অধ্যয়ন ডট কম এর প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা, তোমাদের জন্য আজ ষষ্ঠ শ্রেণি বিজ্ঞান বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন নির্দেশিকা (অ্যাসাইনমেন্ট ও সমাধান) ২০২৩ নিয়ে হাজির হয়েছি। পূর্ব নির্ধারিত সময়সূচী অনুযায়ী তোমাদের বিজ্ঞান বিষয়ের সামষ্টিক মূল্যায়ন বা বার্ষিক পরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হবে ০৯ নভেম্বর ২০২৩, ১৫ নভেম্বর ২০২৩ এবং চূড়ান্ত মূল্যায়ন হবে ২১ নভেম্বর ২০২৩;
ইতমধ্যেই এনটিআরসিএ ষষ্ঠ শ্রেণি বিজ্ঞান বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন নির্দেশিকা (অ্যাসাইনমেন্ট ও সমাধান) ২০২৩ মাউশি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রকাশ করেছে। তোমরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ষষ্ঠ শ্রেণি বিজ্ঞান বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন অ্যাসাইনমেন্ট পেয়ে যাবে।
বাৎসরিক মূল্যায়ন : বিজ্ঞান
প্রিয় শিক্ষক, আপনি ইতোমধ্যেই জানেন, নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী প্রতিটি বিষয়ের ক্ষেত্রে বছরে দুইটি সামষ্টিক মূল্যায়ন অনুষ্ঠিত রাখা হয়েছে, যার মধ্যে একটি ইতোমধ্যে বছরের শুরুর ছয় মাসের শিখন কার্যক্রমের উপর ভিত্তি করে পরিচালনা করা হয়েছে। এই নির্দেশিকায় বিজ্ঞান বিষয়ের বাৎসরিক মূল্যায়ন কীভাবে পরিচালনা করবেন সে বিষয়ে বিস্তারিত নির্দেশনা দেয়া আছে।
শিখনকালীন মূল্যায়ন এবং ষান্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়নের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের পারদর্শিতার উপর ভিত্তি করে আপনারা মূল্যায়ন করেছেন। ষান্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়নের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট একটি এসাইনমেন্ট বা কাজ শিক্ষার্থীদের সম্পন্ন করতে হয়েছে, বাৎসরিক মূল্যায়নের ক্ষেত্রেও অনুরূপ একটি নির্ধারিত কাজ/ এসাইনমেন্ট শিক্ষার্থীরা সমাধা করবে।
ষষ্ঠ শ্রেণি বিজ্ঞান বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন অ্যাসাইনমেন্ট কাজ চলাকালে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ, কাজের প্রক্রিয়া, ফলাফল, ইত্যাদি সবকিছুই মূল্যায়নের ক্ষেত্রে বিবেচিত হবে। মূল্যায়নের নির্ধারিত কাজ/এসাইনমেন্ট শুরু করে এই কার্যক্রম চলাকালে বিভিন্নভাবে আপনি শিক্ষার্থীকে সহায়তা দেবেন, তবে কাজের প্রক্রিয়া কী হবে বা সমস্যা সমাধান কীভাবে করতে হবে তা শিক্ষার্থীরাই নির্ধারণ করবে। কাজের বিভিন্ন ধাপে সংশ্লিষ্ট পারদর্শিতার নির্দেশকে আপনি শিক্ষার্থীর অর্জনের মাত্রা কীভাবে নিরূপণ করবেন, তার বিস্তারিত নির্দেশনা পরবর্তী অংশে দেয়া আছে।
আরও দেখুনঃ ছবি দেখে প্রশ্ন করি, পোস্টার দেখে বোঝার চেষ্টা করি, যুক্তি দিয়ে নিজের অবস্থান গ্রহণ করি
শিক্ষাবর্ষের শুরু থেকেই বিজ্ঞান বিষয়ের শিখনকালীন মূল্যায়ন চলমান আছে, যা শিখন অভিজ্ঞতাসমূহের বিভিন্ন ধাপে আপনারা পরিচালনা করছেন। এই মূল্যায়নের একটা বড় অংশ হলো শিক্ষার্থীদের নিয়মিত ফিডব্যাক প্রদান, যার মূল উদ্দেশ্য তাদের শিখনে সহায়তা দেয়া।
