতি হিসেবে ব্যবহার করে অন্য যোগ্যতাগুলোর পারদর্শিতার মাত্রা যাচাইয়ের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

৭. ষষ্ঠ শ্রেণি স্বাস্থ্য সুরক্ষা বাৎসরিক মূল্যায়ন অ্যাসাইনমেন্ট পারদর্শিতার নির্দেশক (PI) ও তার মাত্রাগুলো সম্পর্কে খুব ভালোভাবে বুঝে নেবেন।

৮. শিক্ষার্থীদের পারদর্শিতার রেকর্ড রাখার জন্য ডায়েরি বা ফরম্যাটের ফটোকপি প্রস্তুত রাখবেন।

প্রথম দিবসের মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নির্দেশনা:

১. কুশল বিনিময় করুন।

২. পরিকল্পনা অনুযায়ী মাঠে বা শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদেরকে দলে ভাগ করুন এবং খেলায় অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানান।

৩. খেলা চলাকালীন সময়ে আপনি শিক্ষার্থীদের সংশ্লিষ্ট পারদর্শিতা ও মাত্রা পর্যবেক্ষণ করবেন।

৪. ডায়েরি বা ফরম্যাটে সূচক অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের পারদর্শিতার মাত্রা যাচাই করবেন এবং রেকর্ড লিখে রাখুন। 

৫. দ্বিতীয় দিনের মূল্যায়নে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানিয়ে শেষ করুন।

প্রথম দিবসে যা মূল্যায়ন করবেন:

খেলায় অংশগ্রহণের সময় স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিষয়ে অর্জন উপযোগী যোগ্যতা অর্থাৎ জ্ঞান, দক্ষতা, দৃষ্টিভঙ্গী ও মূল্যবোধের ব্যবহার কীভাবে করেছে আপনি তার মূল্যায়ন করবেন।

ষষ্ঠ শ্রেণি স্বাস্থ্য সুরক্ষা বাৎসরিক মূল্যায়ন অ্যাসাইনমেন্ট এই কার্যক্রমে অংশগ্রহণের সময় PI – ৬.৩.১, ৬.৪.১, ৬.৫.১, ৬.৫.২, ৬.৬.১ (পরিশিষ্ট-১) ফোকাস করে প্রমানক আচরণ পর্যবেক্ষণ করে শিক্ষার্থীদের পারদর্শিতার মাত্রা যাচাই করবেন ও রেকর্ড রাখবেন।

ষষ্ঠ শ্রেণি স্বাস্থ্য সুরক্ষা বাৎসরিক মূল্যায়ন অ্যাসাইনমেন্ট

দ্বিতীয় দিবস : (১০ মিনিট) : ষষ্ঠ শ্রেণি স্বাস্থ্য সুরক্ষা বাৎসরিক মূল্যায়ন অ্যাসাইনমেন্ট

মূল্যায়নের প্রথম দিনে তারা যে খেলায় অংশগ্রহণ করেছিল তা মনে করে নিম্নে উল্লেখিত বিষয়গুলো বিশ্লেষণ করে নিজেদের উপলব্ধি থেকে একটি প্রতিফলনমূলক প্রতিবেদন/পেপার তৈরি করবে।

১. সুস্বাস্থ্যে (শরীর ও মনে) কীভাবে প্রভাব ফেলে বলে মনে করছে;

২. অংশগ্রহণের আগে, খেলার সময়; 

৩. শেষে তার অভিজ্ঞতা কেমন লেগেছে,

৪. কোনো সমস্যা হয়েছে কি না, তার কারণ, সমস্যা হলে কী পদক্ষেপ নিয়েছে;

৫. কারও সহযোগিতা চেয়েছে কি না, অন্য কেউ সহযোগিতা করেছে কি না,

৬. অন্যের প্রতি তার নিজের ইতিবাচক ও নেতিবাচক কী কী আচরণ করেছে;

দ্বিতীয় দিবসের মূল্যায়নের জন্য প্রস্তুতি:

১. প্রতি শিক্ষার্থীকে সরবরাহ করার জন্য খাতার কাগজ প্রস্তুত রাখবেন

দ্বিতীয় দিবসের মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নির্দেশনা:

১. নিজেদের উপলব্ধির প্রতিফলন লেখার/তৈরির জন্য শিক্ষার্থীদেরকে একটি করে সাদা কাগজ সরবরাহ করুন এবং তাদেরকে নিজেদের নাম ও পরিচিতি নম্বর লিখতে বলুন।

২. এবার দ্বিতীয় দিনের কাজটি ভালোভাবে সময় নিয়ে (৫ মিনিট) বুঝিয়ে দিন এবং কাজটি ঠিকমত বুঝতে পেরেছে কি না তা জেনে নিন।

৩. তাদেরকে বলুন, তারা যেন নিজেদের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা ও উপলব্ধির আলোকে তাদের লেখাটি লেখে। নিজেদের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা ও উপলব্ধি থেকে লিখলে প্রত্যেকের লেখাই যে তার নিজের মতো হবে, অন্যদের সাথে মিলে যাবে না এ ব্যাপারে তাদেরকে বুঝিয়ে বলুন যাতে তারা ব্যক্তিগত প্রতিফলন পর্যবেক্ষণ ও তা লেখার ব্যাপারে উদ্যোগী হয়। 

৪. এরপর পর্যবেক্ষণ, পর্যালোচনা ও প্রতিফলন লেখার জন্য ৭৫ মিনিট (১.১৫ ঘন্টা) সময় দিন।

৫. লেখা শেষ হলে জমা নিয়ে নিন।

৬. তৃতীয় দিবসের পোষ্টার তৈরির জন্য শিক্ষার্থীরা বাড়ি থেকে যে উপকরণ নিয়ে আসবে তা বুঝিয়ে দিন।

[পোষ্টার তৈরির জন্য শিক্ষার্থীদেরকে বাড়ী থেকে একদিকে লেখা খাতার কাগজ ২/৩ টি এবং ব্যবহৃত ক্যালেন্ডারের পাতা/শপিং ব্যাগ/পুরোনো লেখা কাগজের ২ পাতা জোড়া দিয়ে/পুরোনো খবরের কাগজ নিয়ে আসতে বলবেন যা দিয়ে তারা নিজেদের মত করে সৃজনশীল উপায়ে পোষ্টার তৈরি করতে পারে। কী নিয়ে পোষ্টার তৈরি করবে সে বিষয়ে কিছু জানানোর প্রয়োজন নেই।

৭. তৃতীয় দিনের মূল্যায়নে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানিয়ে শেষ করুন।

দ্বিতীয় দিবসে যা মূল্যায়ন করবেন:

ষষ্ঠ শ্রেণি স্বাস্থ্য সুরক্ষা বাৎসরিক মূল্যায়ন অ্যাসাইনমেন্ট দ্বিতীয় দিবসের কাজের উপর ভিত্তি করে স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিষয়ে অর্জন উপযোগী যোগ্যতাগুলোর আলোকে শিক্ষার্থীর পারদর্শিতার মূল্যায়ন করবেন। এই কার্যক্রমে PI – ৬.৩.১, ৬.৪.১, ৬.৫.১, ৬.৫.২, ৬.৬.১ (পরিশিষ্ট-১) ফোকাস করে প্রমানক আচরণ পর্যবেক্ষণ করে শিক্ষার্থীদের পারদর্শিতার মাত্রা যাচাই করবেন ও রেকর্ড রাখবেন।

ষষ্ঠ শ্রেণি স্বাস্থ্য সুরক্ষা বাৎসরিক মূল্যায়ন অ্যাসাইনমেন্ট দ্বিতীয় দিবস

ষষ্ঠ শ্রেণি স্বাস্থ্য সুরক্ষা বাৎসরিক মূল্যায়ন অ্যাসাইনমেন্ট

তৃতীয় দিবস : ২-৩ ঘন্টা (মূল্যায়ন উৎসব)

কাজ ১: স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নিজের ও অন্যের প্রতি তার নিজের সক্রিয় ভূমিকার একটি চিত্র তুলে ধরে পোষ্টার প্রদর্শনী করবে।

(ছবি আঁকা, লেখা, ম্যাসেজ, স্লোগান অথবা নিজের পছন্দমতো যে কোনো উপায়ে এক দিকে লেখা ছোট ছোট কাগজে /ব্যবহৃত ক্যালেন্ডারের পাতায় / শপিং ব্যাগের কাগজে লিখতে পারে অথবা ছোট ছোট কাগজে লিখে পুরোনো লেখা কাগজে/পুরোনো খবরের কাগজে লাগিয়ে শিক্ষার্থীদেরকে পোষ্টার তৈরি করতে উৎসাহিত করবেন।)

কাজ ২: শিক্ষার্থীরা দলে ভাগ হয়ে একটি কাগজে প্রথমে সে নিজে এবং সবাই সবাইকে ১টি ইতিবাচক দিক/গুন লিখে দেবে। শেষ হলে দলে এই কার্যক্রমে তার অনুভুতি ও অভিজ্ঞতা শেয়ার করবে।

মূল্যায়নের উৎসবের জন্য প্রস্তুতি:

১. বড় সাইজের কাগজ ২ ভাগ করে কেটে শিক্ষার্থীর সমান সংখ্যক (প্রত্যেকের জন্য ১টি ভাগ) কাগজ প্রস্তুত রাখুন।

২. পোষ্টার তৈরির জন্য শিক্ষার্থীদেরকে বাড়ী থেকে একদিকে লেখা খাতার কাগজ ২/৩ টি এবং ব্যবহৃত ক্যালেন্ডারের পাতা/শপিং ব্যাগ/পুরোনো লেখা কাগজের ২ পাতা জোড়া দিয়ে/পুরোনো খবরের কাগজ নিয়ে আসতে বলবেন যা দিয়ে তারা নিজেদের মত করে সৃজনশীল উপায়ে পোষ্টার তৈরি করতে পারে।

“পোষ্টার তৈরির জন্য কোনো রঙিন পোষ্টার পেপার/আর্ট পেপার ব্যবহার করা যাবে না” বিষয়টি শিক্ষার্থীদের কাছে স্পষ্ট করবেন।

মূল্যায়ন উৎসবের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নির্দেশনা:

কাজ ১: ষষ্ঠ শ্রেণি স্বাস্থ্য সুরক্ষা বাৎসরিক মূল্যায়ন অ্যাসাইনমেন্ট

১. শিক্ষার্থীদেরকে বলুন, আজ তারা ২টি কাজ করবে। প্রথমটি হলো পোষ্টার তৈরি ও প্রদর্শন।

২. প্রথমে, দ্বিতীয় দিনে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সংক্রান্ত নিজেদের কাজের যে প্রতিফলন তারা করেছে তার উপর ভিত্তি করে এবার একটি পোষ্টার তৈরি করবে।

৩. নিজেদের প্রতিফলনের উপর ভিত্তি করে যে যে ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনা প্রয়োজন মনে করছে তার জন্য পোষ্টারে নিজের একটি পরিকল্পনা সংযুক্ত করবে।

৪. এবার তৃতীয় দিনের প্রথম কাজটি বুঝিয়ে দিন। পোষ্টার তৈরিতে ১ ঘন্টা সময় দিন।

৫. পোষ্টার তৈরি হয়ে গেলে দেয়ালে বা মেঝেতে প্রদর্শণের ব্যবস্থা করুন।

৬. সবার পোষ্টার দেখে নিজের পরিকল্পনায় কোনো পরিবর্তন আনতে চাইলে তার জন্য ৫ মিনিট সময় দিন।

কাজ ২:

১. এবার শিক্ষার্থীদেরকে ২য় কাজটিতে অংশগ্রহণের জন্য আহ্বান জানান।

২. শিক্ষার্থীদেরকে ৫/৬জনের দলে ভাগ করুন।

৩. এবার তাদেরকে একটি করে বড় সাইজের কাগজ ২ ভাগ করে কেটে নেওয়া কাগজের টুকরা সরবরাহ (প্রত্যেকের জন্য ১টি ভাগ) করুন।

৪. প্রত্যেককে নিজের কাগজটিতে নাম লিখে নিজের যে গুণটি তার সবচেয়ে ভালো লাগে তা লিখতে বলুন।

৫. এরপর নিজের গুণ লেখা কাগজটি ডানের সহপাঠীকে দিতে বলুন এবং সবাইকে উপরে যার নাম লেখা তার একটি গুণ লিখতে বলুন। এভাবে প্রত্যেকের কাগজে যেন প্রত্যেকের লেখা ১টি করে গুণ থাকে তা নিশ্চিত করুন।

৬. লেখা শেষ হলে দলের সদস্যদের মধ্যে অনুভূতি শেয়ার করতে বলুন।

৭. দলগত কাজ শেষ হলে পুরো মূল্যায়ন সেশনে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের জন্য ধন্যবাদ দিন।

৮.  শুভকামনা জানিয়ে শেষ করুন।

এই সেশনে যা মূল্যায়ন করবেন : ষষ্ঠ শ্রেণি স্বাস্থ্য সুরক্ষা বাৎসরিক মূল্যায়ন অ্যাসাইনমেন্ট

শিক্ষার্থীদের নিজেদের ও অন্যদের অনুভূতি, পর্যবেক্ষণ ও মতামত ইতিবাচকভাবে প্রকাশ এবং গ্রহণের পারদর্শিতা পর্যবেক্ষণ করে মূল্যায়ন করবেন। এই কার্যক্রমে PI – ৬.৩.১, ৬.৪.১, ৬.৫.১, ৬.৫.২, ৬.৬.১ (পরিশিষ্ট-১) ফোকাস করে প্রমানক আচরণ পর্যবেক্ষণ করে শিক্ষার্থীদের পারদর্শিতার মাত্রা যাচাই করবেন ও রেকর্ড রাখবেন।

মূল্যায়নের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ: ষষ্ঠ শ্রেণি স্বাস্থ্য সুরক্ষা বাৎসরিক মূল্যায়ন অ্যাসাইনমেন্ট

কোনো ধরনের উপকরণ না কিনে নিজেদের পরিবেশে পাওয়া যায় খরচ হয় না (No cost) বা খুব কম খরচে (Low cost ) পাওয়া যায় এমন উপকরণ ব্যবহার করবেন।

খেলার সরঞ্জাম, বড় সাইজের ও তার অর্ধেক সাইজের কাগজ, একদিকে লেখা কাগজ, লেখা কাগজ/পুরোনো ক্যালেন্ডারের পাতা/ শপিং ব্যাগ মাঝখানে কেটে তৈরি করা বড় কাগজ/পুরোনো খবরের কাগজ, পারদর্শিতার রেকর্ড রাখার ফরম্যাট;

অধ্যায়ন ডট কম এর সকল আপডেট সবার আগে পাওয়ার জন্য আমাদের ফেসবুক পেজটি লাইক এবং ফলো করে রাখুন, ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করে রাখুন এবং আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন।

ক্রমিকবিষয়ের নামঅ্যাসাইনমেন্ট শিরোনাম ও সম্ভব্য সমাধান
১.বাংলাসাহিত্য মেলা আয়োজন
২.ইংরেজি
৩.গণিত১. সংখ্যার কারিগর;
২. বনভোজনের কেনাকাটা;
৩. বস্তু পরিমাপ ও ঘনকের মডেল তৈরি;
৪.ডিজিটাল প্রযুক্তিসেমিনার – জরুরি পরিস্থিতিতে সংযুক্ত থাকি
৫.শিল্প ও সংস্কৃতিআজি বাংলাদেশের হৃদয় হতে প্রদর্শনী আয়োজন
৬.ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞানপ্রকৃতি ও সমাজের আন্তঃসম্পর্ক অনুসন্ধান
৭.স্বাস্থ্য সুরক্ষাস্বাস্থ্য সুরক্ষায় নিজের ও অন্যের প্রতি সক্রিয় ভূমিকার একটি চিত্র
৮.জীবন ও জীবিকা১. বিদ্যালয়ভিত্তিক সমস্যা খুঁজি ও সমাধানের প্রস্তুতি নিই;
২. আগামীর স্বপ্ন বুনি;
৩. ভবিষ্যত চক্র আঁকি ও সমস্যার সমাধান করি;
৯.ইসলাম শিক্ষানিজ প্রেক্ষাপট বা পরিবেশে দায়িত্বশীল আচরণ, অভিজ্ঞতা প্রকাশ ও ভূমিকাভিনয়
১০.বিজ্ঞানস্কুলে ও বাড়িতে ব্যবহৃত প্রযুক্তি, গঠণ ও কার্যাবলি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: এই কনটেন্ট কপি করা যাবেনা! অন্য কোনো উপায়ে কপি করা থেকে বিরত থাকুন!!!