শীতকালীন মেলা সম্পর্কে কথোপকথন

ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী বন্ধুরা তোমাদের জন্য এখন অর্ধ বার্ষিক পরীক্ষার বাংলা বিষয়ের ভাষা ও সাহিত্য উৎসবে নির্ধারিত শীতকালীন মেলা সম্পর্কে ৪০০ একটি কথোপকথন দিব। এই কথোপকথনে শীতকালীন মেলায় যাওয়ার বিষয়ে পর্যবেক্ষণ,  মতামত এবং অনুভূতির সংমিশ্রণে থাকবে। 

তোমাদের ভাগে যদি শীতকালীন মেলা সম্পর্কে কথোপকথন লিখতে বলা হয়ে থাকে তোমরা এটি অনুসরণ করে একটি সুন্দর কথোপকথন তৈরি করতে পারবে।

শীতকালীন মেলা

বাংলাদেশের সর্বস্তরের মানুষের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি অনুষ্ঠানের নাম শীতকালীন মেলা। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নানা নামে এই মেলা অনুষ্ঠিত হয়। শীতকালীন মেলায় যাওয়ার অভিজ্ঞতা অত্যন্ত চমৎকার হয়ে থাকে। 

ষষ্ঠ শ্রেণীর ভাষা ও সাহিত্য উৎসবের দিন অনেক শিক্ষার্থীর ভাগ্যে শীতকালীন মেলা সম্পর্কে কথোপকথন লিখার কাজটি পড়তে পারে। 

তোমাদের শীতকালীন মেলায় যাওয়ার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এই কথোপকথনটি প্রস্তুত করবে।  তোমাদের জন্য নমুনা কথোপকথন দেয়া হলো। এর আগে আমরা বড় দিঘী সম্পর্কে ৪০০ শব্দের কথোপকথন এবং জমিদার বাড়ি সম্পর্কে একটি নমুনা কথোপকথন প্রকাশ করেছিলেন যা তোমাদের মাঝে অনেক সাড়া ফেলেছে।

শীতকালীন মেলা সম্পর্কে কথোপকথন

শীতকালীন মেলা সম্পর্কে কথোপকথন

আমরা এখন দুজন সহপাঠী যারা একই শ্রেণীতে পড়ে তারা শীতকালীন মেলা সম্পর্কে যাওয়ার অভিজ্ঞতাকে নিয়ে আলোচনা করুন।  একজনের নাম আব্দুল্লাহ এবং অপরজনের নাম আরিয়ান।

আবদুল্লাহ: আরিয়ান, তুমি কি কোন শীতকালীন মেলায় গিয়েছো? আমি গত বছর একটি শীতকালীন মেলায় গিয়েছিলাম এবং এটি দারুণ অভিজ্ঞতা ছিল! 

আরিয়ান: না, আমি এখনো কোনো শীতকালীন মেলায় যায়নি। তবে এবার যাবো বলে চিন্তা করছি।  তুমি কি আমাকে শীতকালীন মেলা সম্পর্কে বিস্তারিত বলতে পারবে?  বিশেষ কি আছে এই মেলায়? 

আবদুল্লাহ: আচ্ছা শোনো, প্রথমত,  শীতকালীন মেলা অনুষ্ঠিত হয় শীতের মৌসুমে। আর এজন্যই এর নাম রাখা হয়েছে শীতকালীন মেলা। বিভিন্ন এলাকায় শীতকালীন মেলা স্থান অথবা বিভিন্ন বিষয়কে কেন্দ্র করে নামকরণ করা হয়ে থাকে। আমি যে মেলায় গিয়েছিলাম সেটির নাম ঠান্ডা কালিবাড়ি মেলা।  এটি কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট থানাধীন মোগরা গ্রামে একটি এলাকায় আয়োজিত হয়ে থাকে। 

পুরো মাঠ রঙিন আলোয় সজ্জিত থাকে এবং শীতকালীন আভা এটিকে আরও আকর্ষণীয় গড়ে তোলে। এটি উৎসবের আমেজ তৈরি করে যা মেলায় প্রবেশ করার সাথে সাথে অনুভব করা যায়। 

আরিয়ান: অত্যন্ত চমৎকার মনে হচ্ছে! শীতকালীন মেলায় সাধারণত কি কি হয়ে থাকে? 

