একাত্তরের দিনগুলি পড়ে কী বুঝলাম

একাত্তরের দিনগুলি পড়ে কী বুঝলাম! ষষ্ঠ শ্রেণির প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা তোমাদের জন্য আজ আলোচনা করব বাংলা বিষয়ের পঞ্চম অধ্যায় বুঝে পড়ি লিখতে শিখি প্রথম পরিচ্ছেদের প্রয়োগিক লেখা একাত্তরের দিনগুলিতে দেয়া প্রথম কাজ পড়ে কি বুঝলাম।

ছুটির পর তোমাদের প্রথম ক্লাসে বাংলা বিষয়ের প্রথম পাঠ হবে পঞ্চম অধ্যায় বুঝে পড়ি লিখতে শিখি এর প্রথম পরিচ্ছেদ প্রয়োগিক লেখা জাহানারা ইমামের একাত্তরের দিনগুলি।

এখানে শিক্ষক তোমাদেরকে অনুচ্ছেদটি পড়ার পর তোমরা কি বুঝলে সে বিষয়ে পাঁচটি প্রশ্ন জিজ্ঞেস করবেন। এগুলো তোমরা দলে বিভক্ত হয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে উদঘাটন করতে হবে।

একাত্তরের দিনগুলি

এই অংশটি লেখক জাহানারা ইমামের ৭১ এর দিনগুলি নামক বই থেকে নেয়া হয়েছে। লেখক জাহানারা ইমামকে শহীদ জননী বলা হয় কারণ জাহানারা ইমামের পুত্রর রুমি গেরিলা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং শহীদ হয়েছিলেন।

লেখক এর একাত্তরের দিনগুলি লেখায় ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে বাঙ্গালী জাতির উপর হওয়া নির্মম নির্যাতন এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে বাঙ্গালী তামাল ছেলেদের সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে অর্জিত মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বর্ণিত হয়েছে।

১৯৭১ সালে ঘটে যাওয়া মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রতিদিনের ইতিহাস বিবরণ সহ এসেছে লেখক এর এই লেখায়। পাঠ শেষে শিক্ষক তোমাদেরকে একাত্তরের দিনগুলির এই অনুচ্ছেদ গুলো পড়ার পর কি বুঝতে পারলে সেটি জানতে চাইবে।

পড়ে কী বুঝলাম

চলো তাহলে এবার তোমাদের সুবিধার্থে একাত্তরের দিনগুলি পড়ে কি বুঝলাম বিষয়ে আলোচনা করা যাক। আমরা নিজের প্রশ্নগুলোর আলোকে একটি করে নমুনা উত্তর প্রদান করব তোমরা নিজেদের মেধা খাটিয়ে নতুন নতুন ধারণা নোট করবে এবং দলগত কাজের সময় সেটি লিখে শিক্ষককে দেখাবে।

ক. এটি কোন বিষয়ে লেখা হয়েছে?

উত্তর: মুক্তিযুদ্ধের পূর্বকালীন উত্তেজনা আন্দোলন ও আতঙ্কের বিষয় নিয়ে লেখা।

খ. লেখাটি কোন সময়ের ও কয়দিনের ঘটনা?

উত্তর: উনিশ শ একাত্তর সালের তিন দিনের ঘটনা।

গ. লেখক কী কী কাজের উল্লেখ করেছেন?

উত্তর: নাশতা বানানো, স্বাধীন বাংলাদেশের নতুন পতাকা ওড়ানো, শহিদ মিনারে গিয়ে আন্দোলনে অংশগ্রহণ ইত্যাদি কাজ।

ঘ. লেখার তিন অংশের শুরুতে তারিখ দেওয়া কেন?

উত্তর: রোজনামচা বা দিনপঞ্জিমূলক রচনা বলে।

ঙ. এই লেখা থেকে নতুন কী কী জানতে পারলে বা কোন বিষয়টি তোমার কাছে বিশেষভাবে লক্ষ্যনীয় মনে হয়েছে?

উত্তর: এই লেখা থেকে অনেক কিছু জানতে পেরেছি। যেমন মুক্তিযুদ্ধের প্রাক্বালে সকলশ্রেণি-পেশা ও সকল মানুষ কীভাবে আতঙ্কিত ও উত্তেজিত ছিলেন; কীভাবে ছোট্ট রুমী গাড়ির কাচে স্টিকার লাগিয়ে নিজের আবেগ ও সাহস প্রকাশ করছে।

২৩ মার্চ যে প্রতিরোধ দিবস এবং শাপলা ফুল যে সংগ্রামী বাংলার প্রতীক তাও এখান থেকে জানতে পেরেছি। বিশেষভাবে লক্ষণীয় মনে হয়েছে স্বাধীনতা সংগ্রামে জনমনে বিপুল সাড়া ও উত্তেজনার ঘটনা।

প্রিয় পাঠক, এই ছিল তোমাদের জন্য একাত্তরের দিনগুলি পড়ে কি বুঝলাম সংক্রান্ত আলোচনা। আশা করছি এটা তোমাদের লেখাপড়ায় অনেক কাজে আসবে। তোমরা মনোযোগ সহকারে এগুলো নোট করে ক্লাসের দলগত কাজের সময় শিক্ষককে পড়ে শোনাবে এবং দেখাবে।

পরবর্তী আলোচনায় আমরা একাত্তরের দিনগুলি রচনায় লেখক যা বলেছেন তা নিজের ভাষায় বল এবং নিজের ভাষায় লেখ সংক্রান্ত বিষয়ে জানব। সেই পর্যন্ত আমাদের সাথেই থাকো এবং আমাদের অধ্যায়ন ফেসবুক পেইজ অধ্যায়ন ফেসবুক গ্রুপ এবং অধ্যায়ন ইউটিউব চ্যানেল টি সাবস্ক্রাইব করে রাখুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: এই কনটেন্ট কপি করা যাবেনা! অন্য কোনো উপায়ে কপি করা থেকে বিরত থাকুন!!!