সুখী মানুষ নাটকটির সাথে জীবনের সঙ্গে সম্পর্ক খুঁজি, নাটকটি নিজের ভাষায় বলি ও লিখি

সুখী মানুষ নাটকটির সাথে জীবনের সঙ্গে সম্পর্ক খুঁজি, নাটকটি নিজের ভাষায় বলি ও লিখি। ষষ্ঠ শ্রেণির প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা, তোমাদের জন্য আজ আলোচনা করব বাংলা বিষয়ের দ্বিতীয় অধ্যায়ের ২য় পরিচ্ছেদ থেকে ‘সুখী মানুষ’ নাটকটি পড়ে সুখী মানুষ নাটকটির সাথে জীবনের সঙ্গে সম্পর্ক খুঁজি, নাটকটি নিজের ভাষায় বলি ও লিখি

সুখী মানুষ নাটকটির সাথে জীবনের সঙ্গে সম্পর্ক খুঁজি, নাটকটি নিজের ভাষায় বলি ও লিখি এই কাজের জন্য শিক্ষকের নির্দেশ অনুযায়ী তোমরা দলে ভাগ হও। ‘সুখী মানুষ’ নাটকে কী বলা হয়েছে, তা দলে আলোচনা করে বোঝার চেষ্টা করো। কোন দল কেমন বুঝতে পেরেছে, তা যাচাই করার জন্য এক দল অপর দলকে প্রশ্ন করবে। এজন্য আগেই দলে আলোচনা করে কাগজে প্রশ্নগুলো লিখে রাখো।

সুখী মানুষ নাটকটির সাথে জীবনের সঙ্গে সম্পর্ক খুঁজি, নাটকটি নিজের ভাষায় বলি ও লিখি

বলি ও লিখি

‘সুখী মানুষ’ নাটকটির কাহিনি প্রথমে গল্পের মতো করে বলো, তারপর লেখো।

‘সুখী মানুষ’ নাটকটির কাহিনি প্রথমে গল্পের মতো করে বললাম, তারপর লিখলাম।

‘সুখী মানুষ’ মমতাজউদ্দীন আহমদ রচিত দুই দৃশ্যের একটি নাটক। নাটকটির কাহিনিতে আছে মানুষকে ঠকিয়ে, মানুষের মনে কষ্ট দিয়ে ধনী হওয়া মোড়লের মনে শান্তি নেই। তার হাড় মড়মড় রোগ হয়েছে। মোড়লের চারপাশে থাকা সকল লোক মোড়লকে অপছন্দ করে। মোড়লের এ পরিণতি তার কৃতকর্মের ফল বলেই তারা মনে করে। মানুষের ওপর অন্যায়-অত্যাচার করে ধনী হওয়া মোড়ল যেকোনো কিছুর বিনিময়ে সুখ চান।

মোড়লের প্রধান চিকিৎসক তাকে বিধান দিলেন কোনো সুখী মানুষের জামা গায়ে দিলে মোড়লের অসুস্থতা কেটে যাবে। কিন্তু পাঁচ গ্রাম খুঁজেও একজন সুখী মানুষ খুঁজে পাওয়া গেল না। সকলেই কোনো নাকোনোভাবে অসুখী। শেষে একজনকে পাওয়া গেল যিনি নিজের শ্রমে উপার্জিত আয় দিয়ে সাদামাটাভাবে জীবিকানির্বাহ করে দিন কাটাচ্ছে। তার কোনো সম্পদ নেই। ফলে চোরের ভয় নেই। সুতরাং শান্তিতে ঘুমানোর ব্যাপারে তার কোনো দুশ্চিন্তা নেই। অবশেষে সুখী মানুষ একজন পাওয়া গেলেও দেখা গেল তার কোনো জামা নেই । সুতরাং মোড়লের সমস্যার সমাধান হলো না।

জীবনের সঙ্গে সম্পর্ক খুঁজি

‘সুখী মানুষ’ নাটকের সাথে তোমার জীবনের বা চারপাশের কোনো মিল খুঁজে পাও কি না, কিংবা কোনো সম্পর্ক খুঁজে পাও কি না, তা নিচে লেখো।

‘সুখী মানুষ’ নাটকের সাথে আমার জীবনের বা চারপাশের যেসব বিষয়ের মিল বা সম্পর্ক খুঁজে পাই, তা নিচে লেখা হলো-