ষষ্ঠ শ্রেণি বিজ্ঞান বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন অ্যাসাইনমেন্ট চলমান মূল্যায়নের তথ্য শিক্ষার্থীর অনুশীলন বই, তাদের করা বিভিন্ন কাজের নমুনা যেমন: পোস্টার, মডেল, প্রশ্নপত্র, প্রতিবেদন ইত্যাদির মাধ্যমে সংরক্ষিত হয়েছে।
এর বাইরেও বছর জুড়ে প্রতিটি শিখন অভিজ্ঞতা শেষে নির্ধারিত পারদর্শিতার নির্দেশক ব্যবহার করে আপনারা শিখনকালীন মূল্যায়নের তথ্য রেকর্ড রেখেছেন। এছাড়া ষান্মাসিক মূল্যায়নের সময় নির্ধারিত কাজের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট পারদর্শিতার নির্দেশকের সাহায্যে আপনারা মূল্যায়নের তথ্য রেকর্ড করেছেন। পরবর্তীতে শিখনকালীন মূল্যায়নের PI ইনপুট এবং ষান্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়নের PI ইনপুট এর সমন্বয়ে আপনারা ট্রান্সক্রিপ্ট তৈরি করেছেন।
ষান্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়নের মতোই বাৎসরিক সামষ্টিক মূল্যায়নের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থী একটি নির্দিষ্ট এসাইনমেন্ট সম্পন্ন করবে এবং তার ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট পারদর্শিতার নির্দেশকসমূহ ব্যবহার করে তার মূল্যায়নের তথ্য রেকর্ড করতে হবে। ষষ্ঠ শ্রেণি বিজ্ঞান বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন অ্যাসাইনমেন্ট তথ্যের সাথে ষান্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়নের ট্রান্সক্রিপ্ট এবং বাকি শিখন অভিজ্ঞতাগুলোর শিখনকালীন মূল্যায়নের PI ইনপুট এর সমন্বয় করে শিক্ষার্থীর চূড়ান্ত ট্রান্সক্রিপ্ট ও রেকর্ড প্রস্তুত করতে হবে।

ষষ্ঠ শ্রেণি বিজ্ঞান বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন সাধারণ নির্দেশনা
শুরুতেই ষান্মাসিক মূল্যায়নের অভিজ্ঞতা মনে করিয়ে দিয়ে বিজ্ঞান বিষয়ের বাৎসরিক মূল্যায়ন কীভাবে পরিচালিত হবে তার নিয়মাবলি শিক্ষার্থীদের জানাবেন। এই মূল্যায়ন চলাকালে শিক্ষার্থীদের কাছে প্রত্যাশা কী সেটা যেন তারা স্পষ্টভাবে বুঝতে পারে।
ষষ্ঠ শ্রেণির মূল্যায়নের জন্য নির্ধারিত কাজটি ভালোভাবে বুঝে নিয়ে শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিন যাতে সবাই ধাপগুলো ঠিকভাবে অনুসরণ করতে পারে।
শিক্ষার্থীদের ষষ্ঠ শ্রেণি বিজ্ঞান বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন অ্যাসাইনমেন্ট জন্য প্রদত্ত কাজটি ধাপে ধাপে সম্পন্ন করতে সর্বমোট তিনটি সেশন বরাদ্দ করা হয়েছে। প্রথম দুইটি সেশনে ৯০ মিনিট করে, এবং শেষ সেশনে দুই ঘণ্টা (বা বিষয়ভিত্তিক নির্দেশনা অনুযায়ী) সময়ের মধ্যে নির্ধারিত কাজগুলো শেষ করবেন।
তবে শিক্ষার্থী সংখ্যা অনেক বেশি হলে শিক্ষক শেষ সেশনে কিছুটা বেশি সময় ব্যবহার করতে পারেন। বাৎসরিক সামষ্টিক মূল্যায়নের প্রদত্ত রুটিন অনুযায়ী সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করবেন।
