চলুন জেনে নেওয়া যাক সম্ভাব্য নির্বাচনী ব্যয় ও উৎসের বিবরণী এবং নির্বাচনী ব্যয়ের রিটার্ন দাখিল সংক্রান্ত বিষয়াদি। জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচন পরিচালনায় এই বিষয়গুলো খুবই দরকারী এবং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আশা করছি আপনি এই আর্টিকেল পড়ার পর আপনি একটি নির্বাচনে সম্ভাব্য নির্বাচনী ব্যয় ও উৎসের বিবরণী এবং নির্বাচনী ব্যয়ের রিটার্ন দাখিল সংক্রান্ত সঠিক ধারণা পাবেন।
এর আগে আমরা জানিয়েছিলাম ভােটগ্রহণকারী কর্মকর্তা নিয়ােগ এবং প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত বিষয়ে। তাহলে আজকের আলোচনায় যাওয়া যাক। সাথেই থাকুন এবং পড়ে ভালো লাগলে প্রিয়জনদের সাথে শেয়ার করুন।
সম্ভাব্য নির্বাচনী ব্যয় ও উৎসের বিবরণী
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ৪৪ এএ (১) অনুচ্ছেদ অনুসারে প্রার্থী পদ প্রত্যাহারের শেষ দিন অতিক্রান্ত হওয়ার পরবর্তী ৭ দিনের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীগণ কর্তৃক সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের বরাবরে এবং নির্বাচন কমিশনের বরাবরে রেজিস্টার্ড ডাকযোগ নির্ধারিত ফরমসমূহের মাধ্যমে নির্বাচনী ব্যয় নির্বাহের জন্য সম্ভাব্য অর্থের উৎসের বিবরণী ও তাহার সম্পদ ও দায়-এর বিবরণী এবং আয়করদাতা হইলে সর্বশেষ আয়কর রিটার্নের অনুলিপি দাখিল করিবার জন্য রিটার্নিং অফিসার প্রত্যেক প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে নির্দেশ দিবেন।
বিবরণীতে নির্বাচনী ব্যয় নির্বাহের জন্য প্রয়ােজনীয় তহবিলের সম্ভাব্য উৎস সম্পর্কে নির্ণত তথ্যসমূহ প্রদর্শনপূর্বক ফরম ১৭এ-তে প্রদর্শন করিতে হবে।
(ক) নিজ আয় হইতে যে অর্থের সংস্থান করা হইবে এবং উক্ত আয়ের উৎস;
(খ) নিজ আত্মীয়-স্বজনের নিকট হইতে কর্জ বা তাহাদের স্বেচ্ছায় প্রদত্ত চাদা বাবদ প্রাপ্য সম্ভাব্য অর্থ এবং তাহাদের আয়ের উৎস;
(গ) কোন ব্যক্তির নিকট হইতে কর্জ বা স্বেচ্ছায় প্রদত্ত চাদা বাবদ প্রাপ্ত অর্থ;
(ঘ) কোন প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক দল অথবা অন্য কোন সংস্থা হইতে স্বেচ্ছা প্রদত্ত চাঁদা বাবদ প্রাপ্য সম্ভাব্য অর্থ;
(ঙ) অন্য কোন উৎস্য হইতে প্রাপ্য সম্ভাব্য অর্থ।
ব্যাখ্যা: ৪৪ এএ (১) অনুচ্ছেদে সংশ্লিষ্ট দফায় “আত্মীয়-স্বজন” বলিতে স্বামী, স্ত্রী, পিতা, মাতা, পুত্র, কন্যা, ভাই এবং বােন বুঝাইবে।
(২) উপরে বর্ণিত ১৭এ-তে নির্ধারিত ফরমের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীগণকে ফরম ১৭বি-তে তাহার সম্পদ ও দায় এবং বার্ষিক আয় ও ব্যয়ের বিবরণী সম্বলিত বিবরণীও দাখিল করিতে হইবে। তিনি যদি আয়করদাতা হন তাহা হইলে তাহার সর্বশেষ আয়কর রিটার্নের অনুলিপিও প্রার্থীকে সংযুক্ত করিয়া দিতে হইবে।
(৩) ইহা ছাড়াও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী উপরে বর্ণিত ফরম ১৭এ-তে নির্ধারিত ফরমে বর্ণিত উৎসসমূহের বাহিরে অন্য কোন উৎস হইতে অর্থপ্রাপ্ত হইলে উক্ত অর্থপ্রাপ্তির ৩ দিনের মধ্যে প্রাপ্ত অর্থের পরিমাণ এবং উহার উৎস সম্পর্কে একটি সম্পূরক বিবরণী রিটার্নিং অফিসারের নিকট দাখিল করিবার জন্য এবং উক্ত বিবরণীর অনুলিপি রেজিস্টার্ড ডাকযােগে নির্বাচন কমিশনের বরাবরে প্রেরণ করিবার জন্য রিটার্নিং অফিসার সংশ্লিষ্ট প্রার্থীগণকে নির্দেশ দিবেন।

সম্ভাব্য নির্বাচনী ব্যয় ও উৎসের বিবরণী এবং নির্বাচনী ব্যয়ের রিটার্ন দাখিল সংক্রান্ত
নির্বাচনে প্রার্থীর নির্বাচনী ব্যয়ের পরিমাণ
(১) গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ৪৪বি অনুচ্ছেদ অনুসারে উক্ত অনুচ্ছেদের (২) দফায় বর্ণিত অর্থের সীমার অতিরিক্ত কোন অর্থ কোন ব্যক্তি একজন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর নির্বাচনী ব্যয় নির্বাহের উদ্দেশ্যে পরিশােধ করিতে পারিবেন না।
(২) আদেশের ৪৪বি অনুচ্ছেদের (২) দফা অনুসারে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্ট ব্যতীত কোন ব্যক্তি এইরূপ প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর নির্বাচনের জন্য অর্থ ব্যয় করিতে পারিবেন না, তবে শর্ত থাকে যে,
(৩) কোন ব্যক্তি নির্বাচনী এজেন্টের নিকট হইতে লিখিতভাবে ক্ষমতা প্রাপ্ত হইলে সুনির্ধারিত অর্থ ব্যয় করিবার জন্য তিনি উক্ত অর্থ মনােহারী দ্রব্যাদি ও ডাক টিকিট ক্রয়, টেলিফোন এবং অন্যান্য ছােটখাটো খরচ বাবদ ব্যয় করিতে পারিবেন।
(৪) গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর ৪৪বি (৩) অনুচ্ছেদের বিধান মতে কোন প্রার্থী যে রাজনৈতিক দল হইতে মনােনয়ন পাইবেন তাহার জন্য উক্ত রাজনৈতিক দল কর্তৃক কৃত খরচসহ তাহার নির্বাচনী ব্যয় পাঁচ লক্ষ টাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকিতে হইবে। উক্ত অনুচ্ছেদ (৩) দফায় উল্লেখ রহিয়াছে যে, এই নির্ধারিত পাঁচ লক্ষ টাকা এবং উহার অংশ বিশেষ নিম্নলিখিত কোন কাজের জন্য খরচ করা যাইবে না।
(ক) একের অধিক রং বা কালি ব্যবহার করিয়া পােস্টার মুদ্রণ; অথবা (কক) বিধি দ্বারা নির্ধারিত বা কমিশন কর্তৃক নির্দিষ্ট সাইজ হইতে বৃহৎ সাইজের পােস্টার মুদ্রণ; অথবা
