সপ্তম শ্রেণি ডিজিটাল প্রযুক্তি বার্ষিক মূল্যায়ন শুরু হবে ১১ নভেম্বর ২০২৩ তৃতীয় সেশন থেকে। এই আয়োজনে আমরা জানব জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোট কর্তৃক নির্ধারিত বাৎসরিক সামষ্টিক মূল্যায়ন কার্যক্রমে সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল প্রযুক্তি পাঠ্য বই থেকে কোন কোন শিখন যোগ্যতার আলোকে কি নির্ধারিত কাজ দেয়া হয়েছে এবং কিভাবে সেটি সম্পন্ন করা যাবে সে বিষয়ে।
উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে প্রযুক্তির উৎকর্ষতায় নিজেকে সমৃদ্ধ করতে এবং দেশের নাগরিকদের ডিজিটাল প্রযুক্তিতে দক্ষ করে তুলতে নতুন শিক্ষাক্রমে সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের এ বিষয়ে বিভিন্ন পঠনযোগ্যতার ভিত্তিতে মূল্যায়নের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
২০২৩ সালের সপ্তম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষায় ডিজিটাল প্রযুক্তি বইয়ের সর্বমোট তিনটি দিবসে মূল্যায়ন অনুষ্ঠিত হবে এর মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় দিবস প্রস্তুতি এবং চূড়ান্ত দিন চূড়ান্ত মূল্যায়ন উৎসব পরিচালনার মাধ্যমে এ শিক্ষার্থীদের রেকর্ড সংরক্ষণ করা হবে। সপ্তম শ্রেণি ডিজিটাল প্রযুক্তি বার্ষিক মূল্যায়ন অ্যাসাইনমেন্ট;

সপ্তম শ্রেণি ডিজিটাল প্রযুক্তি বার্ষিক মূল্যায়ন অ্যাসাইনমেন্ট
সপ্তম শ্রেণি ডিজিটাল প্রযুক্তি বার্ষিক মূল্যায়ন অ্যাসাইনমেন্ট প্রাসঙ্গিক শিখন যোগ্যতাসমূহ:
৭.১ প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে উপযুক্ত তথ্য নির্বাচন, সংগ্রহ, ব্যবহার, সংরক্ষণ করা ও তথ্যের নিরপেক্ষ মূল্যায়ন করতে পারা;
৭.২ অর্থনৈতিক, সামাজিক, পরিবেশগত, কারিগরি ও ব্যবহারিক দিক বিবেচনা করে কোন বাস্তব সমস্যাকে বিশ্লেষণ পূর্বক তার সমাধানের জন্য অ্যলগরিদম ডিজাইন ও ডায়াগ্রামের মাধ্যমে উপস্থাপন করতে পারা এবং তা প্রোগ্রামে রূপ দিতে পারা;
৭.৩ বিভিন্ন ধরণের (তারযুক্ত, তারবিহীন ইত্যাদি) নেটওয়ার্কে তথ্যের আদান প্রদান ও সম্প্রচার কীভাবে হয় এবং তথ্যের সুরক্ষা কীভাবে হয় তা পর্যালোচনা করতে পারা;
৭.৪ ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে নাগরিক সেবা ও ই-কমার্স সম্পর্কিত সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করতে পারা;
৭.৮ সাইবার ক্রাইমের সামাজিক ও আইনগত দিক পর্যালোচনা করে নীতিগত অবস্থান নির্ধারণ করতে পারা;
৭.৯ প্রাতিষ্ঠানিক যোগাযোগে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারে উপযুক্ত শিষ্টাচার বজায় রাখা;

সপ্তম শ্রেণি ডিজিটাল প্রযুক্তি বার্ষিক মূল্যায়ন কাজের সারসংক্ষেপ
বার্ষিক মূল্যায়ন প্রকল্পঃ ‘সাইবার নিরাপত্তা এবং নাগরিক সেবা হেল্প ডেস্ক‘
প্রকল্প মূলভাবনা: শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে দুইটি সমস্যা সমাধানে দুটি হেল্প ডেস্ক তৈরি করবে-