শিক্ষার্থীরা বেশিরভাগ কাজ সেশন চলাকালেই করবে, বাড়িতে গিয়ে করার জন্য খুব বেশি কাজ না রাখা ভালো। মনে রাখতে হবে এই পুরো প্রক্রিয়া যাতে শিক্ষার্থীদের জন্য মানসিক চাপ সৃষ্টি না করে এবং পুরো অভিজ্ঞতাটি যেন তাদের জন্য আনন্দময় হয়।
উপস্থাপনে যথাসম্ভব বিনামূল্যের উপকরণ ব্যবহার করতে নির্দেশনা দেবেন, উপকরণ সংগ্রহ করতে গিয়ে অভিভাবকদের যাতে কোনো আর্থিক চাপের সম্মুখীন হতে না হয় সেদিকে নজর রাখবেন। শিক্ষার্থীদের মনে করিয়ে দিন, মডেল/পোস্টার/ছবি ইত্যাদির চাকচিক্যে মূল্যায়নে হেরফের হবে না। বরং বিনামূল্যের বা স্বল্পমূল্যের উপকরণ, সম্ভব হলে ফেলনা জিনিস ব্যবহারে উৎসাহ দিন।
ষষ্ঠ শ্রেণি বিজ্ঞান বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন অ্যাসাইনমেন্ট বিষয়ভিত্তিক তথ্যের প্রয়োজনে অনুসন্ধানী পাঠ বই বা যেকোনো উৎস শিক্ষার্থী ব্যবহার করতে পারবে। তবে কোনো উৎস থেকেই হুবহু তথ্য তুলে দেয়ায় উৎসাহ দেবেন না, বরং তথ্য ব্যবহার করে সে নির্ধারিত সমস্যার সমাধান করতে পারছে কি না, এবং সিদ্ধান্ত নিতে পারছে কি না তার উপর ভিত্তি করে মূল্যায়ন করবেন।
৬ষ্ঠ শ্রেণি বিজ্ঞান বাৎসরিক সামষ্টিক মূল্যায়নের জন্য নির্ধারিত শিখন যোগ্যতাসমূহ
ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন শিখন অভিজ্ঞতা চলাকালে ইতোমধ্যে এই শ্রেণির জন্য নির্ধারিত সকল যোগ্যতা চর্চা করার সুযোগ পেয়েছে, সেগুলোর মধ্য থেকে বাৎসরিক মূল্যায়নের জন্য নিম্নলিখিত যোগ্যতাসমূহ নির্বাচন করা হয়েছে এবং সে অনুযায়ী অর্পিত কাজটি সাজানো হয়েছে।
প্রাসঙ্গিক শিখন যোগ্যতাসমূহ:
- ৬.১: বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানের মাধ্যমে প্রমাণভিত্তিক সিদ্ধান্তে পৌঁছানো এবং বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব যে প্রমাণের ভিত্তিতে পরিবর্তিত হতে পারে তা গ্রহণ করতে পারা।
- ৬.৪: দৃশ্যমান পরিবেশের প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম বস্তুসমূহের গঠনের কাঠামো-উপকাঠামো ও তাদের বৈশিষ্ট্যর মধ্যকার সম্পর্ক অনুসন্ধান করতে পারা।
- ৬.৫: প্রকৃতিতে বস্তু ও শক্তির মিথস্ক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করে বস্তুর মতো শক্তিও যে পরিমাপযোগ্য তা উপলব্ধি করা এবং শক্তির স্থানান্তর অনুসন্ধান করতে পারা
- ৬.৯: প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার ঝুঁকিসমূহ অনুসন্ধান করে সেই ঝুঁকি মোকাবেলায় সচেষ্ট হওয়া।
- ৬.১০: বাস্তব জীবনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ইতিবাচক প্রয়োগে উদ্বুদ্ধ হওয়া।
বিজ্ঞান – ষষ্ঠ শ্রেণি – বার্ষিক মূল্যায়নে কাজের সারসংক্ষেপ
শিক্ষার্থীরা এই কাজের মধ্য দিয়ে স্কুলে ও বাড়িতে ব্যবহৃত বিভিন্ন প্রযুক্তির ধরণ ও কাজ অনুসন্ধান করবে। এই কাজ করতে গিয়ে প্রথমে বিভিন্ন প্রযুক্তির তালিকা করবে, এদের গঠন ও কাজের ধরণ অনুসন্ধান করবে।
এদের কাজ বিশ্লেষণ করতে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের শক্তির স্থানান্তর পর্যবেক্ষণ করবে, জ্বালানির ব্যবহার হিসাব করবে, এবং জ্বালানির অপচয়/অপব্যবহার হচ্ছে কিনা তাও খুঁজে দেখবে। এসব প্রযুক্তি ব্যবহারের বিভিন্ন দিক বিশ্লেষণ করে সেগুলোর পরিবেশগত প্রভাব অনুসন্ধান করবে, এবং প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় এগুলোর যথাযথ ব্যবহারের নীতিমালা তৈরি করবে।
