বিদ্যালয় ভিত্তিক সমস্যা খুঁজি ও সমাধানের প্রস্তুতি নিই: ষষ্ঠ শ্রেণির ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের বার্ষিক মূল্যায়ন জীবন ও জীবিকা অ্যাসাইনমেন্ট এর প্রথম দিনের কাজ বিদ্যালয়ভিত্তিক সমস্যা খুঁজি ও সমাধানের প্রস্তুতি নিই। এখানে শিক্ষার্থীরা তাদের নিজেদের বিদ্যালয়ের বিভিন্ন সমস্যা খুঁজে তার সমাধান করবে এবং নির্ধারিত অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ছাত্রীদের জন্য জীবন ও জীবিকা পাঠ্য বই থেকে প্রথম দিনের অ্যাসাইনমেন্ট এর নির্ধারিত কাজটি কিভাবে সমাধান করতে হবে সেই বিষয়ে জানাবো। তোমরা আমাদের সাথেই থাক। ৬ষ্ঠ শ্রেণি বার্ষিক মূল্যায়ন সেকশনে তোমাদের অন্যন্য বিষয়ের প্রশ্ন ও উত্তর পাবে।
ষষ্ঠ শ্রেণি জীবন ও জীবিকা বাৎসরিক মূল্যায়ন অ্যাসাইনমেন্ট প্রথম দিবস এর কাজ
নির্ধারিত কাজ: বিদ্যালয়ভিত্তিক সমস্যা খুঁজি ও সমাধানের প্রস্তুতি নিই
সংকেত:
বিদ্যালয়ভিত্তিক সমস্যা নির্ধারণে এমন সমস্যা নির্বাচন করতে হবে, যা সমাধানে আর্থিক সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। আর্থিক সংশ্লিষ্টতা এমন হবে, যাতে শিক্ষার্থীরা তাদের আর্থিক ভাবনা অধ্যায়ের নির্দেশনা অনুযায়ী নিজেদের সঞ্চয়কৃত অর্থ থেকেই সমাধান করতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি সংক্রান্ত তথ্যঃ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির যোগ্যতা ২০২৩ | এক নজরে সকল তথ্য 2023-24
উদাহরণ: বিদ্যালয় ভিত্তিক সমস্যা খুঁজি
১. শ্রেণিকক্ষে পোস্টার প্রেজেন্টেশেনের জন্য কাগজের বোর্ড বা রশি ঝুলানোর ব্যবস্থা করা;
২. শ্রেণিকক্ষ/বারান্দা/বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে ময়লা রাখার ঝুড়ির ব্যবস্থা করা;
৩. শ্রেণিকক্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য পানির ব্যবস্থা করা (কলস/জগ/পানি রাখার পাত্র/গ্লাস ইত্যাদি);
৪. বিদ্যালয়ের বারান্দা সজ্জিতকরণ- আলপনা করা/কাগজ বা ককসেট দিয়ে সাজানো/রং করা/ টবের ব্যবস্থা করে গাছ লাগানো/আয়না লাগানো ইত্যাদি;
৫. বিদ্যালয় প্রাঙ্গন বা মাঠ পরিষ্কার করার সরঞ্জাম- ঝাড়ু/বেলচা/বালতি ইত্যাদির ব্যবস্থা করা;
৬. খেলার সরঞ্জাম-দাবা/কেরাম/লুডু/ফুটবল/রকেট/ক্রিকেট বল ইত্যাদি সংগ্রহ করা;
৭. ওয়াশ ব্লকের জন্য টয়লেট টিস্যু/মগ/বদনা/হ্যান্ডওয়াস/সাবান ইত্যাদির ব্যবস্থা করা; ইত্যাদি)
দলগতভাবে সমস্যা খুঁজে বের করা
এখানে আমরা পাঁচটি দলে হিসেবে নিচের দায়িত্বগুলো ভাগ করে নিব। ছকে উল্লেখিত দলের নামের পাশে দায়িত্ব বন্টন করে দেওয়া হল। আপনারা চাইলে আরও বেশি দল করে অন্যন্য বিষয়ে দায়িত্ব দিতে পারেন।
দলের নাম | দলের দায়িত্ব |
ক | শ্রেণিকক্ষ |
খ | বারান্দা |
গ | বিদ্যালয় প্রাঙ্গন |
ঘ | ওয়াশব্লক |

ক দলের কাজ: শ্রেণিকক্ষের বিভিন্ন সমস্যার সম্ভব্য তালিকা
ষষ্ঠ শ্রেণীর জীবন ও জীবিকা বাৎসরিক সামস্ট্রিক মূল্যায়ন এসাইনমেন্ট এর প্রথম দিবসের কাজ করার জন্য কর্তৃপক্ষ নির্দেশনায় কিছু উদাহরণ দিয়েছে তা নিম্নে উল্লেখ করা হয়েছে। তোমরা চাইলে এগুলোর মধ্যে যে কোন একটি বাছাই করে সমস্যা চিহ্নিত করতে পারো।
ক্রম | সমস্যা বা কাজের ধরণ |
১. | শ্রেণিকক্ষে পোস্টার প্রেজেন্টেশেনের জন্য কাগজের বোর্ড বা রশি ঝুলানোর ব্যবস্থা করা; |
২. | শ্রেণিকক্ষ/বারান্দা/বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে ময়লা রাখার ঝুড়ির ব্যবস্থা করা; |
৩. | শ্রেণিকক্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য পানির ব্যবস্থা করা (কলস/জগ/পানি রাখার পাত্র/গ্লাস ইত্যাদি); |
৪. | বিদ্যালয়ের বারান্দা সজ্জিতকরণ- আলপনা করা/কাগজ বা ককসেট দিয়ে সাজানো/রং করা/ টবের ব্যবস্থা করে গাছ লাগানো/আয়না লাগানো ইত্যাদি; |
৫. | বিদ্যালয় প্রাঙ্গন বা মাঠ পরিষ্কার করার সরঞ্জাম- ঝাড়ু/বেলচা/বালতি ইত্যাদির ব্যবস্থা করা; |
৬. | খেলার সরঞ্জাম-দাবা/কেরাম/লুডু/ফুটবল/রকেট/ক্রিকেট বল ইত্যাদি সংগ্রহ করা; |
৭. | ওয়াশ ব্লকের জন্য টয়লেট টিস্যু/মগ/বদনা/হ্যান্ডওয়াস/সাবান ইত্যাদির ব্যবস্থা করা; ইত্যাদি) |