থিম | বিবরণ |
১ | সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকি মোকাবেলায় হেল্প ডেস্ক |
২ | নাগরিক সেবা প্রাপ্তি নিশ্চিতকরণে হেল্প ডেস্ক |
শিক্ষার্থীদের কয়েকটি দল তাদের পরিবারের সদস্যরা এবং আশেপাশের মানুষজন সাইবার নিরাপত্তা জনিত কি কি ঝুঁকির সম্মুখীন হয় তা নিজেদের অভিজ্ঞতা থেকে চিহ্নিত করবে। প্রয়োজনে শিক্ষক এবং অভিভাবকের সহায়তা নিয়ে ঝুঁকিগুলো চিহ্নিত করবে।
শিক্ষার্থীদের অন্য কয়েকটি দল তাদের পরিবারের সদস্য এবং আশেপাশের মানুষদের কী ধরনের নাগরিক সেবা প্রয়োজন হয় তা নিজেদের অভিজ্ঞতা থেকে চিহ্নিত করবে। এক্ষেত্রেও প্রয়োজনে তারা শিক্ষক এবং অভিভাবকের সহায়তা নিয়ে নাগরিক সেবার ধরনগুলো চিহ্নিত করবে।
প্রতিটি সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকি কীভাবে মোকাবেলা করা যায় তা শিক্ষার্থীদের দলগুলো অনুসন্ধান করে নির্ণয় করবে। একই ভাবে প্রতিটি নাগরিক সেবা সম্পর্কিত সমস্যার সমাধান শিক্ষার্থীদের অন্য দলগুলো অনুসন্ধান করে নির্ণয় করবে। অনুসন্ধান ও সমস্যা চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা পাঠ্যবই, অন্যান্য বই, পত্র-পত্রিকা, ইন্টারনেট, বিশেষজ্ঞ ব্যক্তি এবং পরিবারের সদস্যদের সহায়তা নিতে পারবে।
শিক্ষার্থীদের দলগুলো উল্লেখিত দুটি ক্ষেত্রের সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য দুটি হেল্প ডেস্ক তৈরি করবে। হেল্প ডেস্ক দুটিতে কোড অনুসরণ করে সমস্যার তালিকা থাকবে এবং সমস্যার সমাধানগুলোও কোড অনুসারে সাজাতে হবে। যে সকল সমস্যা তালিকায় থাকবে না সেগুলো সমাধানের জন্য আরেকটি হেল্প ডেস্ক থাকবে যেখানে শিক্ষার্থীদের প্রতিটি দল থেকে দুই জন করে সদস্য থাকবে সমস্যা সমাধানে সহায়তা প্রদানের জন্য।
এক দলের শিক্ষার্থীরা আরেক দলের হেল্প ডেস্ক থেকে নিজেদের সমস্যার সমাধান নিবে এবং একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য হেল্প ডেস্ক গুলো বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে এবং সকলে হেল্প ডেস্কগুলো থেকে সেবা নিতে পারবে।
সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী ব্যতীত অন্য যারা হেল্প ডেস্কগুলো থেকে সেবা নিবে তারা সেবার মান সম্পর্কে ২/৩ লাইনে রিভিউ লিখবে।কার্যক্রম শেষে শিক্ষার্থীরা প্রত্যেকে ৩০ মিনিট সময় পাবে যে সময় তারা তাদের এই পুরো অভিজ্ঞতাটি সম্পর্কে প্রতিফলনমূলক প্রতিবেদন তৈরি করবে।
প্রতিবেদনে এই পুরো কাজটি কীভাবে হয়েছে তা ফ্লোচার্ট এঁকে প্রকাশ করে দেখাবে এবং হেল্প ডেস্কের মাধ্যমে সেবা প্রদানের পুরো প্রক্রিয়া যদি তারযুক্ত বা তারবিহীন নেটওয়ার্ক কাজে লাগিয়ে করা হতো তাহলে কি করতে হতো তা লিখে প্রকাশ করবে।
ধাপসমূহ : সপ্তম শ্রেণি ডিজিটাল প্রযুক্তি বার্ষিক মূল্যায়ন অ্যাসাইনমেন্ট