বিশেষ নির্দেশনা: নিয়মিত উপকরণের পাশাপাশি পোস্টার উপস্থাপনের ক্ষেত্রে পোস্টারের বদলে ক্যালেন্ডার ফাঁকা পৃষ্ঠা বা অন্য বিকল্প ব্যবহার করা যেতে পারে। এছাড়া শিক্ষার্থীরা তাদের চারপাশের ব্যবহৃত দ্রব্য, ফেলনা জিনিস ইত্যাদি ব্যবহার করে যাতে মডেল তৈরি করে সে বিষয়ে উৎসাহ দিন।
ষষ্ঠ শ্রেণি বিজ্ঞান বাৎসরিক সামষ্টিক মূল্যায়ন কার্যক্রম ধাপসমূহ
ষষ্ঠ শ্রেণি বিজ্ঞান বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন অ্যাসাইনমেন্ট নিচে ধারাবাহিকভাবে ২০২৩ সালের নতুন ক্যারিকুলামে বিজ্ঞান বিষয়ের মূল্যায়ন প্রক্রিয়া কিভাবে পরিচালনা করা হবে তার ধাপগুলো আলোচনা করা হলো। এখানে তিনটি সেশনের সম্পূর্ণ পরিকল্পনা দেওয়া হলো।
ধাপ-১ : (প্রথম কর্মদিবস : ১০ মিনিট)
কাজ-১: বাৎসরিক মূল্যায়ন সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের অবহিত করুন। ষান্মাসিক মূল্যায়নের অভিজ্ঞতা তাদের নিশ্চয়ই মনে আছে। তাদেরকে বুঝিয়ে বলুন যে বাৎসরিক মূল্যায়নেও একইভাবে তারা নতুন একটা শিখন অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যাবে, এবং এই অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে তাদেরকে একটি নির্ধারিত সমস্যা সমাধান করতে হবে। শুরুতে শিক্ষার্থীদেরকে কাজের উদ্দেশ্য বুঝিয়ে দিন।
এই অভিজ্ঞতার মূল উদ্দেশ্য হলো দৈনন্দিন ব্যবহার্য বিভিন্ন প্রযুক্তির ধরণ ও কাজ অনুসন্ধান এবং সেগুলো যথাযথ ব্যবহারের নীতিমালা তৈরি।
কাজ-২: ক্লাসের সকল শিক্ষার্থীদের ৫/৬ জনের দলে ভাগ করে দিন।
কাজ-৩: পুরো কাজের ধারাবাহিক প্রক্রিয়া তাদের বুঝিয়ে বলুন।
১. শুরুতেই শিক্ষার্থীরা স্কুলে ও বাড়িতে কী কী প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয় তা লিপিবদ্ধ করবে। এসব প্রযুক্তির মধ্যে কোন কোন ক্ষেত্রে জ্বালানি প্রয়োজন হয়, আর কোনগুলো জ্বালানি ছাড়াই কাজ করে সেগুলোকে আলাদা করে দুইটি পৃথক তালিকা করবে।
২. লটারির মাধ্যমে প্রত্যেক দল দুইটি তালিকা থেকে একটি করে প্রযুক্তি বেছে নেবে, এইসব প্রযুক্তির গঠন সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করবে এবং সেগুলো কীভাবে কাজ করে তার প্রবাহচিত্র বা ফ্লো চার্ট তৈরি করবে।
এই কাজে তারা বিভিন্ন উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে পারে; স্কুলে কর্মরত কোনো কর্মচারী, টেকনিশিয়ান, বিভিন্ন প্রযুক্তির ব্যবহার বিধি বা ম্যানুয়াল, ইত্যাদি। (কোনো প্রযুক্তির গঠনের বিস্তারিত খুঁটিনাটি জানা জরুরি নয়, মূলত এগুলো কী কাজে লাগে, এদের মূল অংশ কোনগুলো, কোন অংশ কী কাজ করে, ইত্যাদি তথ্য জানাই যথেষ্ট।)
৩. এসব প্রযুক্তি ব্যবহার করতে কী ধরনের শক্তি ব্যবহৃত হয় তা তারা অনুসন্ধান করবে, এবং এই প্রক্রিয়ায় শক্তি কীভাবে স্থানান্তরিত ও রূপান্তরিত হয় তা পর্যবেক্ষণ করবে। এই শক্তি উৎপন্ন করতে জ্বালানি প্রয়োজন পড়ে কিনা, যদি পড়ে তাহলে জ্বালানি হিসেবে কী ব্যবহার করা হয় তা তারা খুঁজে বের করবে করবে। একইসাথে কোন প্রযুক্তি ব্যবহার করতে কী পরিমাণ জ্বালানি ব্যবহার করা হয় সেই তথ্যও তারা সংগ্রহ করবে।
