বাঁচতে দাও কবিতাটি বুঝে লিখি, জীবনের সঙ্গে সম্পর্ক খুঁজি, কবিতার বৈশিষ্ট্য খুঁজি

বাঁচতে দাও কবিতাটি বুঝে লিখি, জীবনের সঙ্গে সম্পর্ক খুঁজি, কবিতার বৈশিষ্ট্য খুঁজি। ষষ্ঠ শ্রেণির প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা, তোমাদের জন্য আজ আলোচনা করব বাংলা বিষয়ের ষষ্ঠ অধ্যায় সাহিত্য পড়ি লিখতে শিখি কবিতা পড়ি ৩ এর বাঁচতে দাও কবিতাটি বুঝে লিখি, জীবনের সঙ্গে সম্পর্ক খুঁজি, কবিতার বৈশিষ্ট্য খুঁজি

এই কাজে শিক্ষক তোমাদেরকে কবিতাটি পড়ার পর বাঁচতে দাও কবিতাটি বুঝে লিখি, জীবনের সঙ্গে সম্পর্ক খুঁজি, কবিতার বৈশিষ্ট্য খুঁজি সে বিষয়ে কয়েকটি প্রশ্ন করবেন। এগুলো তোমরা দলে বিভক্ত হয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করবে।

শামসুর রাহমান বাংলাদেশের প্রধান কবিদের একজন। তিনি ছোটোদের জন্য কয়েকটি কবিতার বই লিখেছেন। এগুলোর মধ্যে আছে ‘এলাটিং বেলাটিং’, ‘ধান ভানলে কুঁড়ো দেবো’, ‘গোলাপ ফোটে খুকির হাতে’, ‘রংধনুর সাঁকো’ ইত্যাদি। নিচের ‘বাঁচতে দাও’ কবিতাটি কবির ‘রংধনুর সাঁকো’ নামের কবিতার বই থেকে নেওয়া হয়েছে।

বুঝে লিখি

‘বাঁচতে দাও’ কবিতাটি পড়ে কী বুঝতে পারলে তা নিচে লেখো।

বাঁচতে দাও কবিতাটি বুঝে লিখি, জীবনের সঙ্গে সম্পর্ক খুঁজি, কবিতার বৈশিষ্ট্য খুঁজি

কবি শামসুর রাহমান ‘বাঁচতে দাও’ কবিতার প্রকৃতি, পরিবেশ ও প্রাণিজগতের সুস্থ ও স্বাভাবিক বিকাশের কথা বলেছেন । একটি শিশুর বিকাশের সাথে তার চারপাশের সুস্থ পরিবেশের সম্পর্ক রয়েছে। প্রকৃতি ও পরিবেশ মানুষের বেঁচে থাকার প্রধান আশ্রয়। কিন্তু মানুষই এই সুন্দর পৃথিবীর ধ্বংস ডেকে আনছে। যদি পৃথিবীতে ফুল না থাকে, পাখি না থাকে, সবুজ ধ্বংস হয়ে যায়, তাহলে শিশুর স্বাভাবিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হবে।

কবিতায় এসব প্রতিকূলতাকে জয় করার কথাই সুন্দর করে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। প্রকৃতির প্রতি বিরূপ আচরণের ফলে পরিবেশের বিপর্যয় নেমে এসেছে। খাল-বিল ভরাট হয়ে যাচ্ছে। ফলে নদীর নাব্যতা নষ্ট হচ্ছে। মাঝিরা নদীতে নৌকায় পাল লাগাচ্ছে না। পানকৌড়ি তার বিচরণের জন্য স্বাভাবিক পরিবেশ পাচ্ছে না। মানুষ দিন দিন শহরমুখী হচ্ছে। ময়লা-আবর্জনায় দিন দিন পরিপূর্ণ হচ্ছে নদ- নালা, খাল-বিল। প্রকৃতি আজ হুমকির মুখে। মানুষ প্রকৃতির সন্তান। কিন্তু এই মানুষই আবার প্রকৃতিকে নিমর্মভাবে নষ্ট করছে।

“বাঁচতে দাও” কবিতাটিতে কবি জীবনের মূল্য সম্পর্কে কথা বলেছেন। তিনি বলেন যে জীবন একটি মহান উপহার এবং আমাদের এটিকে যথাযথভাবে মূল্য দিতে হবে। তিনি বলেন যে আমরা যে কোনওভাবেই জীবনকে নষ্ট করা উচিত নয়। তিনি বলেন যে আমরা আমাদের জীবনকে সুন্দরভাবে বাঁচিয়ে যাওয়া উচিত।

বাঁচতে দাও কবিতাটি বুঝে লিখি, জীবনের সঙ্গে সম্পর্ক খুঁজি, কবিতার বৈশিষ্ট্য খুঁজি

কবি বলেন যে জীবন একটি মহান উপহার কারণ এটি আমাদেরকে এই পৃথিবীতে থাকার সুযোগ দেয়। তিনি বলেন যে আমরা এই পৃথিবীতে অনেক কিছু দেখতে এবং করতে পারি। তিনি বলেন যে আমরা এই পৃথিবীতে অনেক কিছু শিখতে পারি। তিনি বলেন যে আমরা এই পৃথিবীতে অনেক কিছু উপভোগ করতে পারি।

কবি বলেন যে আমরা যে কোনওভাবেই জীবনকে নষ্ট করা উচিত নয়। তিনি বলেন যে আমরা জীবনকে নষ্ট করতে পারি যদি আমরা আত্মহত্যা করি। তিনি বলেন যে আমরা জীবনকে নষ্ট করতে পারি যদি আমরা অন্য কাউকে হত্যা করি। তিনি বলেন যে আমরা জীবনকে নষ্ট করতে পারি যদি আমরা অন্য কাউকে আঘাত করি।

কবি বলেন যে আমরা আমাদের জীবনকে সুন্দরভাবে বাঁচিয়ে যাওয়া উচিত। তিনি বলেন যে আমরা আমাদের জীবনকে ভাল কাজে ব্যয় করা উচিত। তিনি বলেন যে আমরা আমাদের জীবনকে অন্যদের জন্য উপকারী করে তুলতে পারি। তিনি বলেন যে আমরা আমাদের জীবনকে সুন্দর করে তুলতে পারি।

“বাঁচতে দাও” কবিতাটি একটি গুরুত্বপূর্ণ কবিতা। এটি আমাদেরকে জীবনের মূল্য সম্পর্কে শিক্ষা দেয়। এটি আমাদেরকে জীবনকে যথাযথভাবে মূল্য দিতে এবং জীবনকে সুন্দরভাবে বাঁচিয়ে যাওয়ার জন্য অনুপ্রাণিত করে।

জীবনের সঙ্গে সম্পর্ক খুঁজি

‘বাঁচতে দাও’ কবিতাটির সাথে তোমার জীবনের বা চারপাশের কোনো মিল খুঁজে পাও কি না, কিংবা কোনো
সম্পর্ক খুঁজে পাও কি না, তা নিচে লেখো।

প্রকৃতি, পরিবেশ ও প্রাণিজগতের সুস্থ ও স্বাভাবিক বিকাশ নিশ্চিত করা ‘বাঁচতে দাও’ কবিতার মূল সুর। একটি মানব শিশু তার চারপাশের পরিবেশ দ্বারা সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হয়। সুজলা-সুফলা, শস্য-শ্যামল প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি আমাদের দেশ। প্রকৃতির অনিন্দ্য সুন্দরের মাঝেই আমাদের বেড়ে ওঠা।

ফুলবাগানে মৌমাছির আনাগোনা, সুতো কাটা মুক্তির পিছনে দুগ্ধ বালকের ছুটে বেড়ানো, বাংলার গাঢ় নীল আকাশের বিশালতায় ডানা মেলে দাপিয়ে বেড়ানো চিল, সন্ধ্যায় জোনাকির মিটিমিটি আলো, ক্লান্ত দুপুরে ঘুঘুর ডাক, মাঝির গান, খাল-বিল-পুকুরে পানকৌড়ির ভেসে বেড়ানো এসবই আমাদের প্রকৃতির অংশ। এমন নির্মল পরিবেশ আজ হুমকির মুখে। আমরা সভ্যতার নামে আমাদের প্রাকৃতিক বাসস্থানকে ধ্বংস করে চলেছি। প্রকৃতিকে আমরা প্রকৃতির মতো রাখতে পারছি না। এর প্রভাব আমাদের উপরই পড়ছে। বাতাসে কার্বন-ডাই-অক্সাইড, ভারি ধাতু সীসা নিঃশ্বাসের সাথে আমরা প্রতিনিয়ত গ্রহণ করছি। আমরা আমাদের শিশুদেরকে গৃহবন্দি করে ফেলেছি। তাদের বেড়ে ওঠার সময় আমরা তাদেরকে যন্ত্র বানিয়ে ফেলছি।

বাঁচতে দাও কবিতাটি বুঝে লিখি, জীবনের সঙ্গে সম্পর্ক খুঁজি, কবিতার বৈশিষ্ট্য খুঁজি

“বাঁচতে দাও” কবিতাটি আমার জীবনের সাথে অনেক মিল খুঁজে পাই। আমিও জীবনকে একটি মহান উপহার হিসেবে দেখি এবং আমিও মনে করি যে আমাদের জীবনকে সুন্দরভাবে বাঁচিয়ে যাওয়া উচিত। আমিও মনে করি যে আমরা যে কোনওভাবেই জীবনকে নষ্ট করা উচিত নয়।

আমি আমার জীবনে অনেক কিছু দেখেছি এবং শিখেছি। আমি অনেক আনন্দের মুহূর্ত এবং দুঃখের মুহূর্ত দেখেছি। আমি অনেক ভালো মানুষ এবং খারাপ মানুষ দেখেছি। আমি অনেক সুন্দর জিনিস এবং হিংসাত্মক জিনিস দেখেছি।

আমি সবকিছু দেখেছি এবং শিখেছি। আমি এখন বুঝতে পারি যে জীবন একটি মহান উপহার। আমি এখন বুঝতে পারি যে আমাদের জীবনকে সুন্দরভাবে বাঁচিয়ে যাওয়া উচিত। আমি এখন বুঝতে পারি যে আমরা যে কোনওভাবেই জীবনকে নষ্ট করা উচিত নয়।

আমি আমার জীবনকে সুন্দরভাবে বাঁচিয়ে যাচ্ছি। আমি আমার জীবনকে ভাল কাজে ব্যয় করছি। আমি আমার জীবনকে অন্যদের জন্য উপকারী করে তুলছি। আমি আমার জীবনকে সুন্দর করে তুলছি।

আমি মনে করি যে প্রত্যেকেই তার জীবনকে সুন্দরভাবে বাঁচিয়ে যেতে পারে। প্রত্যেকেই তার জীবনকে ভাল কাজে ব্যয় করতে পারে। প্রত্যেকেই তার জীবনকে অন্যদের জন্য উপকারী করে তুলতে পারে। প্রত্যেকেই তার জীবনকে সুন্দর করে তুলতে পারে।

“বাঁচতে দাও” কবিতাটি আমাদেরকে জীবনের মূল্য সম্পর্কে শিক্ষা দেয়। এটি আমাদেরকে জীবনকে যথাযথভাবে মূল্য দিতে এবং জীবনকে সুন্দরভাবে বাঁচিয়ে যাওয়ার জন্য অনুপ্রাণিত করে।

কবিতার বৈশিষ্ট্য খুঁজি

উপরে তিনটি কবিতা পড়েছ। এই কবিতাগুলোর সাধারণ কিছু বৈশিষ্ট্য আছে। নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর খোঁজার মাধ্যমে বৈশিষ্ট্যগুলো বোঝার চেষ্টা করো।

ক্রমপ্রশ্নহ্যাঁনা
পরপর দুই লাইনের শেষে কি মিল-শব্দ আছে?হ্যাঁ
হাতে তালি দিয়ে দিয়ে কি পড়া যায়?হ্যাঁ
লাইনগুলো কি নির্দিষ্ট দৈর্ঘ্যের?হ্যাঁ
লাইনগুলো কি সুর করে পড়া যায়?হ্যাঁ
এটি কি পদ্য-ভাষায় লেখা?হ্যাঁ
এটি কি গদ্য-ভাষায় লেখা?না
এর মধ্যে কি কোনো কাহিনি আছে?না
এর মধ্যে কি কোনো চরিত্র আছে?না
এখানে কি কোনো বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে?না
১০এটি কি কয়েকটি অনুচ্ছেদে ভাগ করা?না
১১এর মধ্যে কি কোনো সংলাপ আছে?না
১২এটি কি অভিনয় করা যায়?না
কবিতার বৈশিষ্ট্য খুঁজি

কবিতা কী?

