পুতুল গল্পটিতে জীবনের সঙ্গে সম্পর্ক খুঁজি, গল্পের বৈশিষ্ট্য খুঁজি। ষষ্ঠ শ্রেণির প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা, তোমাদের জন্য আজ আলোচনা করব বাংলা বিষয়ের ষষ্ঠ অধ্যায় সাহিত্য পড়ি লিখতে শিখি গল্প পড়ি ২ এর পুতুল গল্পটিতে জীবনের সঙ্গে সম্পর্ক খুঁজি, গল্পের বৈশিষ্ট্য খুঁজি।
শিক্ষকের নির্দেশ অনুযায়ী তোমরা দলে ভাগ হও। এ গল্পে কী বলা হয়েছে, তা দলে আলোচনা করে বোঝার চেষ্টা করো। কোন দল কেমন বুঝতে পেরেছে, তা যাচাই করার জন্য এক দল অপর দলকে প্রশ্ন করবে। এজন্য আগেই দলে আলোচনা করে কাগজে কয়েকটি প্রশ্ন লিখে রাখো। অতঃপর পুতুল গল্পটিতে জীবনের সঙ্গে সম্পর্ক খুঁজি, গল্পের বৈশিষ্ট্য খুঁজি কাজটি সম্পন্ন কর।
বলি ও লিখি
‘পুতুল’ গল্পটি নিজের ভাষায় বলো এবং নিজের ভাষায় লেখো।
নিচে ‘পুতুল’ গল্পটি নিজের ভাষায় লেখা হলো :
পুতুলদের ঘরের সামনে একটি সুন্দর বাগান আছে। যদিও ঠিক বাগানের মতো নয়; সেখানে তিনটি বিশাল গাছ, যার একটি রেনট্রি। আর দুটি কদম গাছ। বর্ষাকালে গাছটিতে অসম্ভব সুন্দর কদম ফুল ফোটে। কিন্তু পুতুলের মা জেসমিন কদম গাছ দুটিকে একেবারেই সহ্য করতে পারেন না। কারণ কদম গাছের শুঁয়োপোকা পুতুলের মা’র অসহ্য লাগে। তাই প্রতিবছর তিনি গাছ দুটি কেটে ফেলতে বলেন।
কিন্তু কোনো অজানা কারণে গাছ দুটি কাটা হয় না। কদম ফুলের সৌন্দর্য মুগ্ধ করে পুতুলকে। কিন্তু এই মুগ্ধতা বেশি দিন স্থায়ী হয় না। সিদ্ধান্ত হয় এই শীতকালেই গাছ দুটি কাটা হবে। সেজন্য বজলু মিয়া নামক একটি লোককে গাছ-কাটার জন্য ঠিক করা হয়। সে এসে গাছটি দড়ি দিয়ে মাপজোখ করে গেছে। আগামী সোমবার কদম গাছ-কাটা হবে। সে কারণে পুতুলের মন ভীষণ খারাপ। পুতুল তার বাবাকে বাগানে গম্ভীরভাবে হাঁটতে দেখল। এর অর্থ বাবা রাগ করে আছেন এবং বাবা-মায়ের মধ্যে ভীষণ ঝগড়া হয়েছে।
পুতুল বোঝে না, বড়োরা কেন ঝগড়া করবে। পুতুল রেনট্রি গাছের দিকে এগোতে থাকে। পুতুলের বাবা পুতুলের নিঃসঙ্গতা অনুধাবন করতে পারেন। তিনি পুতুলকে কাছে ডাকেন। রেনট্রি গাছটির নিচে বসে কী করা হয় জিজ্ঞেস করেন। পুতুল উত্তর দেয় না। পুতুলের বাবা রহমান সাহেবের খুব ইচ্ছে করে পুতুলের রেশমি চুলে হাত বুলিয়ে দিতে কিন্তু কোনো অজানা কারণে দেন না। পুতুলের সাথে তার পিতা রহমান সাহেবের কুশল বিনিময়ের পর পুতুল তার পিতাকে জিজ্ঞেস করে গাছগুলো কেন কাটা হবে? পিতা তাকে জানালো গাছগুলোতে শুঁয়োপোকা হয়। যা তার মা সহ্য করতে পারেন না। তাছাড়া গাছগুলো কাটা হলে ঘরে প্রচুর রোদ আসবে। কিন্তু পুতুলের মন তারপরও বিষাদে পূর্ণ হয়ে থাকে ।
জীবনের সঙ্গে সম্পর্ক খুঁজি
পুতুল গল্পটিতে জীবনের সঙ্গে সম্পর্ক খুঁজি, গল্পের বৈশিষ্ট্য খুঁজি
‘পুতুল’ গল্পের সাথে তোমার জীবনের বা চারপাশের কোনো মিল খুঁজে পাও কি না, কিংবা কোনো সম্পর্ক খুঁজে পাও কি না, তা নিচে লেখো।
‘পুতুল’ গল্পের সাথে আমার জীবনের বা চারপাশের যেসব ক্ষেত্রে মিল বা সম্পর্ক খুঁজে পাই তা নিচে তুলে ধরা হলো-