৪. নির্ধারিত প্রযুক্তিসমূহ ব্যবহারের ক্ষেত্রে শক্তি কোথা থেকে আসে, শক্তির কী ধরনের স্থানান্তর ও রূপান্তর ঘটে তাও শিক্ষার্থীদের খুঁজে বের করতে বলুন।
ধাপ-২ (দ্বিতীয় কর্মদিবস : ৯০ মিনিট)
কাজ-১: দ্বিতীয় সেশনের শুরুর ৩০ মিনিট তারা তাদের নির্ধারিত দুইটি প্রযুক্তির নকশা এঁকে নিতে পারে, বা মডেল তৈরি করতে পারে। এরপর বাকি সময়ে তারা নকশা/ মডেল এবং এদের কার্যপদ্ধতির প্রবাহচিত্র উপস্থাপনের পাশাপাশি সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে এগুলো কীভাবে কাজ করে তার ওপর দলীয় উপস্থাপন করবে।
উপস্থাপনের উপর ভিত্তি করে PI (৬.৪.১, ৬.৪.২ ও ৬.৫.১) এর ইনপুট দেবেন, এই ক্ষেত্রে দলের সবার PI এর ইনপুট একই হবে। তবে দলে প্রতি শিক্ষার্থীর ভূমিকা নির্দিষ্ট থাকতে হবে এবং সেই অনুযায়ী সে দায়িত্ব পালন করেছে কিনা তা শিক্ষক পর্যবেক্ষণ করবেন। শিক্ষার্থীদের প্রত্যেকের ভূমিকা দলীয় পারদর্শিতার উপর প্রভাব ফেলবে তা মনে করিয়ে দিন।
কাজ-২: তৃতীয় সেশনের আগে শিক্ষার্থীরা এসব প্রযুক্তি ব্যবহারের বিভিন্ন দিক বিশ্লেষণ করে সেগুলোর পরিবেশগত প্রভাব অনুসন্ধান করবে; এসময়ে তারা জ্বালানির ব্যবহার ও অপচয়, বিভিন্ন ধরনের দূষণ, মানবস্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ইত্যাদি সকল বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করবে। শিক্ষার্থীদের কাজ বুঝিয়ে দিন।
কাজ-৩: দলীয় কাজের পাশাপাশি প্রত্যেক শিক্ষার্থী তার দলের পুরো কাজের প্রক্রিয়া, দলের সদস্যদের কাজ বণ্টন ও দলে নিজের ভূমিকা উল্লেখ করে একটি সংক্ষিপ্ত লিখিত প্রতিবেদন তৈরি করবে। সেখানে এই কাজের অভিজ্ঞতার মাধ্যমে তার ব্যক্তিগত জীবনে প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে কী পরিবর্তন এসেছে তা উদাহরণসহ ব্যাখ্যা করবে।
ধাপ-৩ (তৃতীয় কর্মদিবস : ১২০ মিনিট)
কাজ-১: তৃতীয় সেশনের শুরুর ৩০ মিনিট শিক্ষার্থীরা তাদের সংগৃহীত তথ্য বিশ্লেষণ করবে এবং নির্ধারিত প্রযুক্তি দুইটির যথাযথ ব্যবহারের নীতিমালা তৈরি করবে।
কাজ-২: এই নীতিমালায় প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলাফল বিশ্লেষণ করে এদের ইতিবাচক ও নেতিবাচক প্রয়োগ সম্পর্কে সুস্পষ্ট নির্দেশনা উল্লেখ করতে বলুন।
কাজ-৩: একইসঙ্গে, তারা পরিবেশের উপর এসব প্রযুক্তির প্রভাব বিশ্লেষণ করবে, একইসাথে মানবস্বাস্থ্যের উপরে এদের প্রভাবও আলোচনা করবে। পরিবেশগত প্রভাব বিশ্লেষণ করতে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের জ্বালানির ব্যবহার আলোচনা করবে, এবং জ্বালানির অপচয়/অপব্যবহার হচ্ছে কিনা বা হলে কেনো হচ্ছে তাও খুঁজে দেখবে।
কাজ-৪: পরবর্তী ৪০ মিনিট তারা তাদের মতামত উপস্থাপনের জন্য পোস্টার তৈরি করবে এবং নির্ধারিত প্রযুক্তি দুইটির যথাযথ ব্যবহারের নীতিমালা শ্রেণিকক্ষে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করবে।