আবদুল্লাহ: যেহেতু গ্রামীণ পরিবেশ এই মেলা বেশি অনুষ্ঠিত হয় তাই গ্রাম্য সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের আলোকে বিভিন্ন বিষয়ে সাজানো থাকে। নাগরদোলা, পুতুল নাচ, নৌকা বাইচের মত অনুষ্ঠান থাকে শীতকালীন মেলায়। 

অনেক সুস্বাদু এবং গ্রামীণ লোভনীয় খাবারের স্টল বসে। ঐতিহ্যবাহী এসব খাবার অত্যন্ত চমৎকার এবং ঐতিহ্যের চিহ্ন বহন করে। এছাড়াও খেলনা দোকান, আকর্ষণীয় পোশাক-আশাকের দোকান,  বইয়ের দোকান,  সহ চমৎকার বিভিন্ন জিনিসের স্টল থাকে। 

অনেক শীতকালীন মেলায় দেশীয় বিনোদনের ব্যবস্থা যেমন নৃত্য,  আঞ্চলিক গান এবং কৌতুক অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। এগুলো মেলার আমেজকে বহুগুণ বাড়িয়ে। 

আরিয়ান: আমি নিশ্চিত মেলায় যে খাবারগুলো পাওয়া যায় তা খুবই সুস্বাদু হবে। তুমি কি কোন সুস্বাদু খাবার খেয়েছিলে? 

আবদুল্লাহ: ওহ, তুমি মনে করিয়ে দিলে! মেলায় গিয়ে ঐতিহ্যবাহী চালের পিঠা এবং জিলাপি খেয়েছিলাম। এর স্বাদ এখনো আমার মুখে লেগে আছে। এই খাবার গুলোর মিষ্টি গন্ধ যে কাউকে মুগ্ধ করবে! 

আরিয়ান: আমার খুবই আনন্দদায়ক মনে হচ্ছে! শীতকালীন বেলা সম্পর্কে তোমার অভিমত কি? তুমি কি সবাইকে সেখানে যেতে বলবে? 

আবদুল্লাহ: অবশ্যই! শীতকালীন মেলা বাংলাদেশের একটি অবশ্যই দেখার মতো অনুষ্ঠান। এটি লোকেদের একত্রিত করে, আনন্দ এবং উদযাপনের অনুভূতি তৈরি করে এবং আপনাকে দেশের প্রাণবন্ত সংস্কৃতি অনুভব করতে দেয়। বন্ধু এবং পরিবারের সাথে সময় কাটানো এবং দীর্ঘস্থায়ী স্মৃতি তৈরি করার এটি একটি দুর্দান্ত উপায়।

আরিয়ান: আমি দেখতে পাচ্ছি কেন তুমি এত উপভোগ করছো। মেলা সম্পর্কে উল্লেখযোগ্য আর কিছু আছে কি?

আবদুল্লাহ: মেলায় উল্লেখ করার মতো যে সকল বিষয় ছিল তার মধ্যে অন্যতম কারুকার্যের প্রদর্শনী,  হস্ত নির্মিত বিভিন্ন পণ্য,  ঐতিহ্যবাহী কারো শিল্প এবং স্থানীয় শিল্পকর্মের প্রদর্শনীর স্থল গুলো। 

শীতকালীন মেলায় গ্রাম্য হস্তশিল্প প্রদর্শনীর একটি দারুন সুযোগ থাকে।  এখানে প্রস্তুতকারক এবং ক্রেতা নিজেরাই এসে ক্রয়-বিক্রয় করতে পারে। এটি অসাধারণ একটি বিক্রয়ের প্ল্যাটফর্ম। 

আরিয়ান: চমৎকার। আমি অবশ্যই এই বছর শীতের মেলায় যাওয়ার পরিকল্পনা করব। তোমার অভিজ্ঞতা এবং চিন্তা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ, আব্দুল্লাহ.

