স্কুলে ও বাড়িতে ব্যবহৃত প্রযুক্তি, গঠণ ও কার্যাবলি

স্কুলে ও বাড়িতে ব্যবহৃত প্রযুক্তি, গঠণ ও কার্যাবলি: প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা, তোমাদের জন্য আজ আলোচনা করবো স্কুলে ও বাড়িতে কী কী প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়, সেগুলোর মধ্যে কোনগুলো জ্বালানি ব্যবহার করে আর কোনোগুলো করেনা, প্রযুক্তিগুলোর কাজের ধরণ, মানব জীবনে প্রভাব, স্কুলে ও বাড়িতে ব্যবহৃত প্রযুক্তিগুলোর গঠণ সম্পর্কে জানতে পারবে।

সেই সাথে স্কুলে ও বাড়িতে কী কী প্রযুক্তি ব্যবহার করতে কী ধরনের শক্তি ব্যবহৃত হয় এবং এই প্রক্রিয়ায় শক্তি কীভাবে স্থানান্তরিত ও রূপান্তরিত হয় নির্ধারিত প্রযুক্তিসমূহ ব্যবহারের ক্ষেত্রে শক্তি কোথা থেকে আসে, শক্তির কী ধরনের স্থানান্তর ও রূপান্তর ঘটে তাও বের করতে পারবো।

এই আর্টিকেল তোমাদের ষষ্ঠ শ্রেণি বিজ্ঞান বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান করতে অনেক সহযোগিতা করবে। তবে তোমাদের নিকট অনুরোধ থাকবে এখান থেকে তথ্যে নিয়ে নিজেদের মত করে উপস্থাপন করবো।

স্কুলে ও বাড়িতে ব্যবহৃত প্রযুক্তি, গঠণ ও কার্যাবলি

কাজের ধারাবাহিকতা

২০২৩ সালের ৬ষ্ঠ শ্রেণির বিজ্ঞান বিষয়ের বাৎসরিক সামষ্টিক মূল্যায়ন কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের স্কুলে ও বাড়িতে ব্যবহৃত প্রযুক্তি এবং সেগুলো কিভাবে কাজ করে, মানব জীবনে এগুলোর প্রভাবসহ বিভিন্ন অ্যাসাইনমেন্ট রয়েছে।

অধ্যয়ন ডট কম এর পক্ষ থেকে আজ স্কুলে ও বাড়ী ব্যবহৃত প্রযুক্তিগুলোর তালিকা তৈরি করাসহ সকল কাজ ধারাবাহিকভাবে তৈরি করে তোমাদের সামনে উপস্থাপন করবো। আমাদের কাজের ধারাবাহিকতা নিচে দেওয়া হল-

১. স্কুল ও বাড়ীতে ব্যবহৃত প্রযুক্তিগুলোর তালিকা খুঁজে বের করা;

২. কোন কোন ক্ষেত্রে জ্বালানি প্রয়োজন হয়, আর কোনগুলো জ্বালানি ছাড়াই কাজ করে সেগুলোকে আলাদা করে দুইটি পৃথক তালিকা তৈরি;

৩. স্কুলে ও বাড়িতে ব্যবহৃত প্রযুক্তি সমূহের গঠণ সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ;

৪. কাজের প্রবাহ চিত্র বা ফ্লো চার্ট;

৫. প্রযুক্তি ব্যবহার করতে ব্যবহৃত শক্তির ধরণ;

৬. স্কুলে ও বাড়িতে ব্যবহৃত প্রযুক্তি ব্যবহৃত জ্বালানির ধরণ ও পরিমাণ;

৭. নির্ধারিত প্রযুক্তিসমূহ ব্যবহারের ক্ষেত্রে শক্তি কোথা থেকে আসে, শক্তির কী ধরনের স্থানান্তর ও রূপান্তর ঘটে তা খুঁজে বের করা;

৮. দুইটি প্রযুক্তির নকশা আঁকা বা মডেল তৈরি করা;

৯. বাড়িতে ও স্কুলে ব্যবহৃত প্রযুক্তির পরিবেশগত প্রভাব অনুসন্ধান;

১০. জ্বালানির ব্যবহার ও অপচয়, বিভিন্ন ধরনের দূষণ, মানবস্বাস্থ্যের উপর প্রভাব চিহ্নিত করণ;

আরও পড়ুনঃ ষষ্ঠ শ্রেণি শিল্প ও সংস্কৃতি বাৎসরিক সামষ্টিক মূল্যায়ন অ্যাসাইনমেন্ট ও সমাধান ২০২৩

স্কুলে ও বাড়িতে ব্যবহৃত প্রযুক্তি সমূহের তালিকা

নিচের ছকে তোমাদের জন্য কয়েকটি স্কুলে ও বাড়িতে ব্যবহৃত প্রযুক্তির তালিকা দেওয়া হলো। খুব ভালোভাবে সেগুলো লক্ষ্য করো। এমন খাঁতায় নোট করে নাও-

স্কুলে ব্যবহৃত প্রযুক্তি

জ্বালানি প্রয়োজনজ্বালানি ছাড়া
ল্যাপটপডিজিটাল বোর্ড
কম্পিউটারসোলার প্যানেল
প্রজেক্টর
মাল্টিমিডিয়া সেন্টার
ই-বুক রিডার
ইলেকট্রনিক ল্যাবরেটরি যন্ত্রপাতি
স্কুলে ব্যবহৃত প্রযুক্তি