ধাপ-১ (প্রথম কর্মদিবস : ৯০ মিনিট)
কাজ-১:
শিক্ষক শিক্ষার্থীদেরকে জোড় সংখ্যক দলে ভাগ করে দিবেন। এক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখতে হবে কোন দলেই যেন ৬ জনের বেশি শিক্ষার্থী না থাকে। দলগুলোকে ১, ২, ৩, 8 এভাবে নামকরণ (নম্বরিং) করবেন।
থিম ১: সাইবার নিরাপত্তা হেল্প ডেস্ক বেজোড় নম্বর (১, ৩, ৫…) দলগুলো এটি তৈরির কাজ করবে।
থিম ২: নাগরিক সেবা হেল্প ডেস্ক জোড় নম্বর ( ২, ৪, ৬…) দলগুলো এটি তৈরির কাজ করবে।
কাজ-২:
১. সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে যে দলগুলো কাজ করবে তারা দলে বসে তাদের পরিবারের সদস্য এবং আশেপাশের মানুষজন কী ধরনের সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকির সম্মুখীন হয় তার তালিকা তৈরি করবে।
২. একই ভাবে নাগরিক সেবা নিয়ে কাজ করা দলগুলোর সব সদস্য দলে বসে তাদের পরিবারের সদস্য এবং আশেপাশের মানুষজনের কী ধরনের নাগরিক সেবা প্রয়োজন হয় তার তালিকা তৈরি করবে।
৩. দুই দলকেই শিক্ষক সমস্যা চিহ্নিতকরণে যথাযথ সহায়তা প্রদান করবেন। পাশাপাশি এক দল অন্য দলকেও সমস্যা চিহ্নিত করণে সহায়তা প্রদান করবে।
৪. সবগুলো সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকি এবার শিক্ষার্থীরা মিলে একটি কাগজে লিখে ফেলবে। প্রতিটি সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকিকে আলাদা আলাদা কোডিং (নাম্বারিং) করবে।
৫. একই ভাবে সবগুলো নাগরিক সেবাকেও শিক্ষার্থীরা একটি কাগজে লিখে ফেলবে এবং আলাদা আলাদা কোডিং (নাম্বারিং) করবে।
কাজ-৩ : সপ্তম শ্রেণি ডিজিটাল প্রযুক্তি বার্ষিক মূল্যায়ন অ্যাসাইনমেন্ট
শিক্ষার্থীরা যেসকল সাইবার নিরাপত্তা জনিত ঝুঁকি / সমস্যা চিহ্নিত করেছে সেগুলোকে শিক্ষক বেজোড় নম্বর দলগুলোর মাঝে ভাগ করে দিবেন। প্রতিটি দল তাদের জন্য নির্ধারিত ঝুকিসমূহ মোকাবেলার উপায় নির্ণয় করে আলাদা আলাদা কাগজে লিখবে।
শিক্ষার্থীর এই কাজ দেখে যোগ্যতা ৭.১ ও ৭.৮ এর পারদর্শিতার নির্দেশক ৭.১.১ ও ৭.৮.১ মূল্যায়ন করতে হবে। (সপ্তম শ্রেণি ডিজিটাল প্রযুক্তি বার্ষিক মূল্যায়ন অ্যাসাইনমেন্ট)
একইভাবে অন্যদলের শিক্ষার্থীরা যেসকল নাগরিক সেবা চিহ্নিত করেছে সেগুলোকে শিক্ষক জোড় নম্বর দলগুলোর মাঝে ভাগ করে দিবেন। প্রতিটি দল তাদের জন্য নির্ধারিত নাগরিক সেবা প্রাপ্তির পদ্ধতিগুলো নির্ণয় করে আলাদা আলাদা কাগজে লিখবে।
শিক্ষার্থীর এই কাজ দেখে সপ্তম শ্রেণি ডিজিটাল প্রযুক্তি বার্ষিক মূল্যায়ন অ্যাসাইনমেন্ট যোগ্যতা ৭.১ ও ৭.৫ এর পারদর্শিতার নির্দেশক ৭.১.১ ও ৭.৫.১ মূল্যায়ন করতে হবে।
*শিক্ষার্থীরা নিজেদের মাঝে কাজগুলো এমনভাবে ভাগ করে নিবে যাতে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকেই কোন না কোন সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকি বা নাগরিক সেবা প্রাপ্তির পদ্ধতি নিয়ে কাজ করতে হয়।