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে একটি শ্রেণিকক্ষে যে ধরণের সমস্যা থাকতে পারে যা শিক্ষার্থীরা আর্থিক চাঁদা তুলে সমাধান করতে পারে তার মধ্যে রয়েছে:
১. শ্রেণিকক্ষের অবকাঠামোগত সমস্যা: শ্রেণিকক্ষের মেঝে ভেঙে গেছে, দেয়াল ফাটা, জানালা ভাঙা, ছাদ ঝরে পড়ছে, বাথরুম অপরিচ্ছন্ন, ইত্যাদি;
২. শিক্ষা উপকরণ ও সরঞ্জামের অভাব: শ্রেণিকক্ষে পর্যাপ্ত টেবিল-চেয়ার, বই, খাতা, কলম, পেন্সিল, বোর্ড, ম্যাপ, ইত্যাদি শিক্ষা উপকরণ ও সরঞ্জামের অভাব থাকতে পারে।
৩. শিক্ষার্থীদের আর্থিক ও সামাজিক সমস্যা: শিক্ষার্থীদের মধ্যে কেউ কেউ আর্থিকভাবে অসচ্ছল হতে পারে। তারা স্কুলের ফি দিতে পারে না, বাড়ি থেকে দূরে স্কুলে যেতে পারে না, ইত্যাদি সমস্যায় পড়তে পারে।
৪. সামাজিক ও পরিবেশগত সমস্যা: শ্রেণিকক্ষের আশেপাশে যদি কোনো সামাজিক বা পরিবেশগত সমস্যা থাকে, যেমন দূষণ, অপরাধ, ইত্যাদি;
শ্রেণি কক্ষে বিভিন্ন সমস্যা একটি সম্ভব্য তালিকা
সমস্যার ধরন | সমস্যার বিবরণ |
---|---|
শ্রেণিকক্ষের অবকাঠামোগত সমস্যা | |
১. মেঝে ভেঙে গেছে | ভেঙে যাওয়া ফাটলগুলি মেরামত করে মেঝেকে সমতল করা |
২. দেয়াল ফাটা | ফাটা দেয়ালগুলি মেরামত করে দেয়ালে রং করা |
৩. জানালা ভাঙা | ভাঙা জানালাগুলি ঠিক করে নতুন কাচ লাগানো |
৪. ছাদ ঝরে পড়ছে | ছাদের ফুটোগুলি বন্ধ করে পানিরোধী ব্যবস্থা করা |
৫. বাথরুম অপরিচ্ছন্ন | বাথরুম পরিষ্কার করা এবং ময়লা অপসারণ করা |
শিক্ষা উপকরণ ও সরঞ্জামের অভাব | |
১. পর্যাপ্ত টেবিল-চেয়ারের অভাব | নতুন টেবিল-চেয়ার কেনা |
২. বই-খাতার অভাব | শিক্ষার্থীদের বই-খাতা বিতরণ করা |
৩. কলম-পেন্সিলের অভাব | শিক্ষার্থীদের কলম-পেন্সিল বিতরণ করা |
৪. বোর্ড ও ম্যাপের অভাব | নতুন বোর্ড ও ম্যাপ কেনা |
শিক্ষার্থীদের আর্থিক ও সামাজিক সমস্যা | |
৫. শিক্ষার্থীদের আর্থিক সমস্যা | শিক্ষার্থীদের আর্থিক সাহায্য করা |
৬. শিক্ষার্থীদের সামাজিক সমস্যা | শিক্ষার্থীদের সামাজিক সমস্যা সমাধানে সহায়তা করা |

খ-দলের কাজ: বারান্দায় বিভিন্ন সমস্যা খুঁজে বের করা
বিদ্যালয়ের বারান্দায় বিভিন্ন সমস্যার সম্ভব্য তালিকা
সমস্যার ধরন | সমস্যার উদাহরণ |
---|---|
১. অবকাঠামোগত সমস্যা | |
ক. বারান্দার মেঝে ভেঙে গেছে | মেঝে মেরামত করা |
খ. বারান্দার দেয়াল ফাটা | দেয়াল মেরামত করা |
গ. বারান্দার জানালা ভাঙা | জানালা ঠিক করা |
ঘ. বারান্দার ছাদ ঝরে পড়ছে | ছাদ মেরামত করা |
২. নিরাপত্তা সমস্যা | |
ক. বারান্দায় আলোর অভাব | আলোর ব্যবস্থা করা |
খ. বারান্দায় নিরাপত্তা বেড়া না থাকা | নিরাপত্তা বেড়া লাগানো |
গ. বারান্দায় বর্জ্য জমে থাকা | বর্জ্য অপসারণ করা |
৩. পরিবেশগত সমস্যা | |
ক. বারান্দায় ধুলাবালি জমে থাকা | বারান্দা পরিষ্কার করা |
খ. বারান্দায় গাছপালা না থাকা | গাছপালা লাগানো |
গ. বারান্দায় বসার ব্যবস্থা না থাকা | বসার ব্যবস্থা করা |
গ-দলের কাজ: বিদ্যালয় প্রাঙ্গণের বিভিন্ন সমস্যা খুঁজে বার করা

বিদ্যালয় প্রাঙ্গনের বিভিন্ন সমস্যা
সমস্যার ধরন | সমস্যার উদাহরণ |
অবকাঠামোগত সমস্যা | |
বিদ্যালয়ের ভবন জীর্ণ ও ক্ষতিগ্রস্ত | ভবন মেরামত করা |
বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গনে ঝোপঝাড় ও জলাবদ্ধতা | ঝোপঝাড় পরিষ্কার করা, জলাবদ্ধতা দূর করা |
বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গনে রাস্তাঘাটের অবস্থা খারাপ | রাস্তাঘাট মেরামত করা |
নিরাপত্তা সমস্যা | |
বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গনে আলোর অভাব | আলোর ব্যবস্থা করা |
বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গনে নিরাপত্তা বেড়া না থাকা | নিরাপত্তা বেড়া লাগানো |
বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গনে বর্জ্য জমে থাকা | বর্জ্য অপসারণ করা |
পরিবেশগত সমস্যা | |
বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গনে ধুলাবালি জমে থাকা | প্রাঙ্গণ পরিষ্কার করা |
বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গনে গাছপালা না থাকা | গাছপালা লাগানো |
বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গনে বসার ব্যবস্থা না থাকা | বসার ব্যবস্থা করা |
ঘ-দলের কাজ: বিদ্যালয় ওয়াশব্লক এর বিভিন্ন সমস্যা বের করা
সমস্যার ধরন | সমস্যার উদাহরণ |
---|---|
অবকাঠামোগত সমস্যা | |
ওয়াশব্লক নোংরা ও অপরিচ্ছন্ন | ওয়াশব্লক পরিষ্কার করা |
ওয়াশব্লক ভেঙে গেছে | ওয়াশব্লক মেরামত করা |
ওয়াশব্লক থেকে পানি ঝরে পড়ছে | ওয়াশব্লক পানিরোধী করা |
নিরাপত্তা সমস্যা | |
ওয়াশব্লক অন্ধকার | ওয়াশব্লক আলোর ব্যবস্থা করা |
ওয়াশব্লক নিরাপত্তা বেড়া না থাকা | নিরাপত্তা বেড়া লাগানো |
স্বাস্থ্যগত সমস্যা | |
ওয়াশব্লক থেকে দুর্গন্ধ ছড়ায় | ওয়াশব্লক পরিষ্কার করা |
ওয়াশব্লক সুপেয় জলের অভাব | সুপেয় জলের ব্যবস্থা করা |
সামাজিক সমস্যা | |
ওয়াশব্লক ব্যবহারে ঝগড়াঝাটি | ওয়াশব্লক ব্যবহারে নিয়মকানুন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন |
দলগতভাবে আলোচনা ও পরিকল্পনা করা
এই পর্যায়ে আমরা জীবন ও জীবিকা বাৎসরিক সামষ্টিক মূল্যায়নের জন্য ষষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে বিদ্যালয় ভিত্তিক বিভিন্ন সমস্যা খুঁজে বার করে সেগুলো সম্ভাব্য সমাধান নিয়ে আলোচনা করব। তবে এখানে প্রথমে নির্দেশনায় উল্লেখিত উদাহরণ দেয়া সমস্যাগুলো সমাধানের পদ্ধতি আগে দেয়া হবে।
সমস্যা-১: শ্রেণিকক্ষে পোস্টার বা প্রেজেন্টেশন ঝুলানোর ব্যবস্থা নেই;
সমাধানের জন্য করণীয়:
শ্রেণিকক্ষে পোস্টার প্রেজেন্টেশেনের জন্য কাগজের বোর্ড বা রশি ঝুলানোর ব্যবস্থা করতে পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন এর পদক্ষেপ দেখে নিন-
পরিকল্পনা
উদ্দেশ্য:
১. শ্রেণিকক্ষে পোস্টার প্রেজেন্টেশেনের জন্য কাগজের বোর্ড বা রশি ঝুলানোর ব্যবস্থা করা।
২. শিক্ষার্থীদের পোস্টার প্রেজেন্টেশনের দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করা।
৩. শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার পরিবেশকে আরও আকর্ষক ও প্রাণবন্ত করা।
সমাধান: শ্রেণিকক্ষের সামনের দেয়ালে কাগজের বোর্ড বা রশি ঝুলানো।
উপকরণ: ১. কাগজের বোর্ড বা রশি, ২. স্ক্রু ড্রাইভার বা হ্যামার, ৩. প্লাম্ব লাইন, ৪. টেপ;
পরিকল্পনার ধাপ:
১. শ্রেণিকক্ষের সামনের দেয়ালে কাগজের বোর্ড বা রশি ঝুলানোর জন্য উপযুক্ত জায়গা নির্বাচন করা।
২. কাগজের বোর্ড বা রশির জন্য স্ক্রু বা পেরেক লাগানোর জন্য দেয়ালে গর্ত করা।
৩. কাগজের বোর্ড বা রশিকে গর্তের মধ্যে বসানো।
৪. কাগজের বোর্ড বা রশিকে ভালোভাবে আটকানোর জন্য স্ক্রু বা পেরেক দিয়ে আটকানো।
বাস্তবায়ন:
প্রথম ধাপ: শ্রেণিকক্ষের শিক্ষকের সাথে আলোচনা করে শ্রেণিকক্ষের সামনের দেয়ালে কাগজের বোর্ড বা রশি ঝুলানোর জন্য উপযুক্ত জায়গা নির্বাচন করা।
দ্বিতীয় ধাপ: কাগজের বোর্ড বা রশির জন্য স্ক্রু বা পেরেক লাগানোর জন্য দেয়ালে গর্ত করা।
তৃতীয় ধাপ: কাগজের বোর্ড বা রশিকে গর্তের মধ্যে বসানো।
চতুর্থ ধাপ: কাগজের বোর্ড বা রশিকে ভালোভাবে আটকানোর জন্য স্ক্রু বা পেরেক দিয়ে আটকানো।
বাস্তবায়নের সময় লক্ষণীয় বিষয়:
১. কাগজের বোর্ড বা রশির আকার এমন হওয়া উচিত যাতে শিক্ষার্থীরা পোস্টার প্রেজেন্টেশন করতে সক্ষম হয়।
২. কাগজের বোর্ড বা রশি দেয়ালে এমনভাবে আটকানো উচিত যাতে তা সহজেই খুলে যায় না।
এই পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন বাস্তবায়ন করলে শ্রেণিকক্ষে পোস্টার প্রেজেন্টেশেনের জন্য একটি সুন্দর ও কার্যকর ব্যবস্থা তৈরি হবে। এতে শিক্ষার্থীদের পোস্টার প্রেজেন্টেশনের দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়তা হবে এবং শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার পরিবেশ আরও আকর্ষক ও প্রাণবন্ত হবে।
বিদ্যালয় ভিত্তিক সমস্যা খুঁজি ও সমাধানের প্রস্তুতি নিই
পরিকল্পনা
শ্রেণিকক্ষ, বারান্দা, বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে ময়লা রাখার ঝুড়ির ব্যবস্থা করা
- উদ্দেশ্য: শ্রেণিকক্ষ, বারান্দা, বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে ময়লা রাখার ঝুড়ির ব্যবস্থা করা।
- উদ্দেশ্য: বিদ্যালয়ের পরিবেশকে পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যকর রাখা।
সমাধান: শ্রেণিকক্ষ, বারান্দা, বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে পর্যাপ্ত পরিমাণে ময়লা রাখার ঝুড়ি স্থাপন করা।
উপকরণ:
- ময়লা রাখার ঝুড়ি
- ঝুড়ি রাখার জন্য উপযুক্ত জায়গা
পরিকল্পনার ধাপ:
- শ্রেণিকক্ষ, বারান্দা, বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে ময়লা রাখার জন্য উপযুক্ত জায়গা নির্বাচন করা।
- ময়লা রাখার ঝুড়ির ধরন ও আকার নির্ধারণ করা।
- ময়লা রাখার ঝুড়ি কিনতে বা তৈরি করতে অর্থ সংগ্রহ করা।
- ময়লা রাখার ঝুড়ি স্থাপন করা।
বাস্তবায়ন
প্রথম ধাপ:
শ্রেণিকক্ষের শিক্ষক, বারান্দা ও বিদ্যালয় প্রাঙ্গনের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের সাথে আলোচনা করে ময়লা রাখার জন্য উপযুক্ত জায়গা নির্বাচন করা।
দ্বিতীয় ধাপ:
ময়লা রাখার ঝুড়ির ধরন ও আকার নির্ধারণ করা। ঝুড়িগুলো এমন হওয়া উচিত যাতে তা পর্যাপ্ত পরিমাণে ময়লা ধরে রাখতে পারে এবং তা পরিষ্কার করা সহজ হয়।
তৃতীয় ধাপ:
ময়লা রাখার ঝুড়ি কিনতে বা তৈরি করতে অর্থ সংগ্রহ করা। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা, শিক্ষকরা, অভিভাবকরা এবং বিদ্যালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা একসাথে কাজ করতে পারেন।
চতুর্থ ধাপ:
ময়লা রাখার ঝুড়ি স্থাপন করা। ঝুড়িগুলো এমন জায়গায় স্থাপন করা উচিত যাতে শিক্ষার্থীরা, শিক্ষকরা এবং অন্যান্যরা সহজেই সেগুলো ব্যবহার করতে পারে।
বাস্তবায়নের সময় লক্ষণীয় বিষয়:
- ময়লা রাখার ঝুড়িগুলো এমন জায়গায় স্থাপন করা উচিত যাতে তা বৃষ্টির পানি থেকে সুরক্ষিত থাকে।
- ময়লা রাখার ঝুড়িগুলো নিয়মিত পরিষ্কার করা উচিত।
বাস্তবায়নের পরবর্তী পদক্ষেপ:
- শিক্ষার্থীদের ময়লা রাখার ঝুড়ি ব্যবহারের বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া।
- ময়লা রাখার ঝুড়ি ব্যবহারের বিষয়ে নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা।
এই পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন বাস্তবায়ন করলে শ্রেণিকক্ষ, বারান্দা, বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে ময়লা রাখার জন্য একটি সুন্দর ও কার্যকর ব্যবস্থা তৈরি হবে। এতে বিদ্যালয়ের পরিবেশ পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যকর থাকবে।
বিদ্যালয় ভিত্তিক সমস্যা খুঁজি ও সমাধানের প্রস্তুতি নিই
পরিকল্পনা: শ্রেণিকক্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য পানির ব্যবস্থা করা (কলস/জগ/পানি রাখার পাত্র/গ্লাস ইত্যাদি)
- উদ্দেশ্য: শ্রেণিকক্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য পানির ব্যবস্থা করা।
- উদ্দেশ্য: শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা।
সমাধান: শ্রেণিকক্ষে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানির ব্যবস্থা করা।
উপকরণ:
- কলস/জগ/পানি রাখার পাত্র
- গ্লাস
পরিকল্পনার ধাপ:
- শ্রেণিকক্ষে পানির ব্যবস্থা করার জন্য উপযুক্ত জায়গা নির্বাচন করা।
- পানির পাত্র ও গ্লাসের ধরন ও আকার নির্ধারণ করা।
- পানির পাত্র ও গ্লাস কিনতে বা তৈরি করতে অর্থ সংগ্রহ করা।
- পানির পাত্র ও গ্লাস স্থাপন করা।
বাস্তবায়ন
প্রথম ধাপ:
শ্রেণিকক্ষের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সাথে আলোচনা করে পানির ব্যবস্থা করার জন্য উপযুক্ত জায়গা নির্বাচন করা।
দ্বিতীয় ধাপ:
পানির পাত্র ও গ্লাসের ধরন ও আকার নির্ধারণ করা। পানির পাত্রগুলো এমন হওয়া উচিত যাতে তা পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি ধরে রাখতে পারে এবং তা পরিষ্কার করা সহজ হয়। গ্লাসগুলো এমন হওয়া উচিত যাতে তা সহজেই ধরা যায় এবং তাতে পানি ঢেলে নেওয়া সহজ হয়।
তৃতীয় ধাপ:
পানির পাত্র ও গ্লাস কিনতে বা তৈরি করতে অর্থ সংগ্রহ করা। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা, শিক্ষকরা, অভিভাবকরা এবং বিদ্যালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা একসাথে কাজ করতে পারেন।
চতুর্থ ধাপ:
পানির পাত্র ও গ্লাস স্থাপন করা। পানির পাত্র ও গ্লাসগুলো এমন জায়গায় স্থাপন করা উচিত যাতে শিক্ষার্থীরা সহজেই সেগুলো ব্যবহার করতে পারে।
বাস্তবায়নের সময় লক্ষণীয় বিষয়:
- পানির পাত্র ও গ্লাসগুলো এমন জায়গায় স্থাপন করা উচিত যাতে তা ধুলোবালি থেকে সুরক্ষিত থাকে।
- পানির পাত্র ও গ্লাসগুলো নিয়মিত পরিষ্কার করা উচিত।
বাস্তবায়নের পরবর্তী পদক্ষেপ:
- শিক্ষার্থীদের পানির পাত্র ও গ্লাস ব্যবহারের বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া।
- পানির পাত্র ও গ্লাস ব্যবহারের বিষয়ে নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা।
এই পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন বাস্তবায়ন করলে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের জন্য পানির জন্য একটি সুন্দর ও কার্যকর ব্যবস্থা তৈরি হবে। এতে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত হবে।
বিশেষ বিষয়
- পানির পাত্র ও গ্লাসগুলো নিয়মিত পরিষ্কার করার জন্য একটি নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা দল নিয়োগ করা যেতে পারে।
- পানির পাত্র ও গ্লাসগুলোতে পানি পরিবর্তন করার জন্য একটি নির্দিষ্ট সময়সূচী তৈরি করা যেতে পারে।
- পানির পাত্র ও গ্লাসগুলোতে পানি রাখার জন্য নির্দিষ্ট মানদণ্ড নির্ধারণ করা যেতে পারে।
বিদ্যালয় ভিত্তিক সমস্যা খুঁজি ও সমাধানের প্রস্তুতি নিই
বিদ্যালয়ের বারান্দা সজ্জিতকরণ- আলপনা করা/কাগজ বা ককসেট দিয়ে সাজানো/রং করা/ টবের ব্যবস্থা করে গাছ লাগানো/আয়না লাগানো ইত্যাদি পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন
উদ্দেশ্য: বিদ্যালয়ের বারান্দাটি সুন্দর ও আকর্ষণীয় করে তোলা।
সমাধান: বিদ্যালয়ের বারান্দা আলপনা, কাগজ বা ককসেট, রং, টব, আয়না ইত্যাদির মাধ্যমে সজ্জিত করা।
উপকরণ:
- আলপনা করার জন্য: গুঁড়ো রং, মোটা কাগজ, বা সুতা
- কাগজ বা ককসেট দিয়ে সাজানোর জন্য: বিভিন্ন রঙের কাগজ, ককসেট, এবং কাগজ কাটার সরঞ্জাম
- রং করার জন্য: বিভিন্ন রঙের রং, এবং রং করার সরঞ্জাম
- টবের ব্যবস্থা করে গাছ লাগানোর জন্য: বিভিন্ন ধরনের গাছ, এবং গাছ লাগানোর সরঞ্জাম
- আয়না লাগানোর জন্য: বিভিন্ন আকারের আয়না, এবং আয়না লাগানোর সরঞ্জাম
পরিকল্পনার ধাপ:
- বিদ্যালয়ের বারান্দার জন্য একটি পরিকল্পনা তৈরি করা।
- প্রয়োজনীয় উপকরণ সংগ্রহ করা।
- শিক্ষার্থীদের নিয়ে বারান্দা সজ্জিত করার কাজ শুরু করা।
বাস্তবায়ন
প্রথম ধাপ:
বিদ্যালয়ের বারান্দার জন্য একটি পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে। এতে বারান্দার আকার, আকৃতি, এবং বিদ্যালয়ের পরিবেশ বিবেচনা করতে হবে। পরিকল্পনায় বারান্দা সজ্জিত করার জন্য ব্যবহৃত হবে এমন উপকরণ, নকশা, এবং রঙের বিবরণ উল্লেখ করতে হবে।
দ্বিতীয় ধাপ:
প্রয়োজনীয় উপকরণ সংগ্রহ করতে হবে। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা, শিক্ষকরা, অভিভাবকরা এবং বিদ্যালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা একসাথে কাজ করতে পারেন।
তৃতীয় ধাপ:
শিক্ষার্থীদের নিয়ে বারান্দা সজ্জিত করার কাজ শুরু করতে হবে। এতে শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা ও দক্ষতার সুযোগ দিতে হবে।
বাস্তবায়নের সময় লক্ষণীয় বিষয়:
- নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
- পরিবেশবান্ধব উপকরণ ব্যবহার করতে হবে।
- বাজেট বিবেচনা করতে হবে।
বাস্তবায়নের পরবর্তী পদক্ষেপ:
- বারান্দা সজ্জিত করার কাজ শেষ হলে তা শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া।
- বারান্দাটি নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা।
উদাহরণ
- আলপনা করা: বিদ্যালয়ের বারান্দার দেয়ালে বিভিন্ন রঙের আলপনা করা যেতে পারে। এতে বারান্দাটি একটি সুন্দর ও মনোরম পরিবেশ পাবে।
- কাগজ বা ককসেট দিয়ে সাজানো: বিদ্যালয়ের বারান্দায় বিভিন্ন ধরনের নকশা তৈরি করে কাগজ বা ককসেট দিয়ে সাজানো যেতে পারে। এতে বারান্দাটি একটি আকর্ষণীয় পরিবেশ পাবে।
- রং করা: বিদ্যালয়ের বারান্দা রং করা হলে তা একটি নতুন ও প্রাণবন্ত চেহারা পাবে।