শিক্ষক ঘুরে ঘুরে সব দলের কাজ দেখবেন এবং প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে তাদের আলোচনা শুনবেন। দলে প্রত্যেকের দায়িত্ব সুনির্দিষ্ট থাকবে এবং সেই অনুযায়ী বিভিন্ন প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে দলের সদস্যদের প্রত্যেকের ক্ষেত্রে PI (৬.৯.১, ৬.১.২ ও ৬.১০.১) এর ইনপুট দেবেন। শিক্ষার্থীর লিখিত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট PI (6.1.13 6.10.2 ) এর ইনপুট দেবেন।
প্রিয় শিক্ষক শিক্ষার্থী মন্ডলী, খুব শিগ্রই আপনাদের ষষ্ঠ শ্রেণি বিজ্ঞান বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন অ্যাসাইনমেন্ট সমূহের সমাধান নিয়ে হাজির হবো। ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের সাথেই থাকুন।
অধ্যায়ন ডট কম এর সকল আপডেট সবার আগে পাওয়ার জন্য আমাদের ফেসবুক পেজটি লাইক এবং ফলো করে রাখুন, ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করে রাখুন এবং আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন।
৬ষ্ঠ শ্রেণির সকল বিষয়ের বাৎসরিক মূল্যায়ন অ্যাসাইনমেন্ট
ক্রমিক | বিষয়ের নাম | অ্যাসাইনমেন্ট শিরোনাম ও সম্ভব্য সমাধান |
---|---|---|
১. | বাংলা | সাহিত্য মেলা আয়োজন |
২. | ইংরেজি | |
৩. | গণিত | ১. সংখ্যার কারিগর; ২. বনভোজনের কেনাকাটা; ৩. বস্তু পরিমাপ ও ঘনকের মডেল তৈরি; |
৪. | ডিজিটাল প্রযুক্তি | সেমিনার – জরুরি পরিস্থিতিতে সংযুক্ত থাকি |
৫. | শিল্প ও সংস্কৃতি | আজি বাংলাদেশের হৃদয় হতে প্রদর্শনী আয়োজন |
৬. | ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান | প্রকৃতি ও সমাজের আন্তঃসম্পর্ক অনুসন্ধান |
৭. | স্বাস্থ্য সুরক্ষা | স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নিজের ও অন্যের প্রতি সক্রিয় ভূমিকার একটি চিত্র |
৮. | জীবন ও জীবিকা | ১. বিদ্যালয়ভিত্তিক সমস্যা খুঁজি ও সমাধানের প্রস্তুতি নিই; ২. আগামীর স্বপ্ন বুনি; ৩. ভবিষ্যত চক্র আঁকি ও সমস্যার সমাধান করি; |
৯. | ইসলাম শিক্ষা | নিজ প্রেক্ষাপট বা পরিবেশে দায়িত্বশীল আচরণ, অভিজ্ঞতা প্রকাশ ও ভূমিকাভিনয় |
১০. | বিজ্ঞান | স্কুলে ও বাড়িতে ব্যবহৃত প্রযুক্তি, গঠণ ও কার্যাবলি |
Very good
As a student, I would say,,,
Some things can make us happy,,, we should do that things but still,,,
Happiness is not enough,,, we didn’t born just to enjoy,,, we have to be examiners,
To be succeed,,, all of our life problems can’t be solved with enjoying….
Exams like previous make us hard working and dedicated…..
And now we are enjoying it,,,
Not facing the puzzled problems to make our brain sharp! That’s a sadness for all of the students who dreamed a heaven future…
Right I agree with you
আমি
ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে বলছি
Akhana to Hindu dhormo সম্পর্ক nai
Ayon tui akhane ki koros miss re bole dibo.
ধাপ ৩ দেন
👍👍👍👍👍👍
, thanks ☺️
, give me answer