(খ) আমদানীকৃত কোন কাগজ দ্বারা পােস্টার অথবা লিফলেট বা কোন প্রচারপত্র মুদ্রণ; অথবা
(গ) কোন গেইট বা তােরণ অথবা কোন ঘেরা (প্রতিবন্ধক) নির্মাণ; অথবা
(ঘ) ৪০০ বর্গফুট-এর অধিক স্থান লইয়া কোন প্যান্ডেল জ্বগ; অথব,
(ঙ) কাপড় দ্বারা কোন ব্যানার প্রস্তুতকরণ; অথবা
(চ) কোন নির্বাচনী এলাকায় একই সময়ে ৩(তিন)-এর অধিক মাইক্রোফোন বা লাউড স্পীকার ভাড়া; অথবা
(ছ) ভােটগ্রহণের দিনের ৩(তিন) সপ্তাহের পূর্ববর্তী যে কোন সময়ে যে কোন উপায়ে কোন প্রকার নির্বাচনী প্রচারণামূলক কার্যক্রম গ্রহণ; অথবা
জ) কোন নির্বাচনী এলাকার প্রতিটি ইউনিয়নে একাধিক বা পৌর এলাকা/সিটির প্রতি ওয়ার্ডে একাধিক নির্বাচনী ক্যাম্প বা অফিস স্থাপন; অথবা নির্বাচনী এলাকায় একাধিক কেন্দ্রীয় নির্বাচনী ক্যাম্প বা অফিস স্থাপন; অথবা
(জজ) ভােটারদের যে কোন প্রকারের আপ্যায়ন করা ; অথবা
(ঝ) শােভাযাত্রা বা মিছিল করার জন্য স্থলযান বা নৌযান যথা:-ট্রাক, বাস, কার, ট্যাক্সি, মােটর সাইকেল, স্পীডবােট ইত্যাদি ব্যবহার ; অথবা
(ঝঝ) কোন ভােটকেন্দ্রে বা ভােটকেন্দ্র হইতে ভােটারদের আনা নেওয়ার জন্য কোন ধরনের যানবাহন বা জলযান ভাড়া করা বা ব্যবহার করা; অথবা
(ঞ) বিদ্যুতের সাহায্য যে কোন রকম আলােকসজ্জাকরণ; অথবা একের অধিক রং বা কালি দ্বারা প্রস্তুত প্রার্থীর প্রতিকৃত বা প্রতীকের ব্যবহার; অথবা
(ঠ) নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত আকার অপেক্ষা বৃহত্তর আকারের নির্বাচনী প্রতীকের প্রদর্শনী; অথবা
(ড) নির্বাচনী প্রচারাভিযানের উদ্দেশ্যে কোন কালি বা রং বা তুলি বা যে কোন কিছুর দ্বারা কোন লিখন বা এই জাতীয় কোন লিখন বা বিজ্ঞাপন ব্যবহার।
৫। এখানে উল্লেখ্য যে, প্রদর্শনীর জন্য নির্বাচনী প্রতীকের সাইজ দৈর্ঘ্য, প্রস্থ, উচ্চতার পাচ (৫) মিটারের অধিক হইবে না এবং ২৩”x১৮” আকারের অধিক বৃহৎ পােস্টার মুদ্রণ করা যাইবে না বলিয়া নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিয়াছে এবং বিধি দ্বারা নির্ধারিত রয়েছে।
৬। আদেশের ৪৪বি অনুচ্ছেদের (৩বি) দফা অনুয়ায়ী-৪৪বি অনুচ্ছেদের দফা (৩এ) এর কোন বিধান লংঘনপূর্বক ব্যবহৃত কোন অর্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কর্তৃক কত দফা (৩)-এ উল্লিখিত পরিমাণের অধিক নির্বাচনী খরচ বলিয়া গণ্য হইবে এবং ইহা ৪৪বি অনুচ্ছেদের লংঘন বলিয়া গণ্য হইবে।

সম্ভাব্য নির্বাচনী ব্যয় ও উৎসের বিবরণী এবং নির্বাচনী ব্যয়ের রিটার্ন দাখিল সংক্রান্ত
৭। আদেশের উপরােল্লিখিত বিধান লংঘন করা আদেশের ৭৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী দুর্নীতিমূলক অপরাধ । যাহার জন্য জরিমানাসহ নিম্নে ২(দুই) বৎসর এবং উর্দ্ধে ৭(সাত) বৎসর পর্যন্ত সশ্রম কারাদণ্ড হইতে পারে।
৮। তাহা ছাড়া আদেশের ৮৭এ অনুচ্ছেদের (১) দফা অনুসারে যে কোন পুলিশ কর্মকর্তা, অথবা নির্বাচন সংক্রান্ত দায়িত্ব পালনকারী আইন প্রয়ােগকারী সংস্থার যে কোন সদস্য যখনই বা যেখানেই তিনি এতদসম্পর্কে জানিতে পারেন বা ইহা তাহার নজরে আসে তখন এবং সেই খানেই;
(ক) একের অধিক রং বা কালি দ্বারা প্রস্তুত প্রার্থীর প্রতিকৃতি বা প্রতীকের ব্যবহার অথবা বিধি দ্বারা নির্ধারিত বা নির্বাচন কমিশন আকার অপেক্ষা বৃহত্তর আকারের পােস্টার বা প্রতীক;
(খ) প্রার্থী কর্তৃক কোন গেট বা তােরণ অথবা কোন ঘেরা (প্রতিবন্ধক);
(গ) ৪০০ বর্গফুট-এর অধিক স্থান লইয়া কোন প্যান্ডেল;
(ঘ) কাপড় দ্বারা তৈরী কোন প্রার্থীর ব্যানার;
(ঙ) কোন প্রার্থী কর্তৃক নির্বাচনী এলাকায় একই সময়ে ৩(তিন)-এর অধিক মাইক্রোফোন বা লাউড স্পীকার ভাড়া করা বা ব্যবহার করা;
(চ) কোন নির্বাচনী এলাকার প্রতিটি ইউনিয়নে একাধিক বা পৌর এলাকা/সিটির প্রতি ওয়ার্ডে একাধিক নির্বাচনী ক্যাম্প বা অফিস; অথবা নির্বাচনী এলাকায় একাধিক কেন্দ্রীয় নির্বাচনী ক্যাম্প বা অফিস;
(ছ) নির্বাচনের প্রচারণার অংশ হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কর্তৃক বিদ্যুতের সাহায্য যে কোন রকম আলােকসজ্জা;
(জ) কোন প্রার্থীর জন্য বিজ্ঞাপনের পন্থা হিসাবে কালি বা অন্য যে কোনভাবে কোন দেওয়াল, পালান, থাম, সেতু, যানবাহন বা জলযানে, অথবা প্রার্থীর মালিকানায় নহে বা এইরূপ বিজ্ঞাপনের জন্য নির্দিষ্ট নহে—অপসারণ করিবেন বা করাইবেন বা অপসারণ করিতে নির্দেশ দিবেন।
৯। আপনি অনুগ্রহপূর্বক আইনের উপরােক্ত অনুচ্ছেদসমূহের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করিয়া স্থানীয়ভাবে প্রচারণা চালানাের জন্য অবিলম্বে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
নির্বাচনী ব্যয়ের উদ্দেশ্যে ব্যাংকে এ্যাকাউন্ট খােলা
আদেশের ৪৪বিবি অনুচ্ছেদ অনুসারে প্রত্যেক নির্বাচনী এজেন্টকে, অথবা প্রার্থী কোন নির্বাচনী এজেন্ট নিয়ােগ না করিলে সেক্ষেত্রে প্রার্থীকে-
(ক) আদেশের ৪৪বি অনুচ্ছেদ অনুসারে নির্বাচনী ব্যয় নির্বাহের জন্য (ব্যক্তিগত ব্যয় ব্যতীত) তফসিল ব্যাংকে পৃথক একাউন্ট খুলিতে হইবে;
(খ) উক্তরূপ ব্যাংক এ্যাকাউন্ট হইতে ব্যক্তিগত ব্যয় ব্যতীত নির্বাচন সংক্রান্ত ব্যয়ের সমুদয় অর্থ পরিশােধ করিতে হইবে।
সম্ভাব্য নির্বাচনী ব্যয় ও উৎসের বিবরণী এবং নির্বাচনী ব্যয়ের রিটার্ন দাখিল সংক্রান্ত

নির্বাচনী ব্যয়
আদেশের ৪৪ সি অনুচ্ছেদ অনুসারে প্রত্যেক প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্ট আদেশের ১৯ অনুচ্ছেদ অথবা ৩৯ অনুচ্ছেদ অনুসারে নির্বাচনী ফলাফল ঘােষিত হইবার ১৫ দিনের মধ্যে ১৭সি-তে নির্ধারিত ফরমে নির্বাচনী ব্যয়ের রিটার্ন রিটার্নিং অফিসারের বরাবরে দাখিল করিবার জন্য রিটার্নিং অফিসার সংশ্লিষ্ট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী এবং নির্বাচনী এজেন্টগণকে নির্দেশ দিবেন। উক্ত রিটার্নে নিম্নবর্ণিত বিষয়সমূহ অন্তর্ভুক্ত ও সংযুক্ত থাকিবে-
(ক) প্রত্যেক দিন যে অর্থ পরিশােধ করিয়াছেন উহার বিবরণীসহ পরিশােধিত অর্থের স্বপক্ষে বিল, রসিদ এবং ভাউচারসমূহ;
(কক) ৪৪বিবি অনুচ্ছেদে (ক) দফায় বর্ণিত তফসিল ব্যাংক কর্তৃক উক্ত অনুচ্ছেদ বলে ভােলা ব্যাংক এ্যাকাউন্টে জমাকৃত অর্থ এবং উক্ত একাউন্ট হইতে উত্তোলিত অর্থের সত্যায়িত বিবরণী;
(খ) প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর ব্যক্তিগত ব্যয় যদি থাকে উহার পরিমাণ এবং বিবরণ;
(গ) নির্বাচনী এজেন্ট জ্ঞাত আছেন এমন ধরনের সকল বিতর্কিত দাবীর বিবরণ;
(ঘ) নির্বাচনী এজেন্ট জ্ঞাত আছেন এমন ধরনের সকল অপরিশােধিত দাবীর বিবরণ;
(ঙ) প্রত্যেক উৎসের নাম নির্দিষ্টভাবে উল্লেখপূর্বক নির্বাচনী ব্যয়ের উদ্দেশ্যে যে কোন উৎস হইতে প্রাপ্ত অর্থ এবং উক্ত অর্থ প্রাপ্তির স্বপক্ষে প্রমাণাদিসহ বিবরণ।
উপরে বর্ণিত দাখিলকৃত বিবরণীর সহিত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী অথবা ক্ষেত্র বিশেষে তাহার নির্বাচনী এজেন্ট ফরম ১৭ডি, ১৭ই এবং ১৭এফ-তে একটি এফিডেভিট দাখিল করিবেন।
কোন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর নির্বাচনের ব্যয়ের উদ্দেশ্যে একশত টাকার নীচে যে অর্থ ব্যয় হইবে তাহা ছাড়া প্রত্যেক ব্যয়ের জন্য বিবরণী উল্লেখ করিয়া প্রত্যেক ব্যয়ের জন্য বিলের মাধ্যমে অথবা রসিদ ও ভাউচারের মাধ্যমে নির্বাচনী এজেন্টকে হিসাব রাখিতে হইবে।
সম্ভাব্য নির্বাচনী ব্যয় ও উৎসের বিবরণী এবং নির্বাচনী ব্যয়ের রিটার্ন দাখিল সংক্রান্ত
নির্বাচনী ব্যয়ের হিসাব সংরক্ষণ
(১) নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা, ১৯৭২-এর ২৭এএ বিধি অনুসারে নির্বাচনী এজেন্ট ১৭সি-তে নির্ধারিত ফরমে নির্বাচনী ব্যয়ের হিসাব লিপিবদ্ধ এবং সংরক্ষণ করিবেন।
