এখন আমরা আগামীর জন্য তৈরি হই শীর্ষক অ্যাসাইনমেন্টই করব। এটি সপ্তম শ্রেণীর জীবন জীবিকা বিষয়ের বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন দ্বিতীয় দিনের নির্ধারিত কাজ। এটি সম্পূর্ণ করার মাধ্যমে আমরা আমাদের দক্ষতা ও যোগ্যতা পর্যালোচনা করে পরবর্তী সময়ের জন্য নিজের ক্যারিয়ার পরিকল্পনা করতে পারব।
ইতোমধ্যে আমরা তোমাদের জীবন-জীবিকা প্রথম দিনের এসাইনমেন্ট এলাকাভিত্তিক সামাজিক সমস্যার সমাধান খুঁজি এবং হেলথ ক্যাম্পের প্রস্তুতি নিই সংক্রান্ত কাজটি করেছি। আশা করছি তোমরা এর মাধ্যমে বুঝতে পেরেছ কিভাবে এই বিষয়ের অন্যান্য এসাইনমেন্ট গুলো করতে হবে।
সপ্তম শ্রেণি জীবন ও জীবিকা দ্বিতীয় দিনের নির্ধারিত কাজ
পূর্ব নির্ধারিত নির্দেশনা ও রুটিন অনুযায়ী দেশব্যাপী সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জীবন জীবিকা পাঠ্য বইয়ের বাৎসরিক সামষ্টিক মূল্যায়নের দ্বিতীয় দিনের নির্ধারিত কাজ হিসেবে শিক্ষার্থীদের আগামী দিনের জন্য প্রস্তুত হয় শীর্ষক একটি কর্মকান্ড নির্ধারণ করা হয়েছে।
সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের দেয়া নির্দেশনা এবং শিক্ষকদের সহায়তায় জীবন জীবিকা পাঠ্য বইয়ের বাৎসরিক সামষ্টিক মূল্যায়নের অংশ হিসেবে দ্বিতীয় দিনে আগামীর জন্য প্রস্তুত হয়ে শীর্ষক অ্যাসাইনমেন্ট সম্পন্ন করবে। অ্যাসাইনমেন্ট সম্পন্ন করার কার্যক্রম পরিচালনা করে শিক্ষক তাদেরকে মূল্যায়ন করবেন।
আগামীর জন্য তৈরি হই
এই পর্যায়ে আমরা জানবো সপ্তম শ্রেণীর জীবন জীবিকা বই এর আগামীর জন্য তৈরি হয় শীর্ষক নির্ধারিত কাজটি করার নিয়মাবলী যেটি নির্দেশনায় উল্লেখ করা আছে সেগুলো সম্পর্কে।
১. নিজেকে জানা (২০ মিনিট);
২. কাক্ষিত পেশার জন্য পরিকল্পনা প্রণয়ণ (৩০ মিনিট);
৩. ভবিষ্যতের গল্প (৩০ মিনিট);
সপ্তম শ্রেণীর জীবন জীবিকা চূড়ান্ত মূল্যায়নের দ্বিতীয় দিনে আগামীর জন্য তৈরি হয় শিরোনামে অ্যাসাইনমেন্ট সম্পন্ন করতে গিয়ে শিক্ষার্থীরা উপরুক্ত তিনটি কাজ নির্ধারিত সময় অনুযায়ী শেষ করবে
নির্দেশনা কিছু ফরমেট দেওয়া আছে সেগুলো অনুসরণ করে উপরোক্ত তিনটি কাজ করে নোটগুলো শিক্ষকের নিকট জমা দিবে এবং কাজ করার সময় শিক্ষকরা তাদের অর্জিত জ্ঞানগুলো মূল্যায়ন করবেন।
১. নিজেকে জানা (২০ মিনিট);
শিক্ষার্থীদের নিজের পছন্দ বা আগ্রহ এবং নিজের সামর্থ্য বা দক্ষতা চিহ্নিত করতে বলুন। পূর্বের নির্দেশনা অনুযায়ী নিজ সম্পর্কে অভিভাবক ও বন্ধু বা আত্মীয়দের ধারণা ছকে লিখতে বলুন (ছকটি বোর্ডে এঁকে দিন)।

নিজের পছন্দ ও আগ্রহ
১. পড়াশোনা: পাঠ্যপুস্তক পড়া, গল্প পড়া, কবিতা পড়া, ম্যাগাজিন পড়া, ইতিহাস পড়া, বিজ্ঞান পড়া, ভ্রমণকাহিনী পড়া, উপন্যাস পড়া, ছোটগল্প পড়া, নাটক পড়া, প্রবন্ধ পড়া, পত্রিকা পড়া, ধর্মগ্রন্থ পড়া, ইত্যাদি।
২. খেলাধুলা: ফুটবল খেলা, ক্রিকেট খেলা, ব্যাডমিন্টন খেলা, টেনিস খেলা, ভলিবল খেলা, সাঁতার কাটা, জিমন্যাস্টিকস করা, সাইকেল চালানো, দৌড়ানো, ইত্যাদি।
৩. সৃজনশীল কাজ: ছবি আঁকা, গান গাওয়া, নাচ করা, কবিতা লেখা, গল্প লেখা, স্ক্রিপ্ট লেখা, বাদ্যযন্ত্র বাজানো, ইত্যাদি।
৪. প্রযুক্তি: কম্পিউটার ব্যবহার করা, মোবাইল ফোন ব্যবহার করা, ইন্টারনেট ব্যবহার করা, প্রোগ্রামিং করা, রোবট নির্মাণ করা, ইত্যাদি।
৫. বন্ধুবান্ধব ও পরিবার: বন্ধুবান্ধবদের সাথে সময় কাটানো, পরিবারের সাথে সময় কাটানো, আড্ডা দেওয়া, গল্প করা, খেলাধুলা করা, ইত্যাদি।
৬. ভ্রমণ: নতুন নতুন জায়গা দেখা, নতুন নতুন সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে চাওয়া, ইত্যাদি।
৭. মানবসেবা: অন্যদের সাহায্য করা, সামাজিক কাজ করা, ইত্যাদি।
একজন শিক্ষার্থীর পছন্দ ও আগ্রহ তার ব্যক্তিত্ব, আবেগ, অভিজ্ঞতা এবং পরিবেশের উপর নির্ভর করে। তাই একজন শিক্ষার্থীর পছন্দ ও আগ্রহের তালিকা নির্দিষ্ট করে বলা যায় না।
নিজের দক্ষতা ও সামর্থ্য
একজন শিক্ষার্থীর পছন্দ ও আগ্রহের ভিত্তিতে যেসব দক্ষতা ও সামর্থ্য থাকতে পারে তার একটি তালিকা নিম্নরূপ:
পড়াশোনা
১. জ্ঞান: বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান, বিশেষ করে যে বিষয়ে আগ্রহী।
২. গবেষণা: নতুন বিষয় সম্পর্কে গবেষণা করার দক্ষতা।
৩. লেখা: লেখার দক্ষতা, যেমন পাঠ্যপুস্তক, গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ ইত্যাদি লেখা।
ভাষা: বিভিন্ন ভাষা শেখার দক্ষতা।
খেলাধুলা
১. শারীরিক দক্ষতা: শক্তি, গতি, সমন্বয়, নমনীয়তা ইত্যাদি শারীরিক দক্ষতা।
২. দলগত কাজ: দলগত খেলাধুলার মাধ্যমে দলগত কাজের দক্ষতা অর্জন।
৩. প্রতিযোগিতা: প্রতিযোগিতামূলক খেলাধুলার মাধ্যমে প্রতিযোগিতামূলক দৃষ্টিভঙ্গি এবং মানসিকতা গঠন।
সৃজনশীল কাজ
১. কল্পনাশক্তি: নতুন ধারণা এবং চিন্তাভাবনা করার দক্ষতা।
২. সৃজনশীল প্রকাশ: শিল্প, সঙ্গীত, কবিতা, নাটক ইত্যাদির মাধ্যমে সৃজনশীল প্রকাশের দক্ষতা।
৩. সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনা: শিল্পকর্ম, সঙ্গীত, সাহিত্য ইত্যাদির সমালোচনামূলকভাবে বিশ্লেষণ করার দক্ষতা।
প্রযুক্তি
১. কম্পিউটার দক্ষতা: কম্পিউটার ব্যবহার, প্রোগ্রামিং, অ্যাপ্লিকেশন তৈরি ইত্যাদি দক্ষতা।
২. প্রযুক্তিগত দক্ষতা: নতুন প্রযুক্তি সম্পর্কে জানতে এবং ব্যবহার করার দক্ষতা।
৩. সমস্যা সমাধান: প্রযুক্তিগত সমস্যা সমাধানের দক্ষতা।
বন্ধুবান্ধব ও পরিবার
১. সম্পর্ক গঠন: অন্যদের সাথে সম্পর্ক গঠন এবং বজায় রাখার দক্ষতা।
২. যোগাযোগ: অন্যদের সাথে কার্যকরভাবে যোগাযোগ করার দক্ষতা।
৩. সহযোগিতা: অন্যদের সাথে সহযোগিতা করে কাজ করার দক্ষতা।
ভ্রমণ
১. নতুন সংস্কৃতি সম্পর্কে জানা: নতুন সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে এবং বুঝতে চাওয়ার দক্ষতা।
২. অন্যদের সাথে যোগাযোগ: বিভিন্ন সংস্কৃতির মানুষের সাথে যোগাযোগ করার দক্ষতা।
৩. সহনশীলতা: বিভিন্ন সংস্কৃতির মানুষের প্রতি সহনশীল হওয়ার দক্ষতা।
মানবসেবা
১. সহানুভূতি: অন্যদের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়ার দক্ষতা।
২. দয়া: অন্যদের সাহায্য করার ইচ্ছা।
৩. সহযোগিতা: অন্যদের সাথে সহযোগিতা করে কাজ করার দক্ষতা।
একজন শিক্ষার্থীর পছন্দ ও আগ্রহের ভিত্তিতে তার দক্ষতা ও সামর্থ্য বিকশিত হতে পারে। শিক্ষার্থীদের তাদের পছন্দ ও আগ্রহের বিষয়ে জানতে এবং সেগুলোকে বিকাশের জন্য চেষ্টা করা উচিত।
উপরোক্ত তথ্যগুলো পর্যালোচনা করে তোমার মধ্যে যে সকল আগ্রহ এবং কাজের দক্ষতা রয়েছে অথবা তোমার পরিবার তোমার সম্পর্কে যা ভাবে সে সে বিষয়ে লিখে শিক্ষক এর নিকট নিগট নিজের ছক অনুযায়ী জমা দেওয়া।
১. নিজেকে জানা সংক্রান্ত কাজের সমাধান
নিজের পছন্দ ও আগ্রহ | দক্ষতা ও সামর্থ্য | নিজ সম্পর্কে অন্যের ধারণা বা প্রত্যাশা |
ছবি আঁকা, গিটার বাজানো, মিউজিক সোনা, ক্রিকেট খেলা, ফুটবল খেলা, দৌড়ানো, সাঁতার কাটা, গল্প লেখা, কোডিং করা, গ্রাফিক্স ডিজাইনিং করা, কনটেন্ট ক্রিয়েশন | ভালো ছবি আঁকতে পারি, সুন্দর গিটার বাজাতে, ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি, ফুটবল খেলায় পারদর্শী, জোরে দৌড়াতে পারি, নিপুণভাবে সাঁতার কাটতে পারি, গল্প লিখতে পারি, কম্পিউটারে কোডিং করতে পারি, গ্রাফিক্স ডিজাইন করতে পারি, ভিডিও তৈরি করতে পারি | পরিবারের অভিভাবকদের প্রত্যাশা আমি যেন একজন ভালো মানুষ হয়ে উঠি এবং বড় হয়ে ডাক্তার হই আমার বন্ধুদের প্রত্যাশা আমি যেন ভালো ক্রিকেট খেলোয়াড় হই |
খ) কাক্ষিত পেশার জন্য পরিকল্পনা প্রণয়ণ (৩০ মিনিট)
এই পর্যায়ে আমরা নিজের আগ্রহ, দক্ষতা এবং পরিবারের চিন্তাভাবনার উপরে ভিত্তি করে যেই পেশাটি নির্বাচন করেছি নিজের ক্যারিয়ার হিসেবে সেটি জন্য পরিকল্পনা প্রণয়ন করব। এখানে আমরা নিজেকে জানার আলোকে প্রযুক্তি নির্ভর একটি পেশা নির্বাচন করব এরপর SWOT ডায়াগ্রাম ব্যবহার করে নির্বাচিত পেশায় নিজের সামর্থ্য, দুর্বলতা, সুযোগ ও চ্যালেঞ্জ চিহ্নিত করে অ্যাসাইনমেন্ট তৈরি করব।
এবং আমাদের নির্বাচিত পেশায় নিজেকে গড়ে তোলার জন্য স্বল্প মেয়াদী, মধ্যমেয়াদী ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা তৈরি করব।
নির্বাচিত পেশা: কম্পিউটার সফটওয়্যার ডেভলপার
আমার দক্ষতা, আগ্রহ, সামর্থ্য এবং ভবিষ্যৎ এনালাইসিস করে কম্পিউটার সফটওয়্যার ডেভলপার হওয়া সংক্রান্ত পেশাটি নির্বাচন করেছি।
SWOT ডায়াগ্রাম ব্যবহার করে নির্বাচিত পেশায় নিজের সামর্থ্য, দুর্বলতা, সুযোগ ও চ্যালেঞ্জ চিহ্নিত করা
সামর্থ্য
- কম্পিউটার প্রযুক্তিতে দক্ষতা
- প্রোগ্রামিংয়ের প্রতি আগ্রহ
- সমস্যা সমাধানে দক্ষতা
- দলগত কাজের দক্ষতা
- যোগাযোগ দক্ষতা
দুর্বলতা
- নতুন প্রযুক্তিতে দক্ষতা কম
- সময়ের সাথে মানিয়ে নিতে সমস্যা
- চাপের মধ্যে কাজ করার দক্ষতা কম
সুযোগ
- প্রযুক্তির দ্রুত অগ্রগতি
- সফটওয়্যার ডেভেলপারের চাহিদা বৃদ্ধি
- বিশ্বব্যাপী কর্মসংস্থানের সুযোগ
চ্যালেঞ্জ
- প্রতিযোগিতামূলক বাজার
- প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হবে
- দীর্ঘ সময় কম্পিউটারের সামনে বসে কাজ করতে হয়
বিশ্লেষণ
সামর্থ্য
কম্পিউটার প্রযুক্তিতে দক্ষতা এবং প্রোগ্রামিংয়ের প্রতি আগ্রহ হল একজন সফল সফটওয়্যার ডেভেলপারের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গুণাবলী। এছাড়াও, সমস্যা সমাধানে দক্ষতা, দলগত কাজের দক্ষতা এবং যোগাযোগ দক্ষতাও একজন সফটওয়্যার ডেভেলপারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
দুর্বলতা
নতুন প্রযুক্তিতে দক্ষতা কম, সময়ের সাথে মানিয়ে নিতে সমস্যা এবং চাপের মধ্যে কাজ করার দক্ষতা কম হল একজন সফটওয়্যার ডেভেলপারের জন্য কিছু দুর্বলতা। এই দুর্বলতাগুলো দূর করার জন্য একজন সফটওয়্যার ডেভেলপারকে অবশ্যই অধ্যয়ন এবং অনুশীলনের মাধ্যমে নিজের দক্ষতা উন্নত করতে হবে।
সুযোগ
প্রযুক্তির দ্রুত অগ্রগতি, সফটওয়্যার ডেভেলপারের চাহিদা বৃদ্ধি এবং বিশ্বব্যাপী কর্মসংস্থানের সুযোগ হল একজন সফটওয়্যার ডেভেলপারের জন্য সুযোগ। এই সুযোগগুলো কাজে লাগাতে একজন সফটওয়্যার ডেভেলপারকে অবশ্যই সর্বশেষ প্রযুক্তি সম্পর্কে জানতে হবে এবং নিজেকে আপডেট রাখতে হবে।
চ্যালেঞ্জ
প্রতিযোগিতামূলক বাজার, প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হবে এবং দীর্ঘ সময় কম্পিউটারের সামনে বসে কাজ করতে হয় হল একজন সফটওয়্যার ডেভেলপারের জন্য কিছু চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করার জন্য একজন সফটওয়্যার ডেভেলপারকে অবশ্যই দক্ষ এবং আত্মবিশ্বাসী হতে হবে।
উপসংহার
সামগ্রিকভাবে, কম্পিউটার সফটওয়্যার ডেভেলপার একটি সম্ভাবনাময় পেশা। তবে, এই পেশায় সফল হতে হলে একজন সফটওয়্যার ডেভেলপারকে অবশ্যই তার দক্ষতা এবং দুর্বলতাগুলো চিহ্নিত করতে হবে এবং সেগুলো দূর করার জন্য পদক্ষেপ নিতে হবে।
নির্বাচিত পেশায় নিজেকে গড়ে তোলার জন্য বিভিন্ন মেয়াদের পরে কল্পনা
এই পর্যায়ে আমরা আমাদের নির্বাচিত পেশায় নিজেকে গড়ে তোলার জন্য ছক অনুযায়ী স্বল্প মেয়াদী, দীর্ঘমেয়াদী ও ম্যাথমেটি পরিকল্পনা তৈরি করব।
স্বল্পমেয়াদি (১ বছর)
১. কম্পিউটার প্রযুক্তির উপর জ্ঞান ও দক্ষতা উন্নত করা:
ক. কম্পিউটার প্রযুক্তির উপর একটি ভালো সার্টিফিকেট কোর্স করা।
খ. কম্পিউটার প্রযুক্তির উপর বিভিন্ন বই ও ওয়েবসাইট থেকে পড়াশোনা করা।
গ. কম্পিউটার প্রযুক্তির উপর বিভিন্ন প্রজেক্টে কাজ করা।
২. প্রোগ্রামিংয়ের বিভিন্ন ভাষা ও পদ্ধতি সম্পর্কে শেখা:
ক. প্রোগ্রামিংয়ের একটি জনপ্রিয় ভাষা, যেমন জাভা, পাইথন বা সি++ শিখতে শুরু করা।
খ. প্রোগ্রামিংয়ের বিভিন্ন পদ্ধতি, যেমন ওবজেক্ট-ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিং, ফাংশনাল প্রোগ্রামিং বা প্রোটোটাইপ-ভিত্তিক প্রোগ্রামিং সম্পর্কে শেখা।
৩. সমস্যা সমাধানে দক্ষতা উন্নত করা:
ক. সমস্যা সমাধানের বিভিন্ন কৌশল সম্পর্কে পড়াশোনা করা।
খ. সমস্যা সমাধানের উপর বিভিন্ন প্রজেক্টে কাজ করা।
৪. দলগত কাজের দক্ষতা উন্নত করা:
ক. দলগত কাজের উপর বিভিন্ন বই ও ওয়েবসাইট থেকে পড়াশোনা করা।
খ. দলগত কাজের উপর বিভিন্ন প্রজেক্টে কাজ করা।
৫. যোগাযোগ দক্ষতা উন্নত করা:
ক. যোগাযোগ দক্ষতার উপর বিভিন্ন বই ও ওয়েবসাইট থেকে পড়াশোনা করা।
খ. যোগাযোগ দক্ষতার উপর বিভিন্ন প্রজেক্টে কাজ করা।
মধ্যমেয়াদি (২ থেকে ৪ বছর)
১. উচ্চশিক্ষা বা প্রশিক্ষণ গ্রহণ করা:
ক. কম্পিউটার বিজ্ঞান বা সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করা।
খ. সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টে বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ গ্রহণ করা।
২. বিভিন্ন প্রজেক্টে কাজ করার অভিজ্ঞতা অর্জন করা:
ক. ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করা।
খ. একটি স্টার্টআপ বা ছোট কোম্পানিতে কাজ করা।
৩. একটি নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জন করা:
ক. ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, মোবাইল ডেভেলপমেন্ট, ডেটা সায়েন্স বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের মতো একটি নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জন করা।
৪. একটি নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানে চাকরির জন্য প্রস্তুত হওয়া:
ক. চাকরির জন্য আবেদন করার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা অর্জন করা।
খ. সাক্ষাৎকারের জন্য প্রস্তুত হওয়া।
দীর্ঘমেয়াদি (৫ থেকে ১০ বছর)
১. একজন অভিজ্ঞ এবং দক্ষ সফটওয়্যার ডেভেলপার হওয়া:
ক. 10+ বছরের অভিজ্ঞতা অর্জন করা।
খ. বিভিন্ন প্রযুক্তি ও পদ্ধতিতে দক্ষতা অর্জন করা।
গ. একটি নেতৃস্থানীয় পদে উন্নীত হওয়া।
২. একটি নেতৃস্থানীয় পদে উন্নীত হওয়া:
ক. ম্যানেজমেন্টের ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জন করা।
খ. একটি দলের নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতা অর্জন করা।
৩. নিজের প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করা:
ক. সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট ব্যবসায়ের জন্য একটি ব্যবসায়িক পরিকল্পনা তৈরি করা।
খ. একটি সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করা।
এই পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়ন করে একজন সফটওয়্যার ডেভেলপার নিজেকে পেশাগতভাবে উন্নত করতে পারবে এবং এই পেশায় সফল হতে পারবে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী গৃহীত পদক্ষেপ
পরিকল্পনা অনুযায়ী ইতোমধ্যেই আমি যে কাজ বা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি বা শুরু করেছি তার অভিজ্ঞতা নিম্নরূপ:
১. কম্পিউটার প্রযুক্তির উপর জ্ঞান ও দক্ষতা উন্নত করার জন্য, আমি একটি ভালো সার্টিফিকেট কোর্স করেছি। এই কোর্সে আমি কম্পিউটার প্রযুক্তির মূল বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছি।
২. প্রোগ্রামিংয়ের বিভিন্ন ভাষা ও পদ্ধতি সম্পর্কে শেখা শুরু করেছি। আমি জাভা ভাষা শিখছি এবং ওবজেক্ট-ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিং সম্পর্কে পড়াশোনা করছি।
৩. সমস্যা সমাধানের বিভিন্ন কৌশল সম্পর্কে পড়াশোনা করেছি। আমি বিভিন্ন প্রজেক্টে কাজ করে সমস্যা সমাধানের দক্ষতা উন্নত করার চেষ্টা করছি।
এই কাজগুলো শুরু করার পর আমি বুঝতে পেরেছি যে সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট একটি চ্যালেঞ্জিং কিন্তু ফলপ্রসূ পেশা। আমি এই পেশায় সফল হতে চাই এবং সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।
এছাড়াও, আমি বিভিন্ন সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট কমিউনিটিতে যুক্ত হয়েছি। এই কমিউনিটিগুলো থেকে আমি অনেক কিছু শিখতে পারছি এবং অন্যান্য সফটওয়্যার ডেভেলপারদের সাথে নেটওয়ার্কিং করতে পারছি।
গ) ভবিষ্যতের গল্প (৩০ মিনিট)
এই পর্যায়ে আমরা সপ্তম শ্রেণীর জীবন ও জীবিকা পাঠ্য বইয়ের দ্বিতীয় দিনের এসাইনমেন্ট আগামীর জন্য প্রস্তুত হয়ে শীর্ষক কাজে ভবিষ্যতের গল্প লিখব। এটি লিখতে গিয়ে আমরা উপরে যে সকল পেশা নির্বাচন করেছি এবং আমাদের যে সকল যোগ্যতা ও দক্ষতা আছে তার ভিত্তিতে গল্পটি রচনা করব।
তোমরা শুধু গল্পটির শিরোনাম থেকে নিচের অংশটুকু লিখলেই হবে
২০৪৩ সাল
সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট একটি অত্যন্ত দ্রুত পরিবর্তনশীল ক্ষেত্র। প্রতিনিয়ত নতুন নতুন প্রযুক্তি ও পদ্ধতি উদ্ভাবিত হচ্ছে। ২০ বছর পর এই পেশায় প্রযুক্তির প্রভাব হবে আরও ব্যাপক।
একদিকে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) এবং মেশিন লার্নিং (ML) সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টকে আরও স্বয়ংক্রিয় করে তুলবে। অনেক কাজ যা এখন মানুষের দ্বারা করা হয় তা AI এবং ML দ্বারা করা সম্ভব হবে। ফলে, সফটওয়্যার ডেভেলপারদের দক্ষতা ও যোগ্যতার চাহিদা বৃদ্ধি পাবে।
অন্যদিকে, ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (VR), আর্টিফিশিয়াল রিয়েলিটি (AR) এবং প্রসারিত রিয়েলিটি (XR) এর মতো নতুন প্রযুক্তি সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টের ক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করবে। এই প্রযুক্তিগুলো ব্যবহার করে সফটওয়্যার ডেভেলপাররা আরও বাস্তবধর্মী এবং ব্যবহারকারী-বান্ধব সফটওয়্যার তৈরি করতে পারবেন।
বাংলাদেশে, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট একটি ক্রমবর্ধমান ক্ষেত্র। ২০৪৩ সাল নাগাদ, এই ক্ষেত্রটিতে আরও বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। এছাড়াও, এই পেশার ফলে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান আসবে।
একটি নির্দিষ্ট উদাহরণ:
২০৪৩ সালে, বাংলাদেশের একটি সফটওয়্যার কোম্পানি একটি নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে একটি ভার্চুয়াল রিয়েলিটি-ভিত্তিক শিক্ষামূলক সফটওয়্যার তৈরি করে। এই সফটওয়্যারটি ব্যবহার করে শিক্ষার্থীরা বাস্তব জগতের মতো পরিবেশে বিভিন্ন বিষয় শিখতে পারে। এই সফটওয়্যারটি বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে পারে।
উপসংহার:
২০ বছর পর সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট একটি আরও উন্নত এবং আধুনিক ক্ষেত্র হবে। এই পেশার ফলে আমাদের দেশে অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং শিক্ষাগত ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসবে।
সপ্তম শ্রেণীর প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা এই ছিল তোমাদের জীবন ও জীবিকা পাