প্রিয় শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবক! চলুন আজ জানি সপ্তম শ্রেণি ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন অ্যাসাইনমেন্ট ২০২৩ ও সমাধান সম্পর্কে; পূর্ব ঘোষিত সময়সূচী অনুযায়ী এই বিষয়ের বাৎসরিক অ্যাসাইনমেন্ট শুরু হবে ১৩ নভেম্বর ২০২৩ সোমবার তৃতীয় সেশন থেকে। বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীরা মূল্যায়িত হবে।
ইতোমধ্যে সপ্তম শ্রেণি ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান ষান্মাসিক মূল্যায়নের সময় প্রথম কয়েকটি শিখন অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে শিখনকালীন মূল্যায়ন এবং ষান্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়নের PI ইনপুট এর সমন্বয়ে আপনারা ট্রান্সক্রিপ্ট তৈরি করেছেন।
সপ্তম শ্রেণি ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন অ্যাসাইনমেন্ট ২০২৩ একইভাবে বাৎসরিক মূল্যায়নের ক্ষেত্রেও ষান্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়নের ট্রান্সক্রিপ্ট, বাকি শিখন অভিজ্ঞতাগুলোর শিখনকালীন মূল্যায়নের PI ইনপুট এবং বাৎসরিক সামষ্টিক মূল্যায়নের সমন্বয়ে ট্রান্সক্রিপ্ট তৈরি করতে হবে।
সপ্তম শ্রেণি ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন
সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন শিখন অভিজ্ঞতা চলাকালে ইতোমধ্যে এই শ্রেণির জন্য নির্ধারিত সকল যোগ্যতা চর্চা করার সুযোগ পেয়েছে, সেগুলোর মধ্য থেকে বাৎসরিক মূল্যায়নের জন্য নিম্নলিখিত যোগ্যতাসমূহ নির্বাচন করা হয়েছে এবং সে অনুযায়ী অর্পিত কাজটি সাজানো হয়েছে।
প্রাসঙ্গিক শিখন যোগ্যতাসমূহ: সপ্তম শ্রেণি ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন অ্যাসাইনমেন্ট
৬.১ বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানের মাধ্যমে প্রমাণভিত্তিক সিদ্ধান্তে পৌছানো এবং বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব যে প্রমাণের ভিত্তিতে পরিবর্তিত হতে পারে তা গ্রহণ করতে পারা।
৬.৪ দৃশ্যমান পরিবেশের প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম বস্তুসমূহের গঠনের কাঠামো-উপকাঠামো ও তাদের বৈশিষ্ট্যর মধ্যকার সম্পর্ক অনুসন্ধান করতে পারা।
৬.৫ প্রকৃতিতে বস্তু ও শক্তির মিথস্ক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করে বস্তুর মতো শক্তিও যে পরিমাপযোগ্য তা উপলব্ধি করা এবং শক্তির স্থানান্তর অনুসন্ধান করতে পারা
৬.৯ প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার ঝুঁকিসমূহ অনুসন্ধান করে সেই ঝুঁকি মোকাবেলায় সচেষ্ট হওয়া।
৬.১০ বাস্তব জীবনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ইতিবাচক প্রয়োগে উদ্বুদ্ধ হওয়া।
বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি সংক্রান্ত তথ্যঃ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির যোগ্যতা ২০২৩ | এক নজরে সকল তথ্য 2023-24
কাজের সারসংক্ষেপ : সপ্তম শ্রেণি ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন অ্যাসাইনমেন্ট
শিক্ষার্থীরা এই কাজের মধ্য দিয়ে স্কুলে ও বাড়িতে ব্যবহৃত বিভিন্ন প্রযুক্তির ধরণ ও কাজ অনুসন্ধান করবে। এই কাজ করতে গিয়ে প্রথমে বিভিন্ন প্রযুক্তির তালিকা করবে, এদের গঠন ও কাজের ধরণ অনুসন্ধান করবে।