*সপ্তম শ্রেণি ডিজিটাল প্রযুক্তি বার্ষিক মূল্যায়ন অ্যাসাইনমেন্ট এক্ষেত্রে তথ্য সংগ্রহের কাজটি শিক্ষার্থীরা বাড়িতে গিয়ে অভিভাবকদের কাছে জিজ্ঞেস করে, বিভিন্ন বই পড়ে বা ইন্টারনেট থেকে সহায়তা নিয়ে করতে পারবে। কর্মদিবস ২ শুরুর আগেই তথ্যগুলো (সাইবার নিরাপত্তার ঝুঁকি ও নাগরিক সেবার প্রাপ্তির পদ্ধতি) সংগ্রহ করে আলাদা আলাদা কাগজে লিখে ফেলতে হবে।
কাজ ৪:
শিক্ষক শিক্ষার্থীদেরকে কর্মদিবস ২ এর কাজ বুঝিয়ে দিবেন। কর্মদিবস ২ এর কাজ হবে হেল্প ডেস্ক তৈরি করে নিজেরা সেগুলো থেকে সাহায্য পাচ্ছে কিনা তা যাচাই করা। হেল্প ডেস্ক তৈরির জন্য শিক্ষার্থীদের যে কাজগুলো করতে হবে সেগুলো হল-
১. প্রতিটি সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকি মোকাবেলার উপায়কে আলাদা খামে ভরে কোডিং করা। (বিজোড় নম্বর দলগুলোর কাজ);
২. প্রতিটি নাগরিক সেবা প্রাপ্তির পদ্ধতিকে আলাদা খামে ভরে কোডিং করা। (জোড় নম্বর দলগুলোর কাজ);
১. প্রতিটি সমাধানের কোডের সাথে পোস্টারে লেখা সমস্যার (প্রথম কর্মদিবসের কাজ ২) কোডিং এর যেন মিল থাকে তা নিশ্চিত করা।
৩. হেল্প ডেস্ক দুটি স্থাপনের জন্য যায়গা খুঁজে বের করা।
৪. শিক্ষার্থীদের তৈরিকৃত তালিকায় নেই এমন সমস্যা সমাধানের জন্য তৃতীয় একটি মানব হেল্প ডেস্ক তৈরি করা এবং সেখানে বসার জন্য প্রতি দল থেকে একজন/দুইজন করে নির্বাচন করা।
ধাপ ২ (দ্বিতীয় কর্মদিবস : ১০ মিনিট)
প্রয়োজনীয় উপকরণ: (সপ্তম শ্রেণি ডিজিটাল প্রযুক্তি বার্ষিক মূল্যায়ন অ্যাসাইনমেন্ট)
১. টেবিল / ডেস্ক / পোডিয়াম (হেল্প ডেস্ক তৈরির জন্য);
২. খাম (সাইবার ঝুঁকি মোকাবেলার উপায় এবং নাগরিক সেবা প্রাপ্তির পদ্ধতিগুলো আলাদা করে কোডিং করা রাখার জন্য);
৩. পোস্টার পেপার / আর্ট পেপার / সাদা কাগজ / পুরানো ক্যালেন্ডার (হেল্প ডেস্কের সামনে নাম লেখার জন্য);
কাজ-১: সপ্তম শ্রেণি ডিজিটাল প্রযুক্তি বার্ষিক মূল্যায়ন অ্যাসাইনমেন্ট
১. শিক্ষার্থীরা তাদের সমাধানগুলো আলাদা আলাদা খামে ভরে সমস্যার তালিকা অনুসারে কোডিং করবে। কোডিং শিক্ষার্থী নিজের ইচ্ছেমত সংখ্যা বা বর্ণ;
২. হেল্প ডেস্ক দুটি তৈরি করে সমস্যার তালিকাগুলো নিজ নিজ হেল্প ডেস্কের সামনে ঝুলিয়ে দিবে এবং ডেস্কের উপর সমাধানের খামগুলো সাজিয়ে রাখবে।
৩. সপ্তম শ্রেণি ডিজিটাল প্রযুক্তি বার্ষিক মূল্যায়ন অ্যাসাইনমেন্ট শিক্ষার্থীর এই কাজ দেখে যোগ্যতা ৭.২ এর পারদর্শিতার নির্দেশক ৭.২.১ মূল্যায়ন করতে হবে।
কাজ-২:
১. শিক্ষার্থীরা নিজেদের হেল্প ডেস্ক গুলো কাজ করছে কি না তা নিজেরা যাচাই করবে;
২. সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করা দলগুলোর সদস্যরা নাগরিক সেবা নিয়ে কাজ করা দলগুলোর হেল্প ডেস্কে যাবে এবং নাগরিক সেবা নিয়ে কাজ করা দলগুলোর সদস্যরা সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করা দলগুলোর হেল্প ডেস্কে যাবে।