‘সুখী মানুষ’ নাটকের মোড়ল চরিত্রের মতো অত্যাচারী চরিত্র আমরা আমাদের চারপাশে হরহামেশা দেখি। এ ধরনের মানুষেরা অন্যের সম্পদ অন্যায়ভাবে হরণ করে আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়ে ওঠে এরা মানুষকে মানুষ বলে মনে করে না। তবে মোড়ল যেরূপ রোগে ভুগে কষ্ট পেয়ে নিজের সকল অপরাধ স্বীকার করে রোগমুক্ত হতে চেয়েছে, সমাজে অন্যায়ভাবে বিত্তশালী হওয়া লোকদের ক্ষেত্রে আমরা এমনটা দেখি না। বলা চলে ‘সুখী মানুষ’ নাটকের এ দিকটি সমাজের সাথে বৈসাদৃশ্যপূর্ণ। আর জামা ছাড়া সুখী মানুষ দেখা বর্তমান সময়ে একেবারেই অকল্পনীয় বলা চলে।

মমতাজউদ্দীন আহমদ রচিত সুখী মানুষ নাটকটি জীবনের সাথে অনেকভাবে সম্পর্কিত। নাটকটিতে, আমরা দেখতে পাই যে সুখী হওয়ার জন্য আমাদের কী কী প্রয়োজন। আমরা দেখতে পাই যে সুখী হওয়ার জন্য আমাদেরকে আমাদের নিজেদেরকে ভালবাসতে হবে, আমাদেরকে আমাদের আবেগগুলিকে প্রকাশ করতে হবে, এবং আমাদেরকে অন্যদের সাথে সংযুক্ত হতে হবে।

সুখী মানুষ নাটকটির সাথে জীবনের সঙ্গে সম্পর্ক খুঁজি, নাটকটি নিজের ভাষায় বলি ও লিখি

নাটকটিতে, আমরা দেখতে পাই যে সুখী হওয়ার জন্য আমাদেরকে আমাদের নিজেদেরকে ভালবাসতে হবে। আমরা দেখতে পাই যে আমরা যখন আমাদের নিজেদেরকে ভালবাসি, তখন আমরা আমাদের নিজেদেরকে গ্রহণ করি, আমাদের নিজেদেরকে ক্ষমা করি, এবং আমাদের নিজেদেরকে সম্মান করি। আমরা যখন আমাদের নিজেদেরকে ভালবাসি, তখন আমরা আমাদের জীবনকে আরও অর্থপূর্ণ করে তুলতে পারি।

নাটকটিতে, আমরা দেখতে পাই যে সুখী হওয়ার জন্য আমাদেরকে আমাদের আবেগগুলিকে প্রকাশ করতে হবে। আমরা দেখতে পাই যে আমরা যখন আমাদের আবেগগুলিকে প্রকাশ করি, তখন আমরা আমাদের নিজেদেরকে মুক্ত করি, এবং আমরা আমাদের নিজেদেরকে আরও ভালভাবে বুঝতে পারি। আমরা যখন আমাদের আবেগগুলিকে প্রকাশ করি, তখন অন্যদের সাথে আরও ভালভাবে সংযুক্ত হতে পারি।

নাটকটিতে, আমরা দেখতে পাই যে সুখী হওয়ার জন্য আমাদেরকে অন্যদের সাথে সংযুক্ত হতে হবে। আমরা দেখতে পাই যে আমরা যখন অন্যদের সাথে সংযুক্ত হই, তখন আমাদের নিজেদেরকে সমর্থন করি, আমরা আমাদের নিজেদেরকে ভালবাসা পাই, এবং আমরা আমাদের নিজেদেরকে সম্মান পাই। আমরা যখন অন্যদের সাথে সংযুক্ত হই, তখন আমাদের জীবনকে আরও অর্থপূর্ণ করে তুলতে পারি।

নাটকের বৈশিষ্ট্য খুঁজি

নাটকের সাধারণ কিছু বৈশিষ্ট্য আছে। নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর খোঁজার মাধ্যমে বৈশিষ্ট্যগুলো বোঝার চেষ্টা করো।

নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর খোঁজার মাধ্যমে বৈশিষ্ট্যগুলো বোঝার চেষ্টা করা হলো-

ক্রমপ্রশ্নহ্যাঁনা
পরপর দুই লাইনের শেষে কি মিল-শব্দ আছে?না
হাতে তালি দিয়ে দিয়ে কি পড়া যায়?না
লাইনগুলো কি নির্দিষ্ট দৈর্ঘ্যের?না
লাইনগুলো কি সুর করে পড়া যায়?না
এটি কি পদ্য-ভাষায় লেখা?না
এটি কি গদ্য-ভাষায় লেখা?হ্যাঁ
এর মধ্যে কি কোনো কাহিনি আছে?হ্যাঁ
এর মধ্যে কি কোনো চরিত্র আছে?হ্যাঁ
এখানে কি কোনো বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে?হ্যাঁ
১০এটি কি কয়েকটি অনুচ্ছেদে ভাগ করা?না
১১এর মধ্যে কি কোনো সংলাপ আছে?হ্যাঁ
১২এটি কি অভিনয় করা যায়?হ্যাঁ
নাটকের বৈশিষ্ট্য খুঁজি

