প্রিয় পাঠক চলুন আজকে জেনে নেওয়া যাক নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো নির্বাচনে নির্বাচনী এজেন্ট ও পোলিং এজেন্ট সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে। দেখে নেওয়া যাক নির্বাচন এজেন্ট কারা আর পোলিং এজেন্ট কারা এবং তাদের দায়িত্ব গুলো কি? কি? সেই সাথে আমরা জানার চেষ্টা করব নির্বাচন এজেন্ট কিভাবে নিয়োগ দেয়া যায় এবং পোলিং এজেন্ট কিভাবে নিয়োগ দেয়া যায় সে সংক্রান্ত বিধিবিধান নিয়ে।
গত পর্বে আমরা আলোচনা করেছিলাম নির্বাচন কমিশন কর্তৃক সময়সূচী জারী এবং রিটার্নিং অফিসারের অনুসরণীয় এবং করণীয় দায়িত্বাবলী সংক্রান্ত বিষয়ে। আশা করছি এই বিষয়ে আপনি ধারণা লাভ করেছেন। তাহলে চলুন আজকের আলোচনায় যাওয়া যায়।
নির্বাচনী এজেন্ট

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর ২১ অনুচ্ছেদের (১) দফা অনুসারে একজন প্রার্থী সংসদে সদস্য নির্বাচিত হইবার যােগ্য যে কোন ব্যক্তিকে তাহার নির্বাচন এজেন্ট নিয়ােগ করিতে পারিবেন।
তবে তাঁহাকে নিয়ােগ সংক্রান্ত লিখিত নােটিশ রিটার্নিং অফিসারের নিকট প্রেরণ করিতে হইবে। উক্ত নােটিশে নির্বাচনী এজেন্টের নাম, পিতার নাম এবং ঠিকানা উল্লেখ থাকিতে হইবে।
নির্বাচন এজেন্টের নিয়ােগপত্র প্রার্থী যে কোন সময় লিখিতভাবে বাতিল অথবা প্রত্যাহার করিতে পারিবেন এবং তাহার স্থলে অন্য একজনকে নিয়ােগ করিতে পারিবেন।
যদি কোন নির্বাচন এজেন্টের মৃত্যু হয় তাহা হইলেও তাহার স্থলে প্রার্থী অন্য একজনকে নির্বাচনী এজেন্ট নিয়ােগ করিতে পারিবেন।
উল্লেখ্য যে, নির্বাচনী এজেন্ট নিয়ােগ করিতে হইলে ঐ ব্যক্তিকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হইবার যােগ্যতাসম্পন্ন হইতে হইবে। যে ক্ষেত্রে প্রার্থী কোন নির্বাচন এজেন্ট নিয়ােগ করিবেন না সেক্ষেত্রে তিনি নিজেই তাহার নির্বাচনী এজেন্ট বলিয়া আইনের চোখে গণ্য হইবেন।
পােলিং এজেন্ট

(১) গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর ২২(১) অনুচ্ছেদের বিধান অনুসারে প্রত্যেক প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী অথবা তাহার নির্বাচনী এজেন্ট ভােটগ্রহণের পূর্বে প্রত্যেক ভােটকক্ষের জন্য পােলিং এজেন্ট নিয়ােগ করিতে পারিবেন।
উক্ত এজেন্ট নিয়ােগ সংক্রান্ত লিখিত নােটিশ তাহাকে প্রিজাইডিং অফিসারের নিকট প্রেরণ করিতে হইবে। প্রিজাইডিং অফিসার কোন পােলিং এজেন্টকে গ্রহণ করিবেন না যদি না তিনি তাহাকে নিযুক্তকারী ব্যক্তি কর্তৃক প্রদত্ত তাহার নাম এবং যে প্রার্থীর জন্য তিনি পােলিং এজেন্ট নিযুক্ত হইয়াছেন তাহার নাম সম্বলিত একটি পরিচয়পত্র দেখান।
তবে প্রিজাইডিং অফিসারকে এই মর্মে জানাইয়া দিতে হইবে যে, একটি ভােটকক্ষের জন্য একজন প্রার্থীর কেবলমাত্র একজন পােলিং এজেন্ট গ্রহণ করিতে হইবে।
(২) গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর বর্ণিত নির্বাচন সংক্রান্ত কোন কাজ রিটার্নিং অফিসার ও প্রিজাইডিং অফিসার কর্তৃক প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী অথবা তাঁহার নির্বাচনী এজেন্ট পােলিং এজেন্টের উপস্থিতিতে সম্পন্ন করিবার বিধান রহিয়াছে।
মনে রাখিবেন যে, যদি কোন প্রার্থী অথবা তাহার নির্বাচনী এজেন্ট অথবা পােলিং এজেন্ট রিটার্নিং অফিসার ও প্রিজাইডিং অফিসার কর্তৃক কোন কাজ সম্পাদনের সময় উপস্থিত থাকিতে ব্যর্থ হন তাহা হইলেও উক্তরূপ অনুপস্থিতির দরুন বৈধভাবে সম্পাদিত ঐ সকল কাজ আইনসিদ্ধ বলিয়া গণ্য হইবে।
(৩) নির্বাচন কমিশন হইতে নির্বাচন এজেন্ট এবং পােলিং এজেন্টদের দায়িত্বাবলী সম্পর্কে বিশেষ নির্দেশাবলী লিফলেট আকারে প্রস্তুত করা হইয়াছে যাহা যথাসময়ে রিটার্নিং অফিসারের মাধ্যমে নির্বাচনী এজেন্ট এবং পােলিং এজেন্টদের অনুসরণের জন্য বিতরণ করা হইবে।
নির্বাচনী এজেন্ট এবং পােলিং এজেন্ট নির্বাচনী এজেন্ট: এই তথ্যটি কোনো প্রকার ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে নয় বরং জনগণের কল্যাণে বহুল প্রচারের লক্ষ্যে অধ্যয়ন ডট কম এর পাঠকদের সুবিদার্থে প্রকাশ করা হয়েছে। এটি সরাসরি বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন এর সূত্র থেকে সংগৃহিত। এতে কারও কোনো আপত্তি থাকলে রিমুভ করার অনুরোধ করতে পারেন: [email protected] অথবা সরাসরি আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।
অধ্যয়ন ডট কম এর সকল আপডেট সবার আগে পাওয়ার জন্য আমাদের ফেসবুক পেইজটি লাইক ও ফলো রাখুন এবং ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করে রাখুন। প্রতিদিন শিক্ষা সংক্রান্ত সকল তথ্য পেতে আমাদের দৈনিক শিক্ষা ক্যাটাগরি দেখুন।