মনের ভাব সুন্দর ভাষায় ছোটো ছোটো বাক্যে যখন প্রকাশিত হয়, তখন তাকে কবিতা বলে। কবিতায় সাধারণত পরপর দুই লাইনের শেষে মিল-শব্দ থাকে। কবিতা তালে তালে পড়া যায়। কবিতায় লাইনগুলো নির্দিষ্ট দৈর্ঘ্যের হয়। কবিতার ভাষা গদ্যের ভাষার চেয়ে আলাদা। অনেক সময়ে শব্দের চেহারাতেও কিছু পরিবর্তন হয়ে থাকে। যাঁরা কবিতা লেখেন তাঁদের কবি বলে।

কবিতা হলো সাহিত্যের একটি শাখা যা ভাষার ছন্দ, ছবি এবং অর্থের ব্যবহারের মাধ্যমে মানুষের আবেগ, চিন্তাভাবনা এবং অনুভূতি প্রকাশ করে। কবিতা মানুষের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলিকে তুলে ধরে। যেমন- প্রেম, বিরহ, মৃত্যু, জীবন, প্রকৃতি, ইতিহাস, রাজনীতি, ধর্ম, সমাজ, সংস্কৃতি, ইত্যাদি।

বাঁচতে দাও কবিতাটি বুঝে লিখি, জীবনের সঙ্গে সম্পর্ক খুঁজি, কবিতার বৈশিষ্ট্য খুঁজি

কবিতা আমাদেরকে আমাদের চারপাশের জগৎকে নতুন করে দেখতে এবং বুঝতে সাহায্য করে। কবিতা আমাদেরকে আমাদের নিজের আবেগ, চিন্তাভাবনা এবং অনুভূতিগুলিকে প্রকাশ করতে সাহায্য করে। কবিতা আমাদেরকে আমাদেরকে অন্যদের সাথে যোগাযোগ করতে সাহায্য করে। কবিতা আমাদেরকে আমাদেরকে আনন্দিত, দুঃখিত, রাগান্বিত, ভীত, বিস্মিত, ইত্যাদি করতে সাহায্য করে। কবিতা আমাদেরকে আমাদেরকে চিন্তা করতে, অনুভব করতে, এবং শিখতে সাহায্য করে।

কবিতা সাহিত্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি শাখা। কবিতা আমাদেরকে আমাদের চারপাশের জগৎকে নতুন করে দেখতে এবং বুঝতে সাহায্য করে। কবিতা আমাদেরকে আমাদের নিজের আবেগ, চিন্তাভাবনা এবং অনুভূতিগুলিকে প্রকাশ করতে সাহায্য করে। কবিতা আমাদেরকে আমাদেরকে অন্যদের সাথে যোগাযোগ করতে সাহায্য করে। কবিতা আমাদেরকে আমাদেরকে আনন্দিত, দুঃখিত, রাগান্বিত, ভীত, বিস্মিত, ইত্যাদি করতে সাহায্য করে। কবিতা আমাদেরকে আমাদেরকে চিন্তা করতে, অনুভব করতে, এবং শিখতে সাহায্য করে।

এবার জেনে নিই সাহিত্য কি?

সাহিত্য হলো মানুষের সৃষ্ট মৌখিক বা লিখিত সৃষ্টিকর্মের সমষ্টি। এটি মানুষের চিন্তা, অনুভূতি, অভিজ্ঞতা এবং বিশ্বাসকে প্রকাশ করার একটি মাধ্যম। সাহিত্য বিভিন্ন ধরনের হতে পারে, যেমন কবিতা, গল্প, উপন্যাস, নাটক, প্রবন্ধ, ইত্যাদি। সাহিত্য মানুষের জীবনকে সমৃদ্ধ করে তোলে। এটি আমাদেরকে শিখতে, বোঝার, অনুভব করতে এবং বিনোদন পেতে সাহায্য করে।

সাহিত্য আমাদেরকে আমাদের চারপাশের বিশ্বকে আরও ভালভাবে বুঝতে সাহায্য করে। এটি আমাদেরকে বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি এবং কালচার সম্পর্কে জানতে সাহায্য করে। সাহিত্য আমাদেরকে আমাদের নিজেদের সম্পর্কে আরও ভালভাবে বুঝতে সাহায্য করে; এটি আমাদেরকে আমাদের চিন্তা, অনুভূতি এবং অভিজ্ঞতাকে প্রকাশ করার একটি সুযোগ দেয়। সাহিত্য আমাদেরকে বিনোদন দেয়। এটি আমাদেরকে হাসায়, কাঁদায়, চিন্তিত করে এবং আমাদেরকে নতুন কিছু শেখায়।

বাঁচতে দাও কবিতাটি বুঝে লিখি, জীবনের সঙ্গে সম্পর্ক খুঁজি, কবিতার বৈশিষ্ট্য খুঁজি

উদাহরণস্বরূপ, যদি আমরা একটি হাস্যরসাত্মক গল্প পড়ি, তাহলে আমরা হাসতে পারি। যদি আমরা একটি ট্র্যাজিক গল্প পড়ি, তাহলে আমরা কাঁদতে পারি। যদি আমরা একটি রহস্য গল্প পড়ি, তাহলে আমরা চিন্তিত হতে পারি। এবং যদি আমরা একটি শিক্ষামূলক গল্প পড়ি, তাহলে আমরা নতুন কিছু শিখতে পারি।

সাহিত্য একটি শক্তিশালী মাধ্যম। এটি আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করতে পারে, আমাদেরকে শিক্ষা দিতে পারে এবং আমাদেরকে বিনোদন দিতে পারে। সাহিত্য আমাদেরকে আমাদের চারপাশের বিশ্বকে আরও ভালভাবে বুঝতে সাহায্য করতে পারে এবং আমাদেরকে আমাদের নিজেদের সম্পর্কে আরও ভালভাবে বুঝতে সাহায্য করতে পারে। সাহিত্য আমাদেরকে একটি সমৃদ্ধ জীবনযাপন করতে সাহায্য করতে পারে।

কবি পরিচিতি :

বাঁচতে দাও কবিতাটি বুঝে লিখি, জীবনের সঙ্গে সম্পর্ক খুঁজি, কবিতার বৈশিষ্ট্য খুঁজি

শামসুর রাহমান (১৯২৯-২০০৬) একজন বাঙালি কবি, গীতিকার, অনুবাদক ও সাংবাদিক। তিনি বাংলাদেশের জাতীয় কবি হিসেবে পরিচিত। তিনি ১৯২৯ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি ব্রিটিশ ভারতের নোয়াখালী জেলার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।

শামসুর রাহমান ১৯৫০-এর দশকে কবি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। তার প্রথম কবিতার বই “প্রথম গান” ১৯৫২ সালে প্রকাশিত হয়। তিনি ১৯৬০-এর দশকে গণআন্দোলনের একজন অন্যতম কবি হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। তার কবিতায় তিনি বাংলার স্বাধীনতা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ, গণতন্ত্র ও সামাজিক অনাচারকে তুলে ধরেছেন। তিনি ১৯৬৯ সালে “আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো বাংলার জয়” কবিতাটি রচনা করেন, যা বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের অমর সঙ্গীত হয়ে ওঠে।

বাঁচতে দাও কবিতাটি বুঝে লিখি, জীবনের সঙ্গে সম্পর্ক খুঁজি, কবিতার বৈশিষ্ট্য খুঁজি

শামসুর রাহমান ১৯৭০-এর দশকে বিশ্বব্যাপী পরিচিতি লাভ করেন। তার কবিতায় তিনি বিশ্বের শান্তি ও সমন্বয়ের আহ্বান জানান। তিনি ১৯৮০-এর দশকে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির একজন অন্যতম নেতা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। তিনি ১৯৯০-এর দশকে বাংলাদেশের গণতন্ত্র আন্দোলনের একজন অন্যতম নেতা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন।

শামসুর রাহমান ২০০৬ সালের ১৭ আগস্ট ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। তিনি বাংলা সাহিত্যে অসামান্য অবদান রেখেছেন। তিনি বাংলাদেশের জাতীয় কবি হিসেবে পরিচিত।

শামসুর রাহমান একজন অসামান্য কবি ছিলেন। তার কবিতায় তিনি বাংলার ইতিহাস, সংস্কৃতি ও মানুষের জীবনকে অপূর্বভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদান রেখেছেন। তিনি বাংলা সাহিত্যে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র হিসেবে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন।

আরো দেখুন-

এছাড়াও সকল বিষয়ের নমুনা উত্তর সমূহ পাওয়ার জন্য আমাদের ফেসবুক গ্রুপ জয়েন করে নাও ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করো এবং ফেসবুক পেজটি লাইক এবং ফলো করে রাখুন। তোমার বন্ধুকে বিষয়টি জানানোর জন্য আমাদের ওয়েবসাইটটি তার খাতায় নোট করে দিতে পারো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: এই কনটেন্ট কপি করা যাবেনা! অন্য কোনো উপায়ে কপি করা থেকে বিরত থাকুন!!!