হুমায়ূন আহমেদ রচিত “পুতুল” গল্পটিতে জীবনের সঙ্গে অনেক সম্পর্ক খুঁজে পাওয়া যায়। গল্পে, বালকটি একটি পুতুলকে বাস্তব জীবনে নিয়ে আসে। এই ঘটনাটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে আমরা সবাই আমাদের কল্পনা এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে আমাদের চারপাশের জগতকে আরও সুন্দর করে তুলতে পারি।
‘পুতুল’ গল্পের পুতুল একজন নিঃসঙ্গ বালক। সে একাকিত্বে ভোগে। আর একাকিত্ব ঘোচানোর জন্য সে বৃক্ষের সান্নিধ্যে যায়। গাছ তার একাকিত্ব ঘোচানোর পরম বন্ধু। এই গাছ-কাটা হবে বলে সে মনে মনে ভীষণ কষ্ট পায়। সে তার বাবাকেও এ বিষয়ে জানায়।
আমাদের সমাজেও আমরা পুতুলের মতো অনেককে দেখতে পাই। যারা পিতা-মাতার অনুপস্থিতিতে নিঃসঙ্গতায় ভোগে। পিতা-মাতা তাদের সাথে ভালো করে কথাও বলেন না। তারা হয়তো ছাদ-বাগান বা ফুল গাছের টব নিয়ে সময় কাটান। এমন দৃশ্য আমরা আমাদের চারপাশে হরহামেশা দেখতে পাই। এ সকল সন্তানদের বাবা-মায়ের উচিত সাধ্যমতো সময় দেওয়া। তাদের মনের ভাবনা জানা এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা ।
পুতুল গল্পটিতে জীবনের সঙ্গে সম্পর্ক খুঁজি, গল্পের বৈশিষ্ট্য খুঁজি
গল্পে, বালকটি পুতুলকে বাস্তব জীবনে নিয়ে আসে কারণ সে একাকী এবং বন্ধুহীন। এই ঘটনাটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে আমরা সবাই বন্ধুত্বের প্রয়োজন। বন্ধুরা আমাদের আনন্দ দেয়, আমাদের সাহায্য করে এবং আমাদের জীবনকে আরও সমৃদ্ধ করে তোলে।
গল্পে, বালকটি পুতুলকে বাস্তব জীবনে নিয়ে আসে কারণ সে ভালবাসা চায়। এই ঘটনাটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে আমরা সবাই ভালবাসার প্রয়োজন। ভালবাসা আমাদের জীবনকে আরও অর্থপূর্ণ করে তোলে এবং আমাদেরকে আরও সুখী করে তোলে।
আমি মনে করি যে “পুতুল” গল্পটি আমাদের প্রত্যেকের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা নিয়ে আসে। এটি আমাদেরকে মনে করিয়ে দেয় যে আমরা সবাই আমাদের কল্পনা, সৃজনশীলতা এবং ভালবাসার মাধ্যমে আমাদের চারপাশের জগতকে আরও সুন্দর করে তুলতে পারি। আমরা সবাই বন্ধুত্বের প্রয়োজন এবং ভালবাসার প্রয়োজন।
নিম্নে গল্পের সাথে জীবনের কিছু সম্পর্ক দেওয়া হল:
- কল্পনা: বালকটি তার কল্পনার মাধ্যমে একটি পুতুলকে বাস্তব জীবনে নিয়ে আসে। এই ঘটনাটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে আমরা সবাই আমাদের কল্পনা এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে আমাদের চারপাশের জগতকে আরও সুন্দর করে তুলতে পারি।
- বন্ধুত্ব: বালকটি পুতুলকে বাস্তব জীবনে নিয়ে আসে কারণ সে একাকী এবং বন্ধুহীন। এই ঘটনাটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে আমরা সবাই বন্ধুত্বের প্রয়োজন। বন্ধুরা আমাদের আনন্দ দেয়, আমাদের সাহায্য করে এবং আমাদের জীবনকে আরও সমৃদ্ধ করে তোলে।
- ভালোবাসা: বালকটি পুতুলকে বাস্তব জীবনে নিয়ে আসে কারণ সে ভালবাসা চায়। এই ঘটনাটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে আমরা সবাই ভালবাসার প্রয়োজন। ভালবাসা আমাদের জীবনকে আরও অর্থপূর্ণ করে তোলে এবং আমাদেরকে আরও সুখী করে তোলে।
আমি মনে করি যে “পুতুল” গল্পটি আমাদের প্রত্যেকের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা নিয়ে আসে। এটি আমাদেরকে মনে করিয়ে দেয় যে আমরা সবাই আমাদের কল্পনা, সৃজনশীলতা এবং ভালবাসার মাধ্যমে আমাদের চারপাশের জগতকে আরও সুন্দর করে তুলতে পারি। আমরা সবাই বন্ধুত্বের প্রয়োজন এবং ভালবাসার প্রয়োজন।
গল্পের বৈশিষ্ট্য খুঁজি
গল্পের সাধারণ কিছু বৈশিষ্ট্য আছে। নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর খোঁজার মাধ্যমে বৈশিষ্ট্যগুলো বোঝার চেষ্টা করো।
নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর খোঁজার মাধ্যমে বৈশিষ্ট্যগুলো বোঝার চেষ্টা করা হলো-
ক্রম | প্রশ্ন | হ্যাঁ | না |
১ | পরপর দুই লাইনের শেষে কি মিল-শব্দ আছে? | না | |
২ | হাতে তালি দিয়ে দিয়ে কি পড়া যায়? | না | |
৩ | লাইনগুলো কি নির্দিষ্ট দৈর্ঘ্যের? | না | |
৪ | লাইনগুলো কি সুর করে পড়া যায়? | না | |
৫ | এটি কি পদ্য-ভাষায় লেখা? | না | |
৬ | এটি কি গদ্য-ভাষায় লেখা? | হ্যাঁ | |
৭ | এর মধ্যে কি কোনো কাহিনি আছে? | হ্যাঁ | |
৮ | এর মধ্যে কি কোনো চরিত্র আছে? | হ্যাঁ | |
৯ | এখানে কি কোনো বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে? | হ্যাঁ | |
১০ | এটি কি কয়েকটি অনুচ্ছেদে ভাগ করা? | হ্যাঁ | |
১১ | এর মধ্যে কি কোনো সংলাপ আছে? | হ্যাঁ | |
১২ | এটি কি অভিনয় করা যায়? | হ্যাঁ |
গল্প কী?
গল্প এক ধরনের গদ্য রচনা, যেখানে কাহিনি ও চরিত্র থাকে। গল্পের কাহিনি সাধারণ ঘটনার চেয়ে একটু ভিন্ন হয়। এই কাহিনি বাস্তব জীবনে ঘটে এমন হতে পারে, আবার কল্পিতও হতে পারে। এদিক দিয়ে গল্প দুই ধরনের: বাস্তবের সাথে মিল আছে এমন গল্প এবং কাল্পনিক বিষয় নিয়ে রচিত গল্প। গল্প বইয়ের মতো বড়ো হয় না; অনেকগুলো গল্প নিয়ে একটা বই হতে পারে। যাঁরা গল্প লেখেন, তাঁদের গল্পকার বলে।
একটি গল্প হল একটি কল্পনাপ্রসূত বা বাস্তব ঘটনার কাহিনী যা পাঠককে আকর্ষণ করে। গল্পগুলি সাধারণত চরিত্র, সেটিং এবং প্লটের মতো উপাদানগুলির সমন্বয়ে গঠিত হয়। চরিত্রগুলি গল্পের ঘটনাগুলিতে জড়িত ব্যক্তি বা প্রাণী। সেটিং হল গল্পের ঘটনাগুলি যেখানে ঘটে। প্লট হল গল্পের ঘটনাগুলির ক্রম। গল্পগুলি বিভিন্ন উপায়ে বলা যেতে পারে, যেমন কথা বলা, লেখা বা চিত্রিত করা।
গল্পগুলি আমাদেরকে বিভিন্নভাবে আকর্ষণ করতে পারে। তারা আমাদেরকে হাসাতে পারে, কাঁদাতে পারে, ভয় দেখাতে পারে, বা আমাদেরকে চিন্তা করতে পারে। তারা আমাদেরকে অন্যদের জীবন সম্পর্কে জানতে সাহায্য করতে পারে, এবং তারা আমাদেরকে আমাদের নিজের জীবন সম্পর্কে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি দিতে পারে।
গল্পগুলি আমাদেরকে বিনোদন দিতে পারে, তারা আমাদেরকে শিক্ষা দিতে পারে, এবং তারা আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করতে পারে। তারা আমাদেরকে আমাদের চারপাশের জগৎকে আরও ভালভাবে বুঝতে সাহায্য করতে পারে, এবং তারা আমাদেরকে আমাদের নিজের জীবনকে আরও অর্থপূর্ণ করে তুলতে সাহায্য করতে পারে।
গল্পের বৈশিষ্ট্যগুলো কি?