আদেশের ১৯ অনুচ্ছেদ অথবা ৩৯ অনুচ্ছেদ অনুসারে নির্বাচনী ফলাফল ঘঘাষিত হইবার ১৫ দিনের মধ্যে আদেশের ৪৪সি অনুচ্ছেদ অনুসারে নির্বাচনী ব্যয়ের হিসাব দাখিল করিবেন এবং ১৭বি-তে নির্ধারিত ফরমে প্রার্থীর নির্বাচনীর উদ্দেশ্যে ৪৪বি অনুচ্ছেদের (২) দফায় বর্ণিত ব্যক্তিগত ব্যয় উল্লেখপূর্বক নির্বাচনী ব্যয়ের বিবরণীর উল্লেখ থাকিবে।
সম্ভাব্য নির্বাচনী ব্যয় ও উৎসের বিবরণী এবং নির্বাচনী ব্যয়ের রিটার্ন দাখিল সংক্রান্ত
(২) নির্বাচনী ব্যয়ের সমস্ত বিল ভাউচারসমূহ পরিশােধের তারিখ এবং ক্রমিক নম্বর অনুযায়ী সাজাইয়া নির্বাচনী ব্যয়ের হিসাবের সঙ্গে রাখিতে হইবে এবং এই ক্রমিক নম্বরসমূহ সংশ্লিষ্ট হিসাবে নির্ধারিত কলামে অন্তর্ভুক্ত করিতে হইবে।
আদেশের ৪৪বি অনুচ্ছেদে উল্লেখিত যে সমস্ত অর্থ ব্যয়ের স্বপক্ষে ভাউচার বা রসিদের প্রয়ােজন নাই, সে সমস্ত ক্ষেত্রে পরিশােধকারীর বিবরণ উল্লেখ করিবার প্রয়ােজন নাই।
(৩) যে রিটার্ন এবং এফিডেভিট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী এবং নির্বাচনী এজেন্টকে রিটার্নিং অফিসারের নিকট দাখিল করিতে হইবে সেই সমস্ত রিটার্ন ও এফিডেভিটের অনুলিপি রিটার্নিং অফিসারের নিকট প্রেরণের সময় নির্বাচন কমিশনে রেজিস্টার্ড ডাকযােগে প্রেরণ করিতে হইবে।
শাস্তির বিধান
(১) উক্ত বিধান লংঘনকারীর জন্য সর্বনিম্ন দুই বৎসর ও সর্বোচ্চ ৭ বৎসর সশ্রম কারাদণ্ড ও তৎসহ জরিমানার বিধান করা হয় (আদেশের ৭৩ এবং ৭৪ অনুচ্ছেদ দ্রষ্টব্য)
(২) মনে রাখিবেন যে সমস্ত ক্ষেত্রে নির্বাচনের বিরুদ্ধে নির্বাচনী মামলা দায়ের করা হয় নাই, সেই সমস্ত ক্ষেত্রে অপরাধ সংঘটিত হওয়ার দিন হইতে ৬ (ছয়) মাসের মধ্যে দোষী ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করিতে হইবে এবং যে নির্বাচনে অপরাধ সংঘটিত হইয়াছে যদি ঐ নির্বাচন হাইকোর্ট বিভাগে বিচারাধীন থাকে এবং হাইকোর্ট বিভাগ উক্ত অপরাধ সম্পর্কে কোন আদেশ দান করেন, তবে আদেশ দানের তিন মাসের মধ্যে রিটার্নিং অফিসারকে উপযুক্ত মামলা দায়ের করিতে হইবে এবং এইজন্য নির্বাচন কমিশনের পূর্বানুমতির প্রয়ােজন নাই (আদেশের ৯০ অনুচেছদ দ্রষ্টব্য)
(৩) আদেশের ৪৪ডি অনুচ্ছেদ এবং নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালার ২৭ বিধ অনুসারে নির্বাচনী এজেন্টদের নিকট হইতে প্রাপ্ত দলিল-দস্তাবেজসমূহ প্রাপ্তির দিন হইতে ১ বৎসর পর্যন্ত পরিদর্শনের জন্য রিটার্নিং অফিসারের অফিসে অথবা অন্য কোন সুবিধাজনক স্থানে সংরক্ষণ করিতে হইবে।
যদি কেহ উক্ত দলিল-দস্তাবেজ পরিদর্শন করিতে চাহেন, তাহা হইলে প্রতিটি দলিল/বিবরণীর জন্য টাকা ৫০০ (পাঁচ) ফী প্রদান করিয়া পরিদর্শন করিতে পারিবেন।
এতদৃভিন্ন যদি কেহ রক্ষিত রিটার্নের অথবা সংশ্লিষ্ট অন্য কোন দলিলের অনুলিপি প্রদানের জন্য রিটার্নিং অফিসারের নিকট আবেদন করেন, তাহা হইলে উহা প্রদান করিতে হইবে।
সম্ভাব্য নির্বাচনী ব্যয় ও উৎসের বিবরণী এবং নির্বাচনী ব্যয়ের রিটার্ন দাখিল সংক্রান্ত
তবে আবেদনকারীকে দরখাস্তের সহিত কোর্ট ফী আকারে প্রতি অনুলিপি বা উদ্ধৃতাংশের প্রথম ২০০ শব্দ অথবা তাহার অংশ বিশেষের জন্য ১০ টাকা এবং অতিরিক্ত প্রতি ১০০ শব্দ অথবা তাহার অংশবিশেষের জন্য ৫ টাকা প্রদান করিতে হইবে।
(৪) নির্বাচনী রিটার্ন দাখিলের জন্য প্রয়ােজনীয় সংখ্যক ফরম যথাসময়ে রিটার্নিং অফিসারের নিকট সরবরাহ করা হইবে। এই ফরম রিটার্নিং অফিসারকে বিনামূল্যে প্রার্থী অথবা তাহাদের নির্বাচনী এজেন্টদের মধ্যে বিতরণ করিতে হইবে। যাহারা ফরম সংগ্রহ করিতে পারিবেন না, তাহাদের জন্য জরুরী ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় হইতে ফরম সংগ্রহ করিতে হইবে।
(৫) তাহাছাড়া নির্বাচনী ব্যয়ের হিসাব সংরক্ষণ, নির্বাচনী খরচের বিবরণী দাখিল ও নির্বাচনী ব্যয়ের রিটার্ন দাখিল সংক্রান্ত আদেশের ৪৪ সিসি ও ৪৪ সিসিসি অনুচ্ছেদ (সংশােধনী আদেশ, ২০০১ এর ১৮ ধারা) (পরিশিষ্ট-‘চ’ দ্রষ্টব্য অনুসারে প্রয়ােজনীয়)
ভােটগ্রহণকারী কর্মকর্তা নিয়ােগ এবং প্রশিক্ষণ: এই তথ্যটি কোনো প্রকার ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে নয় বরং জনগণের কল্যাণে বহুল প্রচারের লক্ষ্যে অধ্যয়ন ডট কম এর পাঠকদের সুবিদার্থে প্রকাশ করা হয়েছে। এটি সরাসরি বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন এর সূত্র থেকে সংগৃহিত। এতে কারও কোনো আপত্তি থাকলে রিমুভ করার অনুরোধ করতে পারেন: OdhayonOnline@gmail.com অথবা সরাসরি আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।
অধ্যয়ন ডট কম এর সকল আপডেট সবার আগে পাওয়ার জন্য আমাদের ফেসবুক পেইজটি লাইক ও ফলো রাখুন এবং ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করে রাখুন। প্রতিদিন শিক্ষা সংক্রান্ত সকল তথ্য পেতে আমাদের দৈনিক শিক্ষা ক্যাটাগরি দেখুন।
2 Comments
Pingback: নির্বাচন কমিশন কর্তৃক সময়সূচী জারী এবং রিটার্নিং অফিসারের অনুসরণীয় এবং করণীয় দায়িত্বাবলী
Pingback: ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা অনলাইন কুইজ প্রতিযোগিতায় নিবন্ধন এবং অংশগ্রহণের নিয়ম - অধ্যয়ন