বাড়িতে ব্যবহৃত প্রযুক্তি

জ্বালানি প্রয়োজনজ্বালানি ছাড়া
কম্পিউটারডিজিটাল ক্যামেরা
ল্যাপটপসাধারণ ক্যামেরা
স্মার্টফোনসাধারণ খেলনা
ট্যাবলেটসোলার প্যানেল
টিভিঘড়ি
রেডিওপেপার ফ্যান
ওয়াশিং মেশিনবায়ুচলাচল ব্যবস্থা
ফ্রিজ
মাইক্রোওয়েভ ওভেন
এয়ার কন্ডিশনার
ইলেকট্রিক হিটার
ওয়াটার হিটার
বাড়িতে ব্যবহৃত প্রযুক্তি
উল্লেখ্য যে, এই তালিকায় শুধুমাত্র কিছু সাধারণ উদাহরণ দেওয়া হয়েছে। আরও অনেক ক্ষেত্রে জ্বালানি প্রয়োজন হয় বা জ্বালানি ছাড়াই কাজ করে।

স্কুলে ব্যবহৃত প্রযুক্তিগুলোর গঠণ

স্কুলে ব্যবহৃত প্রযুক্তি শিক্ষা প্রক্রিয়াকে আরও সহজ, কার্যকর এবং আকর্ষণীয় করে তুলতে সাহায্য করে। স্কুলে ব্যবহৃত কিছু সাধারণ প্রযুক্তি হল:

কম্পিউটার

কম্পিউটার হল একটি সাধারণ কম্পিউটিং ডিভাইস যা বিভিন্ন ধরনের কাজ করার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। যা স্কুলে ও বাড়িতে ব্যবহৃত প্রযুক্তি সমূহের মধ্যে সবচেয়ে কমন। স্কুলে, কম্পিউটারগুলি সাধারণত শিক্ষামূলক উপকরণগুলি অ্যাক্সেস করার জন্য, গবেষণা করার জন্য, এবং বিভিন্ন ধরনের সৃজনশীল কাজ করার জন্য ব্যবহৃত হয়।

একটি কম্পিউটারের প্রধান অংশগুলি হল:

কম্পিউটার হার্ডওয়্যার: কম্পিউটার হার্ডওয়্যার হল সেই শারীরিক উপাদান যা কম্পিউটারকে তৈরি করে। কম্পিউটার হার্ডওয়্যারের মধ্যে রয়েছে:

মাদারবোর্ড: মাদারবোর্ড হল কম্পিউটারের মূল চিপসেট। এটি অন্যান্য সমস্ত হার্ডওয়্যার উপাদানগুলিকে সংযুক্ত করে।

প্রসেসর: প্রসেসর হল কম্পিউটারের মস্তিষ্ক। এটি কম্পিউটারের সমস্ত কাজ পরিচালনা করে।

মেমরি: মেমরি হল কম্পিউটারের সংরক্ষণ স্থান। এটি প্রোগ্রাম, ফাইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করে।

স্টোরেজ ডিভাইস: স্টোরেজ ডিভাইসগুলি দীর্ঘ সময়ের জন্য তথ্য সংরক্ষণ করে। উদাহরণস্বরূপ, হার্ড ড্রাইভ, সলিড-স্টেট ড্রাইভ এবং অপটিক্যাল ডিস্কগুলি স্টোরেজ ডিভাইস।

ইনপুট ডিভাইস: ইনপুট ডিভাইসগুলি ব্যবহারকারীর কাছ থেকে তথ্য গ্রহণ করে। উদাহরণস্বরূপ, কীবোর্ড, মাউস এবং ট্যাবলেট ইনপুট ডিভাইস।

আউটপুট ডিভাইস: আউটপুট ডিভাইসগুলি কম্পিউটারের তথ্য প্রদর্শন করে। উদাহরণস্বরূপ, মনিটর, প্রিন্টারে আউটপুট ডিভাইস।

আরও দেখুনঃ ষষ্ঠ শ্রেণি ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বার্ষিক মূল্যায়ন অ্যাসাইনমেন্ট ও সমাধান ২০২৩

ল্যাপটপ

এগুলো বহনযোগ্য কম্পিউটার যা একটি কম্পিউটারের সমস্ত বৈশিষ্ট্য প্রদান করে, তবে এটি একটি ছোট আকারে আসে যা এটিকে বহন করা সহজ করে তোলে। ল্যাপটপের গঠন নিম্নরূপ:

ল্যাপটপ এর বাহ্যিক গঠন নিম্নলিখিত অংশগুলি নিয়ে গঠিত:

কভার: কভার হল ল্যাপটপের বাইরের অংশ। এটি সাধারণত প্লাস্টিক বা ধাতব দিয়ে তৈরি হয়।

ডিসপ্লে: ডিসপ্লে হল ল্যাপটপের প্রদর্শন। এটি সাধারণত একটি তরল স্ক্রিন ডিসপ্লে (এলসিডি) বা একটি অ-তরল স্ক্রিন ডিসপ্লে (এনএলসিডি)।

কিবোর্ড: কীবোর্ড হল ল্যাপটপের ইনপুট ডিভাইস। এটি ব্যবহারকারীর কাছ থেকে টেক্সট এবং অন্যান্য ইনপুট গ্রহণ করে।

টাচপ্যাড: টাচপ্যাড হল ল্যাপটপের একটি টাচস্ক্রিন ইনপুট ডিভাইস। এটি ব্যবহারকারীর কাছ থেকে টেক্সট এবং অন্যান্য ইনপুট গ্রহণ করতে ব্যবহৃত হয়।

স্পিকার: স্পিকারগুলি হল ল্যাপটপের আউটপুট ডিভাইস। এগুলি সঙ্গীত, ভিডিও এবং অন্যান্য অডিও ফাইলগুলি প্লে করে।

মাইক্রোফোন: মাইক্রোফোন হল ল্যাপটপের ইনপুট ডিভাইস। এটি ব্যবহারকারীর কণ্ঠস্বর গ্রহণ করে।

পোর্ট: পোর্টগুলি হল ল্যাপটপের সংযোগ বিন্দু। এগুলি অন্যান্য ডিভাইসগুলিকে ল্যাপটপের সাথে সংযুক্ত করতে ব্যবহৃত হয়।

ল্যাপটপের অভ্যন্তরীণ গঠন নিম্নলিখিত অংশগুলি নিয়ে গঠিত:

মাদারবোর্ড: মাদারবোর্ড হল ল্যাপটপের মূল চিপসেট। এটি অন্যান্য সমস্ত হার্ডওয়্যার উপাদানগুলিকে সংযুক্ত করে।

প্রসেসর: প্রসেসর হল ল্যাপটপের মস্তিষ্ক। এটি ল্যাপটপের সমস্ত কাজ পরিচালনা করে।

মেমরি: মেমরি হল ল্যাপটপের সংরক্ষণ স্থান। এটি প্রোগ্রাম, ফাইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করে।

স্টোরেজ ডিভাইস: স্টোরেজ ডিভাইসগুলি দীর্ঘ সময়ের জন্য তথ্য সংরক্ষণ করে। উদাহরণস্বরূপ, হার্ড ড্রাইভ, সলিড-স্টেট ড্রাইভ এবং অপটিক্যাল ডিস্কগুলি স্টোরেজ ডিভাইস।

গ্রাফিক্স কার্ড: গ্রাফিক্স কার্ড হল ল্যাপটপের গ্রাফিক্স চিপ। এটি ভিডিও এবং গ্রাফিক্স প্রক্রিয়াকরণ করে।

ব্যাটারি: ব্যাটারি হল ল্যাপটপের শক্তির উৎস। এটি ল্যাপটপকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে যখন এটি বিদ্যুৎ সংযোগ থেকে সংযুক্ত থাকে না।

ল্যাপটপের বাহ্যিক গঠন এবং অভ্যন্তরীণ গঠন একসাথে কাজ করে একটি বহনযোগ্য এবং কার্যকর কম্পিউটার তৈরি করে। এটিও স্কুলে ও বাড়িতে ব্যবহৃত প্রযুক্তি সমূহের মধ্যে বহুল ব্যবহৃত ডিভাইস।

কম্পিউটারের কাজ করার ফ্লো চার্ট বা প্রবাহ চিত্র

কম্পিউটারের কাজ করার একটি সাধারণ প্রবাহচিত্র নিম্নরূপ:

প্রবেশ (Input): কম্পিউটারের সাথে যোগাযোগের জন্য ব্যবহারকারীর পক্ষ থেকে তথ্যের প্রবেশ। এটি কীবোর্ড, মাউস, কমান্ড লাইন বা অন্যান্য ইনপুট ডিভাইসের মাধ্যমে হতে পারে।

প্রক্রিয়াকরণ (Processing): কম্পিউটার ইনপুট তথ্য গ্রহণ করে এবং এটিকে প্রয়োজনীয় ফলাফল তৈরি করার জন্য প্রক্রিয়া করে। এটি বিভিন্ন ধরনের গাণিতিক, যুক্তিগত এবং নিয়ন্ত্রণমূলক কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে।

প্রস্থান (Output): প্রক্রিয়াকরণ ফলাফলের আউটপুট। এটি মনিটর, প্রিন্টারে, অডিও সিস্টেমে বা অন্যান্য আউটপুট ডিভাইসে প্রদর্শিত হতে পারে।

আরও দেখুনঃ ষষ্ঠ শ্রেণি ডিজিটাল প্রযুক্তি বার্ষিক মূল্যায়ন অ্যাসাইনমেন্ট ও সমাধান ২০২৩

কম্পিউটার প্রযুক্তি ব্যবহার করতে ব্যবহৃত শক্তির ধরন

কম্পিউটার প্রযুক্তি ব্যবহার করতে ব্যবহৃত শক্তির ধরনগুলি হল:

  • বিদ্যুৎ: বিদ্যুৎ হল কম্পিউটার প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য সবচেয়ে সাধারণ ধরণের শক্তি। কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার, যেমন মাইক্রোপ্রসেসর, মেমরি এবং স্টোরেজ ডিভাইসগুলি বিদ্যুৎ চালিত।
  • সৌর শক্তি: সৌর শক্তি হল একটি পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির উৎস যা সূর্যের আলো থেকে আসে। সৌর প্যানেলগুলি সূর্যের আলোকে বিদ্যুতে রূপান্তর করতে পারে, যা কম্পিউটার প্রযুক্তি চালানোর জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।
  • বায়ু শক্তি: বায়ু শক্তি হল একটি পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির উৎস যা বায়ুর গতি থেকে আসে। বায়ু টারবাইনগুলি বায়ুর গতিকে বিদ্যুতে রূপান্তর করতে পারে, যা কম্পিউটার প্রযুক্তি চালানোর জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।
  • জল শক্তি: জল শক্তি হল একটি পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির উৎস যা জলের প্রবাহ থেকে আসে। জল টারবাইনগুলি জলের প্রবাহকে বিদ্যুতে রূপান্তর করতে পারে, যা কম্পিউটার প্রযুক্তি চালানোর জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।

কম্পিউটার প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য ব্যবহৃত শক্তির ধরনগুলি নির্ভর করে বিভিন্ন কারণের উপর, যেমন:

  • কম্পিউটার প্রযুক্তির অবস্থান: কম্পিউটার প্রযুক্তি যদি এমন একটি স্থানে অবস্থিত হয় যেখানে বিদ্যুৎ সরবরাহের সুযোগ নেই, তাহলে সৌর শক্তি, বায়ু শক্তি, জল শক্তি বা অন্যান্য পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির উৎস ব্যবহার করা যেতে পারে।
  • কম্পিউটার প্রযুক্তির ব্যবহারের পরিমাণ: কম্পিউটার প্রযুক্তি যদি কম ব্যবহার করা হয়, তাহলে বিদ্যুৎ বা অন্যান্য পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির উৎস ব্যবহার করা কম ব্যয়বহুল হতে পারে।
  • কম্পিউটার প্রযুক্তির স্থায়িত্ব: বিদ্যুৎ হল একটি নন-পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির উৎস, তাই এটি ব্যবহারের ফলে জলবায়ু পরিবর্তনের মতো সমস্যাগুলির দিকে পরিচালিত করতে পারে। পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির উৎসগুলি ব্যবহার করা পরিবেশের জন্য আরও টেকসই হতে পারে।

কম্পিউটার প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য ব্যবহৃত শক্তির ধরনগুলি নির্বাচন করার সময়, এই সমস্ত বিষয়গুলি বিবেচনা করা গুরুত্বপূর্ণ।

আরও পড়ুনঃ ষষ্ঠ শ্রেণি ইসলাম শিক্ষা বাৎসরিক সামষ্টিক মূল্যায়ন অ্যাসাইনমেন্ট ও সমাধান ২০২৩

প্রজেক্টর প্রযুক্তির গঠণ

রজেক্টর হল একটি ডিভাইস যা একটি ছোট চিত্রকে একটি বড় পর্দায় প্রজেক্ট করে। প্রজেক্টরের মূল উপাদানগুলি হল:

লাইট উৎস: প্রজেক্টরের লাইট উৎস হল একটি লেজার, প্রদীপ বা LED

লেন্স: লেন্সটি লাইটকে একটি কেন্দ্রীভূত রশ্মিতে রূপান্তর করে।

মিরর: মিররটি লাইটকে পর্দার দিকে প্রতিফলিত করে।

প্রজেক্টরের কাজের প্রবাহ চিত্র

প্রজেক্টরের কাজের প্রবাহ চিত্রটি নিম্নরূপ:

  1. লাইট উৎস থেকে লাইট প্রবাহিত হয়।
  2. লেন্সটি লাইটকে কেন্দ্রীভূত রশ্মিতে রূপান্তর করে।
  3. মিররটি লাইটকে পর্দার দিকে প্রতিফলিত করে।
  4. লাইট পর্দায় আঘাত করে এবং একটি বড় চিত্র তৈরি করে।

ব্যবহৃত শক্তির ধরণ

প্রজেক্টর বিদ্যুৎ দ্বারা চালিত হয়। লাইট উৎস, লেন্স এবং মিরর সবই বিদ্যুৎ ব্যবহার করে।

শক্তির উৎস

প্রজেক্টরের বিদ্যুতের উৎস হল একটি বিদ্যুৎ সরবরাহ। বিদ্যুৎ সরবরাহটি একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ গ্রহণ করতে পারে, যা সাধারণত জীবাশ্ম জ্বালানি বা পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি থেকে শক্তি উৎপন্ন করে।

শক্তির কী ধরণের স্থানান্তর ও রূপান্তর ঘটে

প্রজেক্টরে, শক্তির তিনটি ধরণের স্থানান্তর এবং রূপান্তর ঘটে:

  • রাসায়নিক শক্তি থেকে বিদ্যুৎ শক্তিতে রূপান্তর: জীবাশ্ম জ্বালানি বা পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে রাসায়নিক শক্তিকে বিদ্যুৎ শক্তিতে রূপান্তরিত করে।
  • বিদ্যুৎ শক্তি থেকে আলোক শক্তিতে রূপান্তর: প্রজেক্টরের লাইট উৎস বিদ্যুৎ শক্তিকে আলোক শক্তিতে রূপান্তরিত করে।
  • আলোক শক্তি থেকে তাপ শক্তিতে রূপান্তর: প্রজেক্টরের লাইট উৎস এবং অন্যান্য উপাদান কিছু আলোক শক্তিকে তাপ শক্তিতে রূপান্তরিত করে।

প্রজেক্টর প্রযুক্তির গঠণ

প্রজেক্টর হল একটি ডিভাইস যা একটি ছোট চিত্রকে একটি বড় পর্দায় প্রজেক্ট করে। প্রজেক্টরের মূল উপাদানগুলি হল:

  • লাইট উৎস: প্রজেক্টরের লাইট উৎস হল একটি লেজার, প্রদীপ বা LED।
  • লেন্স: লেন্সটি লাইটকে একটি কেন্দ্রীভূত রশ্মিতে রূপান্তর করে।
  • মিরর: মিররটি লাইটকে পর্দার দিকে প্রতিফলিত করে।

প্রজেক্টরের কাজের প্রবাহ চিত্র

প্রজেক্টরের কাজের প্রবাহ চিত্রটি নিম্নরূপ:

  1. লাইট উৎস থেকে লাইট প্রবাহিত হয়।
  2. লেন্সটি লাইটকে কেন্দ্রীভূত রশ্মিতে রূপান্তর করে।
  3. মিররটি লাইটকে পর্দার দিকে প্রতিফলিত করে।
  4. লাইট পর্দায় আঘাত করে এবং একটি বড় চিত্র তৈরি করে।

ব্যবহৃত শক্তির ধরণ

প্রজেক্টর বিদ্যুৎ দ্বারা চালিত হয়। লাইট উৎস, লেন্স এবং মিরর সবই বিদ্যুৎ ব্যবহার করে।

শক্তির উৎস

প্রজেক্টরের বিদ্যুতের উৎস হল একটি বিদ্যুৎ সরবরাহ। বিদ্যুৎ সরবরাহটি একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ গ্রহণ করতে পারে, যা সাধারণত জীবাশ্ম জ্বালানি বা পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি থেকে শক্তি উৎপন্ন করে।

শক্তির কী ধরণের স্থানান্তর ও রূপান্তর ঘটে

প্রজেক্টরে, শক্তির তিনটি ধরণের স্থানান্তর এবং রূপান্তর ঘটে:

  • রাসায়নিক শক্তি থেকে বিদ্যুৎ শক্তিতে রূপান্তর: জীবাশ্ম জ্বালানি বা পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে রাসায়নিক শক্তিকে বিদ্যুৎ শক্তিতে রূপান্তরিত করে।
  • বিদ্যুৎ শক্তি থেকে আলোক শক্তিতে রূপান্তর: প্রজেক্টরের লাইট উৎস বিদ্যুৎ শক্তিকে আলোক শক্তিতে রূপান্তরিত করে।
  • আলোক শক্তি থেকে তাপ শক্তিতে রূপান্তর: প্রজেক্টরের লাইট উৎস এবং অন্যান্য উপাদান কিছু আলোক শক্তিকে তাপ শক্তিতে রূপান্তরিত করে।

পরিবেশের উপর প্রভাব

প্রজেক্টরের পরিবেশের উপর প্রভাব নির্ভর করে এটি কী ধরনের শক্তি ব্যবহার করে এবং এটি কতটা দক্ষতার সাথে ব্যবহার করে।

  • জীবাশ্ম জ্বালানি দ্বারা চালিত প্রজেক্টরগুলি জলবায়ু পরিবর্তনের মতো সমস্যাগুলি অবদান রাখতে পারে।
  • পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি দ্বারা চালিত প্রজেক্টরগুলি পরিবেশের জন্য কম ক্ষতিকর।
  • দক্ষ প্রজেক্টরগুলি কম বিদ্যুৎ ব্যবহার করে, যা পরিবেশের উপর কম চাপ সৃষ্টি করে।

প্রজেক্টরের পরিবেশগত প্রভাব কমাতে, পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি দ্বারা চালিত প্রজেক্টরগুলি ব্যবহার করা এবং দক্ষ প্রজেক্টরগুলি বেছে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।

ওয়াশিং মেশিন প্রযুক্তির গঠণ

ওয়াশিং মেশিন হল একটি যন্ত্র যা কাপড় ধুয়ে পরিষ্কার করে। ওয়াশিং মেশিনের মূল উপাদানগুলি হল:

ট্যাঙ্ক: ট্যাঙ্কটি কাপড় এবং জল ধরে রাখে।

পাম্প: পাম্পটি জলকে ট্যাঙ্কের মধ্যে প্রবেশ এবং নির্গত করে।

ডিটারজেন্ট ট্রে: ডিটারজেন্ট ট্রে ডিটারজেন্ট এবং পরিষ্কারক এজেন্টগুলি ধরে রাখে।

ফিল্টার: ফিল্টার জল থেকে ময়লা এবং অন্যান্য কণা দূর করে।

ওয়াশিং মেশিনের কাজের প্রবাহ চিত্র

ওয়াশিং মেশিনের কাজের প্রবাহ চিত্রটি নিম্নরূপ:

  1. ব্যবহারকারী ওয়াশিং মেশিনে কাপড় এবং ডিটারজেন্ট লোড করে।
  2. ব্যবহারকারী ওয়াশিং প্রোগ্রাম নির্বাচন করে।
  3. ওয়াশিং মেশিন ট্যাঙ্ককে জল দিয়ে পূর্ণ করে।
  4. ওয়াশিং মেশিন ডিটারজেন্ট ট্রে থেকে ডিটারজেন্ট এবং পরিষ্কারক এজেন্টগুলি দ্রবীভূত করে।
  5. ওয়াশিং মেশিন ট্যাঙ্ককে ঘোরায় এবং পাম্প ব্যবহার করে জলকে কাপড়ের উপরে প্রবাহিত করে।
  6. ওয়াশিং মেশিন কাপড়গুলিকে ঘষে পরিষ্কার করে।
  7. ওয়াশিং মেশিন জলকে নিষ্কাশন করে।
  8. ওয়াশিং মেশিন কাপড়গুলিকে শুকায়।

ব্যবহৃত শক্তির ধরণ

ওয়াশিং মেশিন বিদ্যুৎ দ্বারা চালিত হয়। ট্যাঙ্ক ঘোরানো, পাম্প চালানো এবং অন্যান্য কাজগুলির জন্য বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হয়।

শক্তির উৎস

ওয়াশিং মেশিনের বিদ্যুতের উৎস হল একটি বিদ্যুৎ সরবরাহ। বিদ্যুৎ সরবরাহটি একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ গ্রহণ করতে পারে, যা সাধারণত জীবাশ্ম জ্বালানি বা পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি থেকে শক্তি উৎপন্ন করে।

শক্তির কী ধরণের স্থানান্তর ও রূপান্তর ঘটে

ওয়াশিং মেশিনে, শক্তির তিনটি ধরণের স্থানান্তর এবং রূপান্তর ঘটে:

  • রাসায়নিক শক্তি থেকে বিদ্যুৎ শক্তিতে রূপান্তর: জীবাশ্ম জ্বালানি বা পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে রাসায়নিক শক্তিকে বিদ্যুৎ শক্তিতে রূপান্তরিত করে।
  • বিদ্যুৎ শক্তি থেকে যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তর: ওয়াশিং মেশিনের মোটর বিদ্যুৎ শক্তিকে যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তরিত করে।
  • যান্ত্রিক শক্তি থেকে তাপ শক্তিতে রূপান্তর: ওয়াশিং মেশিনের ট্যাঙ্ক এবং পাম্প কিছু যান্ত্রিক শক্তিকে তাপ শক্তিতে রূপান্তরিত করে।

পরিবেশের উপর প্রভাব

ওয়াশিং মেশিনের পরিবেশের উপর প্রভাব নির্ভর করে এটি কী ধরনের শক্তি ব্যবহার করে এবং এটি কতটা দক্ষতার সাথে ব্যবহার করে।

জীবাশ্ম জ্বালানি দ্বারা চালিত ওয়াশিং মেশিনগুলি জলবায়ু পরিবর্তনের মতো সমস্যাগুলি অবদান রাখতে পারে।

পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি দ্বারা চালিত ওয়াশিং মেশিনগুলি পরিবেশের জন্য কম ক্ষতিকর।

দক্ষ ওয়াশিং মেশিনগুলি কম বিদ্যুৎ ব্যবহার করে, যা পরিবেশের উপর কম চাপ সৃষ্টি করে।

জ্বালানির ব্যবহার ও অপচয়

এগুলো হল এমন একটি পদার্থ যা তাপ বা শক্তি উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত হয়। জ্বালানি বিভিন্ন ধরণের হতে পারে, যেমন জীবাশ্ম জ্বালানি (তেল, গ্যাস, কয়লা), পারমাণবিক জ্বালানি, এবং পুনর্নবীকরণযোগ্য জ্বালানি (সৌর শক্তি, বায়ু শক্তি, জল শক্তি, জীবাশ্ম জ্বালানির অপচয়)।

জ্বালানি ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন কাজ করতে পারি, যেমন:

বিদ্যুৎ উৎপাদন: বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলি জীবাশ্ম জ্বালানি, পারমাণবিক জ্বালানি বা পুনর্নবীকরণযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করে।

পরিবহন: গাড়ি, বিমান, জাহাজ এবং অন্যান্য যানবাহনগুলি জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার করে চলাচল করে।

উৎপাদন: কারখানাগুলি জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার করে পণ্য উৎপাদন করে।

গৃহস্থালী: গৃহস্থালির কাজে জীবাশ্ম জ্বালানি, যেমন গ্যাস, তেল এবং কয়লা ব্যবহার করা হয়।

জ্বালানি ব্যবহারের ফলে বিভিন্ন ধরনের দূষণ হতে পারে, যেমন:

বায়ু দূষণ: জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানোর ফলে বায়ুতে কার্বন ডাই অক্সাইড, সালফার ডাই অক্সাইড এবং অন্যান্য দূষক পদার্থ নির্গত হয়। এই দূষক পদার্থগুলি বায়ু দূষণের কারণ হয়, যা হাঁপানি, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হতে পারে।

পানি দূষণ: জীবাশ্ম জ্বালানি খনন এবং পরিশোধনের ফলে পানি দূষিত হতে পারে। এই দূষক পদার্থগুলি পানীয় জল, মৎস্য সম্পদ এবং অন্যান্য জীববৈচিত্র্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

জলবায়ু পরিবর্তন: জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানোর ফলে বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে যায়। এই কার্বন ডাই অক্সাইড গ্রিনহাউস গ্যাস হিসেবে কাজ করে এবং পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে অবদান রাখে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সারা বিশ্বে বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দিচ্ছে।

মানবস্বাস্থ্যের উপর প্রভাব

জ্বালানির ব্যবহার ও অপচয়

জ্বালানি হল এমন একটি পদার্থ যা তাপ বা শক্তি উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত হয়। জ্বালানি বিভিন্ন ধরণের হতে পারে, যেমন জীবাশ্ম জ্বালানি (তেল, গ্যাস, কয়লা), পারমাণবিক জ্বালানি, এবং পুনর্নবীকরণযোগ্য জ্বালানি (সৌর শক্তি, বায়ু শক্তি, জল শক্তি, জীবাশ্ম জ্বালানির অপচয়)।

জ্বালানি ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন কাজ করতে পারি, যেমন:

  • বিদ্যুৎ উৎপাদন: বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলি জীবাশ্ম জ্বালানি, পারমাণবিক জ্বালানি বা পুনর্নবীকরণযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করে।
  • পরিবহন: গাড়ি, বিমান, জাহাজ এবং অন্যান্য যানবাহনগুলি জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার করে চলাচল করে।
  • উৎপাদন: কারখানাগুলি জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার করে পণ্য উৎপাদন করে।
  • গৃহস্থালী: গৃহস্থালির কাজে জীবাশ্ম জ্বালানি, যেমন গ্যাস, তেল এবং কয়লা ব্যবহার করা হয়।

জ্বালানি ব্যবহারের ফলে বিভিন্ন ধরনের দূষণ হতে পারে, যেমন:

  • বায়ু দূষণ: জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানোর ফলে বায়ুতে কার্বন ডাই অক্সাইড, সালফার ডাই অক্সাইড এবং অন্যান্য দূষক পদার্থ নির্গত হয়। এই দূষক পদার্থগুলি বায়ু দূষণের কারণ হয়, যা হাঁপানি, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হতে পারে।
  • পানি দূষণ: জীবাশ্ম জ্বালানি খনন এবং পরিশোধনের ফলে পানি দূষিত হতে পারে। এই দূষক পদার্থগুলি পানীয় জল, মৎস্য সম্পদ এবং অন্যান্য জীববৈচিত্র্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
  • জলবায়ু পরিবর্তন: জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানোর ফলে বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে যায়। এই কার্বন ডাই অক্সাইড গ্রিনহাউস গ্যাস হিসেবে কাজ করে এবং পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে অবদান রাখে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সারা বিশ্বে বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দিচ্ছে।

মানবস্বাস্থ্যের উপর প্রভাব

জ্বালানি ব্যবহারের ফলে বিভিন্ন ধরনের দূষণ হয়, যা মানব স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

  • বায়ু দূষণ: বায়ু দূষণ হাঁপানি, ফুসফুসের ক্যান্সার, এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হতে পারে।
  • পানি দূষণ: পানি দূষণে পানীয় জল, মৎস্য সম্পদ এবং অন্যান্য জীববৈচিত্র্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
  • জলবায়ু পরিবর্তন: জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সারা বিশ্বে বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দিচ্ছে, যেমন খরা, বন্যা, এবং ঝড়। এই প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলি মানুষের জীবন ও সম্পদের ক্ষতি করে।

জ্বালানির ব্যবহার ও অপচয়

জ্বালানি হল এমন একটি পদার্থ যা তাপ বা শক্তি উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত হয়। জ্বালানি বিভিন্ন ধরণের হতে পারে, যেমন জীবাশ্ম জ্বালানি (তেল, গ্যাস, কয়লা), পারমাণবিক জ্বালানি, এবং পুনর্নবীকরণযোগ্য জ্বালানি (সৌর শক্তি, বায়ু শক্তি, জল শক্তি, জীবাশ্ম জ্বালানির অপচয়)।

জ্বালানি ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন কাজ করতে পারি, যেমন:

  • বিদ্যুৎ উৎপাদন: বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলি জীবাশ্ম জ্বালানি, পারমাণবিক জ্বালানি বা পুনর্নবীকরণযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করে।
  • পরিবহন: গাড়ি, বিমান, জাহাজ এবং অন্যান্য যানবাহনগুলি জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার করে চলাচল করে।
  • উৎপাদন: কারখানাগুলি জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার করে পণ্য উৎপাদন করে।
  • গৃহস্থালী: গৃহস্থালির কাজে জীবাশ্ম জ্বালানি, যেমন গ্যাস, তেল এবং কয়লা ব্যবহার করা হয়।

জ্বালানি ব্যবহারের ফলে বিভিন্ন ধরনের দূষণ হতে পারে, যেমন:

  • বায়ু দূষণ: জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানোর ফলে বায়ুতে কার্বন ডাই অক্সাইড, সালফার ডাই অক্সাইড এবং অন্যান্য দূষক পদার্থ নির্গত হয়। এই দূষক পদার্থগুলি বায়ু দূষণের কারণ হয়, যা হাঁপানি, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হতে পারে।
  • পানি দূষণ: জীবাশ্ম জ্বালানি খনন এবং পরিশোধনের ফলে পানি দূষিত হতে পারে। এই দূষক পদার্থগুলি পানীয় জল, মৎস্য সম্পদ এবং অন্যান্য জীববৈচিত্র্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
  • জলবায়ু পরিবর্তন: জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানোর ফলে বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে যায়। এই কার্বন ডাই অক্সাইড গ্রিনহাউস গ্যাস হিসেবে কাজ করে এবং পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে অবদান রাখে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সারা বিশ্বে বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দিচ্ছে।

মানবস্বাস্থ্যের উপর প্রভাব

জ্বালানি ব্যবহারের ফলে বিভিন্ন ধরনের দূষণ হয়, যা মানব স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

  • বায়ু দূষণ: বায়ু দূষণ হাঁপানি, ফুসফুসের ক্যান্সার, এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হতে পারে।
  • পানি দূষণ: পানি দূষণে পানীয় জল, মৎস্য সম্পদ এবং অন্যান্য জীববৈচিত্র্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
  • জলবায়ু পরিবর্তন: জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সারা বিশ্বে বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দিচ্ছে, যেমন খরা, বন্যা, এবং ঝড়। এই প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলি মানুষের জীবন ও সম্পদের ক্ষতি করে।

জ্বালানি অপচয়

জ্বালানি অপচয় বলতে জ্বালানির ব্যবহারের সময় কতটা জ্বালানি অপচয় হয় তা বোঝায়। জ্বালানি অপচয়ের ফলে পরিবেশের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে এবং অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়।

জ্বালানি অপচয়ের বিভিন্ন কারণ রয়েছে, যেমন:

অকার্যকর যন্ত্রপাতি: অকার্যকর যন্ত্রপাতিগুলি বেশি জ্বালানি ব্যবহার করে।

অসঠিক ব্যবহার: যন্ত্রপাতিগুলির অসঠিক ব্যবহারের ফলে জ্বালানি অপচয় হতে পারে।

অবহেলিত যন্ত্রপাতি: অবহেলিত যন্ত্রপাতিগুলি বেশি জ্বালানি ব্যবহার করে।

জ্বালানি অপচয় কমাতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে, যা নিম্নরূপ:

  • দক্ষ যন্ত্রপাতি ব্যবহার: দক্ষ যন্ত্রপাতিগুলি কম জ্বালানি ব্যবহার করে। উদাহরণস্বরূপ, দক্ষ ইলেকট্রনিকস এবং হোম অ্যাপ্লায়েন্সগুলি কম বিদ্যুৎ ব্যবহার করে।
  • যন্ত্রপাতিগুলির সঠিক ব্যবহার: যন্ত্রপাতিগুলির সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে জ্বালানি অপচয় কমানো যেতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, গাড়ি চালানোর সময় দ্রুত গতিতে গাড়ি চালানো এবং ব্রেক কম ব্যবহার করা জ্বালানি সাশ্রয় করতে সাহায্য করে।
  • যন্ত্রপাতিগুলির রক্ষণাবেক্ষণ: যন্ত্রপাতিগুলির রক্ষণাবেক্ষণের মাধ্যমে জ্বালানি অপচয় কমানো যেতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, গাড়ির টায়ারের বায়ুচাপ সঠিক রাখা এবং গাড়ির ইঞ্জিনটিকে নিয়মিত পরিষ্কার করা জ্বালানি সাশ্রয় করতে সাহায্য করে।
  • পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির উৎস ব্যবহার: পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির উৎসগুলি, যেমন সৌর শক্তি এবং বায়ু শক্তি, জীবাশ্ম জ্বালানির তুলনায় কম দূষণ তৈরি করে।

জ্বালানি অপচয় কমাতে ব্যক্তিগত, সরকারি এবং শিল্প পর্যায়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে। ব্যক্তিগত পর্যায়ে, আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ছোট ছোট পরিবর্তন আনতে পারি, যেমন বিদ্যুৎ এবং জল ব্যবহার কমানো। সরকারি পর্যায়ে, সরকার জ্বালানি দক্ষতা উন্নত করার জন্য আইন এবং নীতিমালা প্রণয়ন করতে পারে। শিল্প পর্যায়ে, শিল্পগুলি তাদের উৎপাদন প্রক্রিয়াগুলিতে জ্বালানি দক্ষতা উন্নত করতে পারে।

জ্বালানি অপচয় কমাতে নেওয়া পদক্ষেপগুলি পরিবেশের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে এবং অর্থনৈতিক ক্ষতি কমাতে সাহায্য করতে পারে।

অধ্যায়ন ডট কম এর সকল আপডেট সবার আগে পাওয়ার জন্য আমাদের ফেসবুক পেজটি লাইক এবং ফলো করে রাখুন, ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করে রাখুন এবং আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন।

ষষ্ঠ শ্রেণির বাৎসরিক সামষ্টিক মূল্যায়ন সকল বিষয়ের অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান

ক্রমিকবিষয়ের নামঅ্যাসাইনমেন্ট শিরোনাম ও সম্ভব্য সমাধান
১.বাংলা
২.ইংরেজি
৩.গণিত
৪.ডিজিটাল প্রযুক্তিনিজ প্রেক্ষাপট বা পরিবেশে দায়িত্বশীল আচরণ, অভিজ্ঞতা প্রকাশ ও ভূমিকাভিনয়
৫.শিল্প ও সংস্কৃতি
৬.ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান
৭.স্বাস্থ্য সুরক্ষা
৮.জীবন ও জীবিকা
৯.ইসলাম শিক্ষানিজ প্রেক্ষাপট বা পরিবেশে দায়িত্বশীল আচরণ, অভিজ্ঞতা প্রকাশ ও ভূমিকাভিনয়
১০.বিজ্ঞানস্কুলে ও বাড়িতে ব্যবহৃত প্রযুক্তি, গঠণ ও কার্যাবলি
ষষ্ঠ শ্রেণি ডিজিটাল প্রযুক্তি বার্ষিক মূল্যায়ন অ্যাসাইনমেন্ট ও সমাধান ২০২৩

22 thoughts on “স্কুলে ও বাড়িতে ব্যবহৃত প্রযুক্তি, গঠণ ও কার্যাবলি

  1. আপনাদের এই সাইটটা আমার খুব ভালো লেগেছে। এত সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন এজন্য আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ।সপ্তম শ্রেণীর বিজ্ঞানের বার্ষিক মূল্যায়ন তথ্য দিলে উপকৃত হতাম। আপনাদের সাথে যোগাযোগ করার উপায় কি

  2. আপনার এই ওয়েবসাইটটা আমার খুব ভালো লেগেছে
    আপনাদের সাথে যোগাযোগের মাধ্যম বলে দিবেন

  3. আপনার এই ওয়েবসাইটটা আমার খুব ভালো লেগেছে
    আপনাদের সাথে যোগাযোগের মাধ্যম বলে দিবেন আপনাদেরকে ধন্যবাদ

  4. আপনাদের এই ওয়েবসাইট টা আমার খুব ভালো লেগেছে দয়া করে আপনাদের যোগাযোগের মাধ্যম দিয়ে বলে দিবেন আপনাদেরকে ধন্যবাদ

  5. সবগুলো প্রশ্নের উত্তরগুলো দিলে বেশি ভালো হতো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: এই কনটেন্ট কপি করা যাবেনা! অন্য কোনো উপায়ে কপি করা থেকে বিরত থাকুন!!!