গল্পের বৈশিষ্ট্যগুলি হলো:
- চরিত্র: গল্পের চরিত্রগুলি হল সেই ব্যক্তি বা প্রাণী যারা গল্পের ঘটনাগুলিতে জড়িত। চরিত্রগুলির মধ্যে সাধারণত একটি প্রধান চরিত্র থাকে, এবং অন্যান্য চরিত্রগুলি থাকে যারা প্রধান চরিত্রের সাথে যোগাযোগ করে। চরিত্রগুলির মধ্যে সাধারণত বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য থাকে, যেমন ব্যক্তিত্ব, আবেগ, এবং উদ্দেশ্য।
- সেটিং: গল্পের সেটিং হল সেই স্থান বা সময় যেখানে গল্পের ঘটনাগুলি ঘটে। সেটিংটি গল্পের পরিবেশ তৈরি করতে সাহায্য করে, এবং এটি পাঠককে গল্পে নিমজ্জিত করতে সাহায্য করে।
- প্লট: গল্পের প্লট হল গল্পের ঘটনাগুলির ক্রম। প্লটটি গল্পের চরিত্রগুলির মধ্যে সংঘর্ষ এবং সমাধানের দিকে পরিচালিত করে। প্লটটি সাধারণত একটি শুরু, একটি মাঝামাঝি, এবং একটি শেষ দিয়ে গঠিত হয়।
- থিম: গল্পের থিম হল গল্পের কেন্দ্রীয় ধারণা বা বার্তা। থিমটি সাধারণত গল্পের চরিত্রগুলির মধ্যে সংঘর্ষ এবং সমাধানের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
- ভাষা: গল্পের ভাষা হল গল্পটি যে ভাষায় লেখা হয়েছে। গল্পের ভাষাটি পাঠককে গল্পে নিমজ্জিত করতে সাহায্য করে, এবং এটি গল্পের চরিত্রগুলির ব্যক্তিত্ব এবং আবেগ প্রকাশ করতে সাহায্য করে।
- উপমা এবং রূপক: গল্পগুলিতে প্রায়ই উপমা এবং রূপক ব্যবহার করা হয়। উপমা হল দুটি ভিন্ন জিনিসের তুলনা করা যা তাদের মধ্যে কিছু মিল আছে। রূপক হল একটি জিনিসকে অন্য জিনিসের সাথে সমতুল্য বলে মনে করা। উপমা এবং রূপকগুলি গল্পকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে, এবং এগুলি পাঠককে গল্পের অর্থ বুঝতে সাহায্য করে।
হুমায়ূন আহমেদ
বাংলা সাহিত্যের এক কিংবদন্তী হুমায়ূন আহমেদ। বিংশ শতাব্দীর বাঙালি লেখকদের মধ্যে তিনি অন্যতম স্থান দখল করে আছেন। একাধারে ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার ও নাট্যকার এ মানুষটিকে বলা হয় বাংলা সায়েন্স ফিকশনের পথিকৃৎ। নাটক ও চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবেও তিনি বেশ সমাদৃত। বাদ যায়নি গীতিকার কিংবা চিত্রশিল্পীর পরিচয়ও। সৃজনশীলতার প্রতিটি শাখায় তাঁর সমান বিচরণ ছিল। অর্জন করেছেন সর্বোচ্চ সফলতা এবং তুমুল জনপ্রিয়তা।
স্বাধীনতা পরবর্তী বাঙালি জাতিকে হুমায়ুন আহমেদ উপহার দিয়েছেন তাঁর অসামান্য বই, নাটক এবং চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্রের বদৌলতে মানুষকে করেছেন হলমুখী, তৈরি করে গেছেন বিশাল পাঠকশ্রেণীও। তাঁর নির্মিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘আগুনের পরশমনি’ দেখতে দর্শকের ঢল নামে। এছাড়া শ্যামল ছায়া, শ্রাবণ মেঘের দিন, দুই দুয়ারী, চন্দ্রকথা, ঘেটুপুত্র কমলা প্রভৃতি চলচ্চিত্র সুধীজনের প্রশংসা পেয়েছে। অনন্য কীর্তি হিসেবে আছে তাঁর নাটকগুলো। এইসব দিনরাত্র, বহুব্রীহি, আজ রবিবার, কোথাও কেউ নেই, অয়োময়ো আজও নন্দিত দর্শকমনে।
পুতুল গল্পটিতে জীবনের সঙ্গে সম্পর্ক খুঁজি, গল্পের বৈশিষ্ট্য খুঁজি
হিমু, মিসির আলি, শুভ্রর মতো চরিত্রের জনক তিনি। রচনা করেছেন নন্দিত নরকে, শঙ্খনীল কারাগার, জোছনা ও জননীর গল্পের মতো সব মাস্টারপিস। শিশুতোষ গ্রন্থ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক রচনা, বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী মিলিয়ে হুমায়ূন আহমেদ এর বই সমূহ এর পাঠক সারাবিশ্বে ছড়িয়ে আছে। হুমায়ূন আহমেদ এর বই সমগ্র পৃথিবীর নানা ভাষায় অনূদিতও হয়েছে।
সৃজনশীল কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে অর্জন করেছেন বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৮১), একুশে পদক (১৯৯৪), হুমায়ুন কাদির স্মৃতি পুরস্কার (১৯৯০), লেখক শিবির পুরস্কার (১৯৭৩), মাইকেল মধুসূধন দত্ত পুরস্কার (১৯৮৭), জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (১৯৯৩ ও ১৯৯৪), বাচসাস পুরস্কার (১৯৮৮), শিশু একাডেমি পুরস্কার, জয়নুল আবেদীন স্বর্ণপদকসহ নানা সম্মাননা।
হুমায়ূন আহমেদ এর বই, চলচ্চিত্র এবং অন্যান্য রচনা দেশের বাইরেও মূল্যায়িত হয়েছে৷ ১৯৪৮ সালের ১৩ই নভেম্বর, তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে, নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলায় কুতুবপুরে পীরবংশে জন্মগ্রহণ করেন হুমায়ূন আহমেদ। কোলন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটনের বেলভ্যু হাসপাতালে তিনি ইহলোক ত্যাগ করেন। গাজীপুরে তাঁর প্রিয় নুহাশ-পল্লীতে তাঁকে সমাহিত করা হয়।
আরো দেখুন-
- ম্যাজিক গল্পটির সারসংক্ষেপ, গল্পের সাথে জীবনের সঙ্গে সম্পর্ক খুঁজি
- আমরা সবাই রাজা গানটি বুঝে লিখি ও গানের বৈশিষ্ট্য খুঁজি
- আমার বাড়ি কবিতা বুঝে লিখি, জীবনের সঙ্গে সম্পর্ক খুঁজি
- আমি সাগর পাড়ি দেবো কবিতার মিল-শব্দ খুঁজি
- রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন পড়ে কী বুঝলাম
- কীটপতঙ্গের সঙ্গে বসবাস পড়ে কী বুঝলাম
- আমার দেখা নয়াচীন পড়ে কী বুঝলাম
- সাত ভাই চম্পা পড়ে কী বুঝলাম
এছাড়াও সকল বিষয়ের নমুনা উত্তর সমূহ পাওয়ার জন্য আমাদের ফেসবুক গ্রুপ জয়েন করে নাও ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করো এবং ফেসবুক পেজটি লাইক এবং ফলো করে রাখুন। তোমার বন্ধুকে বিষয়টি জানানোর জন্য আমাদের ওয়েবসাইটটি তার খাতায় নোট করে দিতে পারো।