নাটক কী

অভিনয়ের উপযোগী করে লেখা সংলাপ-নির্ভর রচনাকে নাটক বলে। নাটকে একজন অন্যজনের সাথে যেসব কথা বলে, সেগুলোকে সংলাপ বলে। আর সংলাপ যাদের মুখ দিয়ে উচ্চারিত হয়, তাদের বলে চরিত্র। সংলাপের মাধ্যমে নাটকের কাহিনি এগিয়ে যায়। যাঁরা নাটক লেখেন তাঁদের নাট্যকার বলে। নাটকে বিভিন্ন ভাগ থাকে; একে বলে দৃশ্য। নাটক যেখানে অভিনয় করা হয়; সেই জায়গাকে বলে মঞ্চ। নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে যাঁরা অভিনয় করেন, তাঁদের বলে অভিনেতা।

নাটক হল একটি সাহিত্যিক রচনা যা একটি গল্পকে চিত্রিত করে যা অভিনেতাদের দ্বারা একটি মঞ্চে সঞ্চালিত হয়। নাটকগুলিতে সাধারণত একটি শুরু, একটি মাঝামাঝি এবং একটি শেষ থাকে। নাটকগুলিতে সাধারণত চরিত্র, সেটিং এবং প্লট থাকে। চরিত্র হল সেই ব্যক্তি বা প্রাণী যারা নাটকের ঘটনাগুলিতে জড়িত। সেটিং হল সেই স্থান বা সময় যেখানে নাটকের ঘটনাগুলি ঘটে। প্লট হল নাটকের ঘটনাগুলির ক্রম। নাটকগুলি বিভিন্ন উপায়ে বলা যেতে পারে, যেমন কথা বলা, লেখা বা চিত্রিত করা।

সুখী মানুষ নাটকটির সাথে জীবনের সঙ্গে সম্পর্ক খুঁজি, নাটকটি নিজের ভাষায় বলি ও লিখি

নাটকগুলি আমাদেরকে বিভিন্নভাবে আকর্ষণ করতে পারে। তারা আমাদেরকে হাসাতে পারে, কাঁদাতে পারে, ভয় দেখাতে পারে, বা আমাদেরকে চিন্তা করতে পারে। তারা আমাদেরকে অন্যদের জীবন সম্পর্কে জানতে সাহায্য করতে পারে, এবং তারা আমাদেরকে আমাদের নিজের জীবন সম্পর্কে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি দিতে পারে।

নাটকগুলি আমাদেরকে বিনোদন দিতে পারে, তারা আমাদেরকে শিক্ষা দিতে পারে, এবং তারা আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করতে পারে। তারা আমাদেরকে আমাদের চারপাশের জগৎকে আরও ভালভাবে বুঝতে সাহায্য করতে পারে, এবং তারা আমাদেরকে আমাদের নিজের জীবনকে আরও অর্থপূর্ণ করে তুলতে সাহায্য করতে পারে।

মমতাজউদ্দীন আহমদ

সুখী মানুষ নাটকটির সাথে জীবনের সঙ্গে সম্পর্ক খুঁজি, নাটকটি নিজের ভাষায় বলি ও লিখি

তিনি ছিলেন প্রখ্যাত নাট্যকার, নির্দেশক, অভিনেতা ও ভাষাসৈনিক। স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশের নাট্য আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ। মুক্তিযুদ্ধ নির্ভর নাটক রচনা করে তিনি সর্বাধিক খ্যাতি অর্জন করেন। তিনি শিক্ষক ও লেখক হিসেবে পরিচিত হলেও থিয়েটারের মাধ্যমে তাঁর কর্মজীবনকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। তিনি সংস্কৃতি অঙ্গনের কর্মী হিসেবে সক্রিয়ভাবে বাংলা ভাষা আন্দোলন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন।

আরো দেখুন-

এছাড়াও সকল বিষয়ের নমুনা উত্তর সমূহ পাওয়ার জন্য আমাদের ফেসবুক গ্রুপ জয়েন করে নাও ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করো এবং ফেসবুক পেজটি লাইক এবং ফলো করে রাখুন। তোমার বন্ধুকে বিষয়টি জানানোর জন্য আমাদের ওয়েবসাইটটি তার খাতায় নোট করে দিতে পারো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: এই কনটেন্ট কপি করা যাবেনা! অন্য কোনো উপায়ে কপি করা থেকে বিরত থাকুন!!!