এভাবে দুটি হেল্প ডেস্ক থেকেই প্রয়োজনীয় সহায়তা পাওয়া যাচ্ছে কিনা তা শিক্ষার্থীরা নিজেরা যাচাই করে দেখবে। হেল্প ডেস্কগুলোতে কোন ধরনের সমস্যা পাওয়া গেলে শিক্ষার্থীরা একে অপরকে তা সমাধান করতে সহায়তা করবে।
কাজ-৩:
১. মূল্যায়ন উৎসবের দিন শিক্ষার্থীদেরকে যে প্রতিফলনমূলকও প্রতিবেদনটি লিখতে হবে সেটি সম্পর্কে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের ধারণা প্রদান করবেন।
২. প্রতিবেদনের কিছু কাজ শিক্ষার্থীরা এই সেশনে করবে। শিক্ষার্থীরা তাদের নিজ নিজ দলের কাজগুলো কীভাবে করেছে তা ফ্লোচার্ট এঁকে প্রকাশ করবে।
একই সাথে এই কাজগুলো করার ক্ষেত্রে নেটওয়ার্ক কীভাবে কাজ করেছে তাও শিক্ষার্থীরা নির্ণয় করবে। অর্থ্যাৎ দুইটি দলেরই শিক্ষার্থীর পুরো কার্যক্রমের মধ্যে নেটওয়ার্ক এর বিভিন্ন উপাদান কিভাবে কাজ করেছে তা লিখবে।
শিক্ষার্থীর এই কাজ দেখে যোগ্যতা ৭.২ এর পারদর্শিতার নির্দেশক ৭.২.১ সপ্তম শ্রেণি ডিজিটাল প্রযুক্তি বার্ষিক মূল্যায়ন অ্যাসাইনমেন্ট মূল্যায়ন করতে হবে।
কাজ-8:
মূল্যায়ন উৎসবের দিন হেল্প ডেস্ক গুলো উদ্বোধনের জন্য শিক্ষার্থীরা প্রাতিষ্ঠানিক যোগাযোগের নিয়ম মেনে তাদের প্রধান শিক্ষক এবং বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষকদের আমন্ত্রণ জানাবে।
শিক্ষার্থীর এই কাজ দেখে যোগ্যতা ৭.১ এর পারদর্শিতার নির্দেশক ৭.৯.১ সপ্তম শ্রেণি ডিজিটাল প্রযুক্তি বার্ষিক মূল্যায়ন অ্যাসাইনমেন্ট মূল্যায়ন করতে হবে।
কাজ-৫:
শিক্ষক শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন উৎসবের দিনের কাজ বুঝিয়ে দিবেন। মূল্যায়ন উৎসবের দিন শিক্ষার্থীরা যে কাজগুলো করবে সেগুলো হল-
১. হেল্প ডেস্কগুলো কোড অনুসারে সাজিয়ে সেগুলো সবার জন্য উন্মুক্ত করা। (১ থেকে ১.৫ ঘণ্টার জন্য)
২. হেল্প ডেস্ক গুলো থেকে কোড অনুসারে সহায়তা না পেলে যে মানব হেল্প ডেস্কে যেতে হবে সেটি তৈরি করা এবং সেখানে কোন শিক্ষার্থীরা থাকবে তা নির্ধারণ করা।
৩. হেল্প ডেস্কের মাধ্যমে সহায়তা প্রদান শেষে পুরো অভিজ্ঞতাটি নিয়ে একটি প্রতিফলনমূলক প্রতিবেদন লেখা। (সপ্তম শ্রেণি ডিজিটাল প্রযুক্তি বার্ষিক মূল্যায়ন অ্যাসাইনমেন্ট)
ধাপ-৩ (তৃতীয় কর্মদিবস : ১২০ মিনিট বা প্রয়োজনে কিছুটা বেশি সময়)
প্রয়োজনীয় উপকরণ:
১. টেবিল / ডেস্ক / পোডিয়াম (হেল্প ডেস্ক তৈরির জন্য);
২. পোস্টার পেপার / আর্ট পেপার / সাদা কাগজ / পুরানো ক্যালেন্ডার (হেল্প ডেস্কের সামনে নাম লেখার জন্য) ডায়রি / খাতা / সাদা কাগজ (সহায়তা গ্রহণকারীদের রিভিউ লেখার জন্য)
কাজ ১:
শিক্ষার্থীরা তাদের হেল্প ডেস্ক গুলো সাজিয়ে প্রস্তুত করে সহায়তা প্রদানের জন্য উন্মুক্ত করবে।
কাজ ২:
বিদ্যালয়ের অন্যান্য শ্রেণির শিক্ষার্থীবৃন্দ, শিক্ষক বৃন্দ এবং কর্মকর্তা-কর্মচারী বৃন্দ হেল্প ডেস্কগুলো থেকে সহায়তা নিবে। সহায়তা নেয়ার ক্ষেত্রে কোনও ধরনের সমস্যা হচ্ছে কিনা তার প্রতি শিক্ষার্থীরা লক্ষ্য রাখবে। সহায়তা গ্রহণকারীরা যেন রিভিউ প্রদান করেন সেটি শিক্ষার্থীরা নিশ্চিত করবে।
শিক্ষার্থীর এই কাজ দেখে যোগ্যতা ৭.৯ এর পারদর্শিতার নির্দেশক ৭.৯.১ মূল্যায়ন করতে হবে।
কাজ ৩:
শিক্ষার্থীরা প্রত্যেকে আলাদা আলাদা ভাবে তাদের প্রতিফলনমূলক প্রতিবেদনটি তৈরি করবে। প্রতিবেদনে শিক্ষার্থী পুরো কাজটি করতে গিয়ে নিজেদের অনুভূতি লিখবে, নতুন কি জানতে পারল তা লিখবে।
প্রতিবেদনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ, এই পুরো কাজটি যদি তারা তারবিহীন এবং তারযুক্ত নেটওয়ার্কের সাহায্য করত তাহলে তারা কীভাবে করত বলে সে মনে করে। (এখানে শিক্ষার্থী ‘বন্ধু নেটওয়ার্কে ভাব বিনিময়’ অভিজ্ঞতাটি থেকে যা নতুন যা জেনেছে বা অভিজ্ঞতা করেছে তার ভিত্তিতে লিখবে)
শিক্ষার্থীর এই কাজ দেখে যোগ্যতা সপ্তম শ্রেণি ডিজিটাল প্রযুক্তি বার্ষিক মূল্যায়ন অ্যাসাইনমেন্ট ৭.৩ এর পারদর্শিতার নির্দেশক ৭.৩.১ মূল্যায়ন করতে হবে।
শিক্ষকের কাজ: সপ্তম শ্রেণি ডিজিটাল প্রযুক্তি বার্ষিক মূল্যায়ন অ্যাসাইনমেন্ট
১. শিক্ষক নির্দেশনাটি সম্পূর্ণ ভালভাবে পড়ে শিক্ষার্থীদের পুরো কাজটি বুঝিয়ে বলবেন।
২. শিক্ষার্থীদের দলে ভাগ করে কাজ ভাগ করে দিবেন।
৩. তথ্য অনুসন্ধানের জন্য শিক্ষার্থীদের যথাযথ সহায়তা করবেন।
৪. শিক্ষার্থীরা সঠিক ভাবে তথ্য সংগ্রহ করতে পেরেছে কিনা তা যাচাই করবেন এবং দলগত কাজগুলোতে যাতে দলের সকল সদস্য অংশগ্রহণ করে তা নিশ্চিত করবেন।
৫. শিক্ষার্থীদের দলগত কাজগুলো পর্যবেক্ষণ করে প্রয়োজনীয় নোট নিবেন।
৬. ডিজিটাল প্রযুক্তি বিষয়ের মূল্যায়ন উৎসবের দিন প্রধান শিক্ষক, অন্যান্য শিক্ষক, অন্যান্য শ্রেণির শিক্ষার্থী, এবং বিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিত থাকতে অনুরোধ করবেন। একই সাথে তারা যেন হেল্প ডেস্ক গুলো থেকে সহায়তা নিয়ে তাঁর রিভিউ দেয় তা নিশ্চিত করবেন।
৭. শিক্ষার্থীদের প্রতিবেদন লেখার জন্য ৩০ মিনিট সময় নির্ধারণ করে দিবেন।
৮. মূল্যায়নের তিন দিনের পর্যবেক্ষণ এবং শেষ দিনের প্রতিবেদন ও হেল্প ডেস্কের রিভিউ অনুসারে শিক্ষার্থী যোগ্যতা অর্জনের কোন ধাপে আছে তা নির্ধারন করবেন।
৯. শিক্ষার্থী যে প্রতিবেদন জমা দিবে সেটি এবং শিক্ষার্থীদের তৈরি হেল্প ডেস্কের সমস্যার সমাধানগুলোকে শিক্ষার্থীর যোগ্যতা অর্জনের রেকর্ড হিসেবে সংরক্ষণ করবেন।
অধ্যায়ন ডট কম এর সকল আপডেট সবার আগে পাওয়ার জন্য আমাদের ফেসবুক পেজটি লাইক এবং ফলো করে রাখুন, ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করে রাখুন এবং আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন।
খুব ভালো
It would be nice to answer the sample in Session 2.
অনেক উপকারি ধন্যবাদ!
It would be nice to answer the sample in Session 2.
pdf chai