এদের কাজ বিশ্লেষণ করতে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের শক্তির স্থানান্তর পর্যবেক্ষণ করবে, জ্বালানির ব্যবহার হিসাব করবে, এবং জ্বালানির অপচয়/অপব্যবহার হচ্ছে কিনা তাও খুঁজে দেখবে।
এসব প্রযুক্তি ব্যবহারের বিভিন্ন দিক বিশ্লেষণ করে সেগুলোর পরিবেশগত প্রভাব অনুসন্ধান করবে, এবং প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় এগুলোর যথাযথ ব্যবহারের নীতিমালা তৈরি করবে।
বিশেষ নির্দেশনা: নিয়মিত উপকরণের পাশাপাশি পোস্টার উপস্থাপনের ক্ষেত্রে পোস্টারের বদলে ক্যালেন্ডার ফাঁকা পৃষ্ঠা বা অন্য বিকল্প ব্যবহার করা যেতে পারে। এছাড়া শিক্ষার্থীরা তাদের চারপাশের ব্যবহৃত দ্রব্য, ফেলনা জিনিস ইত্যাদি ব্যবহার করে যাতে মডেল তৈরি করে সে বিষয়ে উৎসাহ দিন।
প্রাসঙ্গিক শিখন যোগ্যতাসমূহ: সপ্তম শ্রেণি ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন অ্যাসাইনমেন্ট
৭.৪ মুক্তিযুদ্ধের আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট পর্যালোচনা করে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন পক্ষের অবস্থান ও ভূমিকা মূল্যায়ন করতে পারা ।
৭.৬ সময়ের সঙ্গে সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের পরিবর্তন ব্যক্তির অবস্থান ও ভূমিকার উপর কী রকম প্রভাব ফেলে তা অনুসন্ধান করতে পারা।
৭.৭ স্থানীয় ও বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে প্রাকৃতিক ও সামাজিক পরিবর্তনের আন্তঃসম্পর্ক উদ্ঘাটন করে
টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে নিজস্ব গণ্ডিতে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারা।
৭.৮ বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে সম্পদের উৎপাদন, বণ্টন, ভোগ ও সংরক্ষণের চর্চা সামাজিক সমতা নীতির ভিত্তিতে পর্যালোচনা করতে পারা।
সপ্তম শ্রেণি ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন অ্যাসাইনমেন্ট
প্রকল্প মূল ভাবনা: মুক্তিযুদ্ধ ও বিশ্ব ভ্রাতৃত্ব
কাজ ১: বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অনুসরণ করে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সংক্রান্ত তথ্য অনুসন্ধান;
কাজ ২: প্রাকৃতিক ও সামাজিক উন্নয়নে বিশ্বব্যাপী ভ্রাতৃত্বের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন বিষয়ক আলোচনা ও উপস্থাপনা;
কাজ ৩: টেকসই উন্নয়নে প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ বিষয়ক আলোচনা ও উপস্থাপনা;
সপ্তম শ্রেণি ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন অ্যাসাইনমেন্ট করণীয় সম্পর্কে আলোচনা ও উপস্থাপনা
ধাপ ১: শিক্ষার্থীরা মক্তিযুদ্ধের তথ্য সংগ্রহের জন্য তিনটি থিমে প্রশ্ন তৈরি করবে।
ধাপ ২: প্রশ্ন অনুসারে তারা তথ্য সংগ্রহ করবে।
ধাপ ৩: শিক্ষার্থীরা তথ্য সাজিয়ে প্রতিবেদন / দেয়ালিকা/পুস্তিকা ইত্যাদি যেকোনো মাধ্যমে অ্যাসাইনমেন্ট আকারে জমা দিবে।
ধাপ ৪: শিক্ষার্থীরা নিচে প্রদত্ত ‘কার্বন নিঃসরণ হ্রাসে বাংলাদেশ ও বিশ্ব’ অনুচ্ছেদটি পাঠ থেকে প্রাকৃতিক ও সামাজিক উন্নয়নে বিশ্ব ভ্রাতৃত্বে বিষয়টি অনুধাবন করবে।
ধাপ ৫: সমাজের যেকোনো উন্নয়ন প্রাকৃতিক পরিবেশে কিভাবে প্রভাব ফেলছে তা নিয়ে আলোচনা করবে।
ধাপ ৫: সমাজের যেকোনো উন্নয়ন প্রাকৃতিক পরিবেশে কিভাবে প্রভাব ফেলছে তা নিয়ে আলোচনা করবে।
ধাপ ৬: টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ কেনো প্রয়োজন তা ন্যায্যতার ভিত্তিতে বিশ্লেষণ করে উপস্থাপন করবে।
ধাপ ৭: টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে নিজস্ব পরিমণ্ডলে কী কী পদক্ষেপ নিতে পারে তা নিয়ে দলে আলোচনা এবং উপস্থাপন করবে।
শিক্ষকের প্রস্তুতি: মূল্যায়ন দিনের কমপক্ষে এক সপ্তাহ আগে এলাকার কোনো মুক্তিযোদ্ধা বা মুক্তিযুদ্ধের সমর্থনে কাজ করেছিলেন এমন কোনো বয়ষ্ক ব্যক্তিকে মূল্যায়নের দিন ক্লাসে রুমে আমন্ত্রণ জানাবেন। শিক্ষার্থীরা সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে তাঁর কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করবে।
সপ্তম শ্রেণি ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন অ্যাসাইনমেন্ট
প্রথম কর্ম দিবস (৯০ মিনিট)
কাজ-১: বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অনুসরণ করে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সংক্রান্ত তথ্য অনুসন্ধান
ধাপ ১: শিক্ষার্থীরা মক্তিযুদ্ধের তথ্য সংগ্রহের জন্য তিনটি থিমে প্রশ্ন তৈরি করবে।
ধাপ ২: প্রশ্ন অনুসারে তারা তথ্য সংগ্রহ করবে।
প্রথম দিনের কাজকে ২ ভাগে ভাগ করবেন। প্রথম ৪৫ মিনিট শিক্ষার্থীদের দল গঠন করতে বলবেন, বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান পদ্ধতি অনুসরণ করে তথ্য সংগ্রহ করতে বলবেন, দলে কাজের পরিকল্পনা ও তথ্য সংগ্রহের জন্য প্রশ্ন তৈরি করতে বলবেন।
পরবর্তী ৪৫ মিনিট এলাকার কোনো মুক্তিযোদ্ধা বা মুক্তিযুদ্ধের সমর্থনে কাজ করেছিলেন এমন কোনো বয়ষ্ক ব্যক্তিকে শ্রেণিকক্ষে উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানাবেন।
যদি তথ্যদাতা না আসতে পারেন সেক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা পাঠ্যপুস্তক, মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক বই, ইন্টারনেট, পত্রিকা বা জার্নাল থেকে তাদের প্রশ্নগুলোর তথ্য সংগ্রহ করতে বলবেন।
উপকরণ: ১. পাঠ্যপুস্তক, ২. মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক বই, ৩. খাতা, ৪. কলম ইত্যাদি;
সপ্তম শ্রেণি ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন অ্যাসাইনমেন্ট
কাজের বিবরণী
১ম ৪৫ মিনিট
১. শিক্ষার্থীদের ৫ থেকে ৬ জনের দলে ভাগ করে দিবেন। প্রত্যেক দল বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান পদ্ধতি অনুসরণ করে তথ্য সংগ্রহ করবে।
২. তথ্য সংগ্রহের পরিকল্পনা করবে। দলের কাজ ভাগ করে নেবে।
৩. সাক্ষাৎকারের জন্য শিক্ষার্থীরা যে প্রশ্ন তৈরি করবে সেগুলো থিম আকারে দেওয়া হল:

পরবর্তী ৪৫ মিনিট
এলাকার কোনো মুক্তিযোদ্ধা বা মুক্তিযুদ্ধের সমর্থনে কাজ করেছিলেন এমন কোনো বয়ষ্ক ব্যক্তির সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করবে। যদি তথ্যদাতা না আসতে পারেন সেক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা পাঠ্যপুস্তক, মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক বই, ইন্টারনেট, পত্রিকা বা জার্নাল থেকে তাদের প্রশ্নগুলোর তথ্য সংগ্রহ করবে। শিক্ষার্থীরা ‘মুক্তিযুদ্ধের দেশি ও বিদেশি বন্ধুরা’ অধ্যায় থেকে তথ্য নিতে পারে।
সপ্তম শ্রেণি ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন অ্যাসাইনমেন্ট
দ্বিতীয় কর্ম দিবস (৯০ মিনিট)
কাজ ১: বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অনুসরণ করে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সংক্রান্ত তথ্য অনুসন্ধান (অবশিষ্ট কাজ)
ধাপ ৩: শিক্ষার্থীরা তথ্য সাজিয়ে প্রতিবেদন / দেয়ালিকা/পুস্তিকা ইত্যাদি যেকোনো মাধ্যমে অ্যাসাইনমেন্ট আকারে জমা দিবে।
ধাপ-৪: শিক্ষার্থীরা তাদের প্রাপ্ত তথ্যকে দলগতভাবে আলোচনা করে তথ্যগুলো সাজিয়ে নিবে। এরপর প্রত্যেকে একটি অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিবে। সেটি হতে পারে প্রতিবেদন/ দেয়ালিকা/পুস্তিকা ইত্যাদি।
উপকরণ: ১. পোস্টার পেপার, ২. ছবি, ৩. খাতা, ৪. কালার পেন, ৫. পাঠ্যপুস্তক ইত্যাদি,
কাজের বিবরণী
১. পূর্বের ক্লাসের প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে সংগৃহীত তথ্য নিয়ে দলগত আলোচনা করবে।
২. প্রাপ্ত তথ্যকে থিম অনুসারে সাজিয়ে অ্যাসাইমেন্ট তৈরি করে জমা দিবে। ছবি ও লেখা সম্বলিত দেয়ালিকা/ পুস্তিকা ইত্যাদি যেকোনো কিছু প্রত্যেকে অ্যাসাইমেন্ট হিসেবে জমা দিবে।
কর্মদিবস ২ এর কাজে যে পারদর্শিতার সূচকগুলো মূল্যায়ন করা হবেঃ
১। যোগ্যতা ৪ এর পারদর্শিতার সূচক ৭.৪.১
২। যোগ্যতা ৬ এর পারদর্শিতার সূচক ৭.৬.১
সপ্তম শ্রেণি ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন অ্যাসাইনমেন্ট
তৃতীয় কর্মদিবস -৩ (১২০ মিনিট)
কাজ ২: (৬০ মিনিট)
শিক্ষার্থীরা প্রাকৃতিক ও সামাজিক উন্নয়নে বিশ্বব্যাপী ভ্রাতৃত্বের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন বিষয়ক আলোচনা ও উপস্থাপনা
ধাপ ৪: শিক্ষার্থীরা নিচে প্রদত্ত ‘কার্বন নিঃসরণ হ্রাসে বাংলাদেশ ও বিশ্ব’ অনুচ্ছেদটি পাঠ থেকে প্রাকৃতিক ও সামাজিক উন্নয়নে বিশ্ব ভ্রাতৃত্বে বিষয়টি অনুধাবন করবে।
ধাপ ৫: সমাজের যেকোনো উন্নয়ন প্রাকৃতিক পরিবেশে কিভাবে প্রভাব ফেলছে তা নিয়ে আলোচনা করবে।
কাজের বিবরণী
সপ্তম শ্রেণি ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন অ্যাসাইনমেন্ট শিক্ষার্থীদের নিচের প্রতিবেদনটি পড়তে বলবেন।
কার্বন নিঃসরণ হ্রাসে বাংলাদেশ ও বিশ্ব
যেকোনো দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কলকারখানা স্থাপন, যানবাহন ও পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রয়োজন। কিন্তু এসব কলকারখানা, যানবাহনের কালো ধোঁয়া পরিবেশে কার্বন নির্গত করে পরিবেশকে দূষিত করে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী তাপমাত্রা বেড়ে যাচ্ছে।
এতে মেরু অঞ্চলের বরফ গলে যাচ্ছে এবং সমূদ্রে পানিপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে যাচ্ছে। এতে করে সমূদ্র তীরবর্তী এলাকা ইতোমধ্যে ডুবে যাচ্ছে। বাংলাদেশরও সমূদ্রতীরবর্তী অঞ্চল ভবিষ্যতে ডুবে যেতে পারে। এরকম অবস্থায় বিশ্বব্যাপী এই দূষণকে রোধ করার জন্য বিভিন্ন দেশ পারস্পরিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।
অনেক দেশ একসাথে কলকারখানা ও যানবাহনের নিসৃত কার্বনের ওপর কর আরোপ করছে। এতে করে কলকারখানা ও যানবাহন মালিক কার্বন-নিঃসরণের প্রতি সচেতন হচ্ছে।
তারা নির্ধারিত কার্বনের বেশি কার্বন নিঃসরণ করলেই অতিরিক্ত টাকা দিচ্ছে। বাংলাদেশও এই কার্বন কর নিচ্ছে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এই কার্বন কর বিশ্বব্যাপী আবহাওয়া পরিবর্তন রোধে বিশেষ সহায়তা করছে।
আমরা দেখতে পারছি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে যেমন বিভিন্ন দেশ একাত্ম হয়ে সহযোগিতা করছে। তেমনি অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও পরিবেশ উন্নয়নেও বিশ্বের বিভিন্ন দেশ একাত্ম হয়ে কাজ করছে। ফলে মানুষের ভবিষ্যত হুমকির সম্ভবনা কমে যাচ্ছে।
১. উপরের অনুচ্ছেদটি পড়ে শিক্ষার্থীরা প্রাকৃতিক ও সামাজিক উন্নয়নে বিশ্বব্যাপী ভ্রাতৃত্বের বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করতে বলবেন। শিক্ষার্থীদের তাদের নিজস্ব পরিমণ্ডলে কি কি উন্নয়ন দেখতে পায় তা দলগতভাবে আলোচনা করে নির্ণয় করতে বলবেন। এই উন্নয়ন প্রাকৃতিক পরিবেশে কি ধরনের প্রভাব ফেলছে তা নিয়ে আলোচনা করতে বলবেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় বিভিন্ন দেশের সাথে যেমন পারস্পরিক সহযোগিতা তৈরি হয়েছিল তেমনি বর্তমানে টেকসই উন্নয়নের জন্য এই সহযোগিতা কীভাবে ভূমিকা রাখছে তা দলগতভাবে বিশ্লেষণ করতে বলবেন।
২. শিক্ষার্থীরা উপরোক্ত দুটি আলোচনা থেকে প্রাপ্ত তথ্য বিভিন্ন মাধ্যমে যেমন পোস্টার/কাগজ ইত্যাদি উপস্থাপন করবে। এভাবে আলোচনার মাধ্যমে প্রকৃতি ও সমাজের আন্তঃসম্পর্ক উদঘাটন করে তাদের টেকসই উন্নয়ন সম্পর্কে ধারণা পাবে।
সপ্তম শ্রেণি ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন অ্যাসাইনমেন্ট
কাজ ৩: (৬০ মিনিট)
টেকসই উন্নয়নে প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ বিষয়ক আলোচনা ও উপস্থাপনা
ধাপ ৬: টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ কেনো প্রয়োজন তা ন্যায্যতার ভিত্তিতে বিশ্লেষণ করে উপস্থাপন করবে।
ধাপ ৭: টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে নিজস্ব পরিমণ্ডলে কী কী পদক্ষেপ নিতে পারে তা নিয়ে দলে আলোচনা এবং উপস্থাপন করবে।
কাজের বিবরণী : সপ্তম শ্রেণি ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন অ্যাসাইনমেন্ট
১. শিক্ষার্থীরা দলগতভাবে টেকসই উন্নয়নে প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করবে।
বিষয়গুলো হল: সপ্তম শ্রেণি ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন অ্যাসাইনমেন্ট
১. বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা;
২. ন্যায্যতার ভিত্তিতে প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের উপায়;
৩. টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে শিক্ষার্থীরা নিজস্ব পরিমণ্ডলে কী কী পদক্ষেপ নিতে পারে?
দলগত এই কাজ করার জন্য শিক্ষার্থীরা পাঠ্যপুস্তকের ‘টেকসই উন্নয়ন ও আমাদের ভূমিকা’ থেকে সহায়তা নিতে পারে বা অন্য কোনো বই বা ইন্টারনেটের সহায়তা নিতে পারে। দলে ১-২ জন উপস্থাপন করবে। দলের সবাই তাদের বন্ধুদের মূল্যায়ন করবে। দলের প্রতি শিক্ষার্থী নিচের সতীর্থ মূল্যায়ন ছকটি ব্যবহার করে তার বন্ধু সম্পর্কে মতামত দিবে।

প্রিয় শিক্ষার্থী এটাই ছিল তোমাদের সপ্তম শ্রেণি ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন অ্যাসাইনমেন্ট ২০২৩ ও সমাধান। এই বিষয়ের কাজ ভিত্তিক সমাধান দেওয়া হবে। অপেক্ষা করে আমাদের সাথেই থাকুন।
অধ্যায়ন ডট কম এর সকল আপডেট সবার আগে পাওয়ার জন্য আমাদের ফেসবুক পেজটি লাইক এবং ফলো করে রাখুন, ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করে রাখুন এবং আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন।
৭ম শ্রেণির সকল বিষয়ের বাৎসরিক মূল্যায়ন অ্যাসাইনমেন্ট