আবদুল্লাহ: তোমাকে স্বাগতম, আরিয়ান। আমি নিশ্চিত তুমি একটি চমত্কার সময় পাবে। মেলা উপভোগ আমাকে জানাবে কোন বিষয়টি তোমার সবচেয়ে ভালো লেগেছে।

ক. শীতকালীন মেলা সম্পর্কে কথোপকথন বিভিন্ন শ্রেণির শব্দের ব্যবহার

শব্দের শ্রেণিব্যবহৃত শব্দ
বিশেষ্যশীতকালীন মেলা, হস্তশিল্প, চালের পিঠা, জিলাপি
সর্বনামতুমি, তোমাকে, আমি
বিশেষণচমৎকার, অসাধারণ, ঐতিহ্যবাহী
ক্রিয়াগিয়েছো, রাখা, প্রবেশ
শীতকালীন মেলা সম্পর্কে কথোপকথন বিভিন্ন শ্রেণির শব্দের ব্যবহার

খ. শীতকালীন মেলা কথোপকথনে বিভিন্ন শ্রেণির বাক্য ব্যবহার

বাক্যের শ্রেণিব্যবহৃত বাক্য
১. বিবৃতিবাচক বাক্য১. মেলায় গিয়ে ঐতিহ্যবাহী চালের পিঠা এবং জিলাপি খেয়েছিলাম।
২. বন্ধু এবং পরিবারের সাথে সময় কাটানো এবং দীর্ঘস্থায়ী স্মৃতি তৈরি করার এটি একটি দুর্দান্ত উপায়।
২. প্রশ্নবাচক বাক্যমেলা সম্পর্কে উল্লেখযোগ্য আর কিছু আছে কি?
৩. আবেগবাচক বাক্যঅবশ্যই! শীতকালীন মেলা বাংলাদেশের একটি অবশ্যই দেখার মতো অনুষ্ঠান।
শীতকালীন মেলা কথোপকথনে বিভিন্ন শ্রেণির বাক্য ব্যবহার

গ. শীতকালীন মেলা সম্পর্কে কথোপকথন যেসকল যতিচিহ্ন ব্যবহার করা হয়েছে

এখানে (শীতকালীন মেলা সম্পর্কে কথোপকথন) যেসকল যতিচিহ্ন ব্যবহার করা হয়েছে-

১. দাড়িঁ (।), ২. কমা (,), ৩. সেমিকোলন (;), ৪. বিস্ময়চিহ্ন (!), ৫. প্রশ্নবোধক চিহ্ন (?)

ঘ. কথোপকথনে ব্যবহৃত বিভিন্ন শব্দের প্রতিশব্দ ও বিপরীত শব্দ

ব্যবহৃত শব্দপ্রতিশব্দবিপরীত শব্দ
দারুণঅসাধারণকুৎসিত
ধন্যবাদঅভিবাদনতিরষ্কার
ঐতিহ্যবাহীঅনেকদিন ধরে চলমানসাম্প্রতিক

৬ষ্ঠ শ্রেণি ভাষা ও সাহিত্য উৎসব ২০২৩

নতুন কারিকুলামের আলোকে অনুষ্ঠিতব্য ২০২৩ সালের ষষ্ঠ শ্রেণির অর্ধ বার্ষিক পরীক্ষায় বাংলা বিষয়ের ভাষা ও সাহিত্য উৎসব এসাইনমেন্ট সমূহের তিন নম্বর কাজ ভাষায় শব্দ,  বাক্য ও যতি চিহ্নের ব্যবহার নিয়ে দেওয়া বিষয় গুচ্ছ একের ঘ নাম্বার বিষয় শীতকালীন মেলা নিয়ে তোমাদের জন্য নমুনা কথোপকথন দেয়া হলো। 

তোমরা তোমাদের মত করে এডিট করে এগুলো ব্যবহার করবে। তোমার নিজস্ব অভিজ্ঞতা ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করে  তোমার লেখায় স্বতন্ত্রবোধ নিয়ে আসবে।

এই সংক্রান্ত একটি ভিডিও দেখতে পারো

সৌজন্যে: চ্যানেল ২৪

আমরা পর্যায়ক্রমে অন্যান্য বিষয়গুলোর উপর কথোপকথন প্রস্তুত করছি তোমরা নিজের কাঙ্ক্ষিত বিষয়ের উপর ক্লিক করে সেটির উপর কথোপকথন টি দেখে নিতে পারো।

এছাড়াও সকল বিষয়ের নমুনা উত্তর সমূহ পাওয়ার জন্য আমাদের ফেসবুক গ্রুপ জয়েন করে নাও ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করো এবং ফেসবুক পেজটি লাইক এবং ফলো করে রাখুন। তোমার বন্ধুকে বিষয়টি জানানোর জন্য আমাদের ওয়েবসাইটটি তার খাতায় নোট করে দিতে পারো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: এই কনটেন্ট কপি করা যাবেনা! অন্য কোনো উপায়ে কপি করা থেকে বিরত থাকুন!!!