- টবের ব্যবস্থা করে গাছ লাগানো: বিদ্যালয়ের বারান্দায় টবের ব্যবস্থা করে গাছ লাগানো যেতে পারে। এতে একটি প্রাকৃতিক পরিবেশ তৈরি হবে।
- আয়না লাগানো: বিদ্যালয়ের বারান্দায় আয়না লাগানো যেতে পারে। এতে একটি প্রশস্ত ও আলোকিত পরিবেশ তৈরি হবে।
এই উপায়গুলোর যেকোনো একটি বা একাধিক উপায় ব্যবহার করে বিদ্যালয়ের বারান্দা সজ্জিত করা যেতে পারে। শিক্ষার্থীরা তাদের নিজস্ব সৃজনশীলতা ও দক্ষতার মাধ্যমে বারান্দাটিকে আরও সুন্দর ও আকর্ষণীয় করে তুলতে পারে।
বিদ্যালয় ভিত্তিক সমস্যা খুঁজি ও সমাধানের প্রস্তুতি নিই
পরিকল্পনা: বিদ্যালয় প্রাঙ্গন বা মাঠ পরিষ্কার করার সরঞ্জাম- ঝাড়ু/বেলচা/বালতি ইত্যাদির ব্যবস্থা করা পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন
উদ্দেশ্য: বিদ্যালয় প্রাঙ্গন বা মাঠ পরিষ্কার করার জন্য পর্যাপ্ত সরঞ্জামের ব্যবস্থা করা।
সমাধান: ঝাড়ু, বেলচা, বালতি, পানি, এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের ব্যবস্থা করা।
উপকরণ:
- ঝাড়ু
- বেলচা
- বালতি
- পানি
- অন্যান্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম
পরিকল্পনার ধাপ:
- বিদ্যালয় প্রাঙ্গন বা মাঠের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের একটি তালিকা তৈরি করা।
- প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের জন্য বাজেট তৈরি করা।
- সরঞ্জাম কেনা বা তৈরির জন্য অর্থ সংগ্রহ করা।
- সরঞ্জাম সংগ্রহ করা।
- সরঞ্জামগুলো বিদ্যালয় প্রাঙ্গন বা মাঠে রাখার জন্য একটি সুবিধাজনক স্থান নির্ধারণ করা।
বাস্তবায়ন
প্রথম ধাপ:
বিদ্যালয় প্রাঙ্গন বা মাঠের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের একটি তালিকা তৈরি করতে হবে। এতে সরঞ্জামের ধরন, আকার, এবং সংখ্যা উল্লেখ করতে হবে।
দ্বিতীয় ধাপ:
প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের জন্য বাজেট তৈরি করতে হবে। এতে সরঞ্জামের দাম, পরিবহন খরচ, এবং অন্যান্য খরচ বিবেচনা করতে হবে।
তৃতীয় ধাপ:
সরঞ্জাম কেনা বা তৈরির জন্য অর্থ সংগ্রহ করতে হবে। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা, শিক্ষকরা, অভিভাবকরা এবং বিদ্যালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা একসাথে কাজ করতে পারেন।
চতুর্থ ধাপ:
সরঞ্জাম সংগ্রহ করতে হবে। এক্ষেত্রে স্থানীয় বাজার থেকে সরঞ্জাম কেনা যেতে পারে, অথবা শিক্ষার্থীরা সরঞ্জাম তৈরির কর্মশালায় অংশগ্রহণ করতে পারে।
পঞ্চম ধাপ:
সরঞ্জামগুলো বিদ্যালয় প্রাঙ্গন বা মাঠে রাখার জন্য একটি সুবিধাজনক স্থান নির্ধারণ করতে হবে। এতে সরঞ্জামগুলো সহজেই পাওয়া যায় এবং সেগুলো ব্যবহার করা সহজ হয়।
বাস্তবায়নের সময় লক্ষণীয় বিষয়:
- সরঞ্জামগুলো ব্যবহারের জন্য সুনির্দিষ্ট নিয়মকানুন প্রণয়ন করা।
- সরঞ্জামগুলো নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা।
- সরঞ্জামগুলোর ক্ষয়ক্ষতি হলে তা দ্রুত মেরামত বা প্রতিস্থাপন করা।
বাস্তবায়নের পরবর্তী পদক্ষেপ:
- বিদ্যালয় প্রাঙ্গন বা মাঠ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার জন্য সরঞ্জামগুলোর ব্যবহার নিশ্চিত করা।
- সরঞ্জামগুলোর ব্যবহারের জন্য শিক্ষার্থীদের সচেতনতা বৃদ্ধি করা।
এই পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন বাস্তবায়ন করলে বিদ্যালয় প্রাঙ্গন বা মাঠ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য পর্যাপ্ত সরঞ্জামের ব্যবস্থা করা সম্ভব হবে। এতে বিদ্যালয়ের পরিবেশ সুন্দর ও স্বাস্থ্যকর থাকবে।
বিদ্যালয় ভিত্তিক সমস্যা খুঁজি ও সমাধানের প্রস্তুতি নিই
পরিকল্পনা: খেলার সরঞ্জাম-দাবা/কেরাম/লুডু/ফুটবল/রকেট/ক্রিকেট বল ইত্যাদি সংগ্রহ করা
উদ্দেশ্য: বিদ্যালয়ের জন্য পর্যাপ্ত খেলার সরঞ্জামের ব্যবস্থা করা।
সমাধান: দাবা, কেরাম, লুডু, ফুটবল, রকেট, ক্রিকেট বল ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের খেলার সরঞ্জাম সংগ্রহ করা।
উপকরণ:
- দাবা বোর্ড ও দাবা গুটি
- কেরাম বোর্ড ও কেরাম গুটি
- লুডু বোর্ড ও লুডু গুটি
- ফুটবল
- রকেট
- ক্রিকেট বল
- অন্যান্য প্রয়োজনীয় খেলার সরঞ্জাম
পরিকল্পনার ধাপ:
- বিদ্যালয়ের জন্য প্রয়োজনীয় খেলার সরঞ্জামের একটি তালিকা তৈরি করা।
- প্রয়োজনীয় খেলার সরঞ্জামের জন্য বাজেট তৈরি করা।
- খেলার সরঞ্জাম কেনা বা তৈরির জন্য অর্থ সংগ্রহ করা।
- খেলার সরঞ্জাম সংগ্রহ করা।
- খেলার সরঞ্জামগুলো বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে রাখার জন্য একটি সুবিধাজনক স্থান নির্ধারণ করা।
বাস্তবায়ন
প্রথম ধাপ:
বিদ্যালয়ের জন্য প্রয়োজনীয় খেলার সরঞ্জামের একটি তালিকা তৈরি করতে হবে। এতে খেলার সরঞ্জামের ধরন, আকার, এবং সংখ্যা উল্লেখ করতে হবে।
দ্বিতীয় ধাপ:
প্রয়োজনীয় খেলার সরঞ্জামের জন্য বাজেট তৈরি করতে হবে। এতে খেলার সরঞ্জামের দাম, পরিবহন খরচ, এবং অন্যান্য খরচ বিবেচনা করতে হবে।
তৃতীয় ধাপ:
খেলার সরঞ্জাম কেনা বা তৈরির জন্য অর্থ সংগ্রহ করতে হবে। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা, শিক্ষকরা, অভিভাবকরা এবং বিদ্যালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা একসাথে কাজ করতে পারেন।
চতুর্থ ধাপ:
খেলার সরঞ্জাম সংগ্রহ করতে হবে। এক্ষেত্রে স্থানীয় বাজার থেকে খেলার সরঞ্জাম কেনা যেতে পারে, অথবা শিক্ষার্থীরা খেলার সরঞ্জাম তৈরির কর্মশালায় অংশগ্রহণ করতে পারে।
পঞ্চম ধাপ:
খেলার সরঞ্জামগুলো বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে রাখার জন্য একটি সুবিধাজনক স্থান নির্ধারণ করতে হবে। এতে খেলার সরঞ্জামগুলো সহজেই পাওয়া যায় এবং সেগুলো ব্যবহার করা সহজ হয়।
বাস্তবায়নের সময় লক্ষণীয় বিষয়:
- খেলার সরঞ্জামগুলো ব্যবহারের জন্য সুনির্দিষ্ট নিয়মকানুন প্রণয়ন করা।
- খেলার সরঞ্জামগুলো নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা।
- খেলার সরঞ্জামগুলোর ক্ষয়ক্ষতি হলে তা দ্রুত মেরামত বা প্রতিস্থাপন করা।
বাস্তবায়নের পরবর্তী পদক্ষেপ:
- খেলার সরঞ্জামগুলোর ব্যবহার নিশ্চিত করা।
- শিক্ষার্থীদের মধ্যে খেলাধুলার প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি করা।
এই পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন বাস্তবায়ন করলে বিদ্যালয়ের জন্য পর্যাপ্ত খেলার সরঞ্জামের ব্যবস্থা করা সম্ভব হবে। এতে শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার সুযোগ বৃদ্ধি পাবে এবং তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে সহায়তা হবে।
বিশেষ বিষয়
- খেলার সরঞ্জামগুলো কেনার সময় মানসম্পন্ন সরঞ্জাম কেনার চেষ্টা করতে হবে।
- খেলার সরঞ্জামগুলো নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা এবং ক্ষয়ক্ষতি হলে তা দ্রুত মেরামত বা প্রতিস্থাপন করা গুরুত্বপূর্ণ।
- শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার সুযোগ বৃদ্ধি করতে এবং তাদের মধ্যে খেলাধুলার প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি করতে বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
বিদ্যালয় ভিত্তিক সমস্যা খুঁজি ও সমাধানের প্রস্তুতি নিই
ওয়াশ ব্লকের জন্য টয়লেট টিস্যু/মগ/বদনা/হ্যান্ডওয়াস/সাবান ইত্যাদির ব্যবস্থা করা পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন
উদ্দেশ্য: ওয়াশ ব্লকের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের ব্যবস্থা করা।
সমাধান: টয়লেট টিস্যু, মগ, বদনা, হ্যান্ডওয়াস, সাবান, এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের ব্যবস্থা করা।
উপকরণ:
- টয়লেট টিস্যু
- মগ
- বদনা
- হ্যান্ডওয়াস
- সাবান
- অন্যান্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম
পরিকল্পনার ধাপ:
- ওয়াশ ব্লকের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের একটি তালিকা তৈরি করা।
- প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের জন্য বাজেট তৈরি করা।
- সরঞ্জাম কেনা বা তৈরির জন্য অর্থ সংগ্রহ করা।
- সরঞ্জাম সংগ্রহ করা।
- সরঞ্জামগুলো ওয়াশ ব্লকে রাখার জন্য একটি সুবিধাজনক স্থান নির্ধারণ করা।
বাস্তবায়ন
প্রথম ধাপ:
ওয়াশ ব্লকের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের একটি তালিকা তৈরি করতে হবে। এতে সরঞ্জামের ধরন, আকার, এবং সংখ্যা উল্লেখ করতে হবে।
দ্বিতীয় ধাপ:
প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের জন্য বাজেট তৈরি করতে হবে। এতে সরঞ্জামের দাম, পরিবহন খরচ, এবং অন্যান্য খরচ বিবেচনা করতে হবে।
তৃতীয় ধাপ:
সরঞ্জাম কেনা বা তৈরির জন্য অর্থ সংগ্রহ করতে হবে। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা, শিক্ষকরা, অভিভাবকরা এবং বিদ্যালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা একসাথে কাজ করতে পারেন।
চতুর্থ ধাপ:
সরঞ্জাম সংগ্রহ করতে হবে। এক্ষেত্রে স্থানীয় বাজার থেকে সরঞ্জাম কেনা যেতে পারে, অথবা শিক্ষার্থীরা সরঞ্জাম তৈরির কর্মশালায় অংশগ্রহণ করতে পারে।
পঞ্চম ধাপ:
সরঞ্জামগুলো ওয়াশ ব্লকে রাখার জন্য একটি সুবিধাজনক স্থান নির্ধারণ করতে হবে। এতে সরঞ্জামগুলো সহজেই পাওয়া যায় এবং সেগুলো ব্যবহার করা সহজ হয়।
বাস্তবায়নের সময় লক্ষণীয় বিষয়:
- সরঞ্জামগুলো ব্যবহারের জন্য সুনির্দিষ্ট নিয়মকানুন প্রণয়ন করা।
- সরঞ্জামগুলো নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা।
- সরঞ্জামগুলোর ক্ষয়ক্ষতি হলে তা দ্রুত মেরামত বা প্রতিস্থাপন করা।
বাস্তবায়নের পরবর্তী পদক্ষেপ:
- সরঞ্জামগুলোর ব্যবহার নিশ্চিত করা।
- শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্বাস্থ্যসম্মত ওয়াশরুমের ব্যবহারের বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করা।
এই পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন বাস্তবায়ন করলে ওয়াশ ব্লকের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের ব্যবস্থা করা সম্ভব হবে। এতে ওয়াশরুমের পরিবেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকবে এবং শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত হবে।
বিশেষ বিষয়
- সরঞ্জামগুলো কেনার সময় মানসম্পন্ন সরঞ্জাম কেনার চেষ্টা করতে হবে।
- সরঞ্জামগুলো নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা এবং ক্ষয়ক্ষতি হলে তা দ্রুত মেরামত বা প্রতিস্থাপন করা গুরুত্বপূর্ণ।
- শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্বাস্থ্যসম্মত ওয়াশরুমের ব্যবহারের বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
এছাড়াও, ওয়াশ ব্লকের জন্য নিম্নলিখিত বিষয়গুলো বিবেচনা করা যেতে পারে:
- ওয়াশ ব্লকের জন্য পর্যাপ্ত আলো ও বাতাসের ব্যবস্থা করা।
- ওয়াশ ব্লকের মেঝে ও দেয়াল নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা।
- ওয়াশ ব্লকের জন্য সুনির্দিষ্ট নিয়মকানুন প্রণয়ন করা এবং তা বাস্তবায়ন করা।
প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা এই ছিল তোমাদের জন্য ষষ্ঠ শ্রেণী জীবন ও জীবিকা পাঠ্য বই থেকে বাৎসরিক সামষ্টিক মূল্যায়ন কার্যক্রমের প্রথম দিবসের অ্যাসাইনমেন্ট: বিদ্যালয় ভিত্তিক সমস্যা খুঁজি ও সমাধানের প্রস্তুতি নিই। শীঘ্রই আমরা পরবর্তী বিষয়ের অ্যাসাইনমেন্ট গুলো নিয়ে আলোচনা শুরু করব।
আজকের ষষ্ঠ শ্রেণি বাৎসরিক সামষ্টিক মূল্যায়ন অন্যান্য বিষয়ের এসাইনমেন্ট
নিচের ছকে তোমাদের জন্য ১৩ নভেম্বর ২০২৩ তারিখে অনুষ্ঠিতব্য তিনটি সেশনে যে সকল বিষয়ের অ্যাসাইনমেন্ট কার্যক্রম পরিচালিত হবে তার তালিকা সমাধানসহ দেয়া হলো।
ক্রম | বিষয়ের নাম | অ্যাসাইনমেন্ট শিরোনাম ও সমাধান |
০১ | গণিত | কাজ: ১- সংখ্যার কারিগর; কাজ: ২- বনভোজনের কেনাকাটা; |
০২ | স্বাস্থ্য সুরক্ষা | প্রতিযোগিতামূলক খেলায় অংশগ্রহণ: কাবাডি, ফুটবল ও মোড়গ লড়াই |
০৩ | জীবন ও জীবিকা | বিদ্যালয় ভিত্তিক সমস্যা খুঁজি ও সমাধানের প্রস্তুতি নিই |
অধ্যায়ন ডট কম এর সকল আপডেট সবার আগে পাওয়ার জন্য আমাদের ফেসবুক পেজটি লাইক এবং ফলো করে রাখুন, ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করে রাখুন এবং আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন।
I want to Life and livelihood subject solution for 2nd weekday
I want to Life and livelihood subject solution for 2nd weekday
Class seven
I want to Life and livelihood subject solution for 2nd weekday
Class seven annual examination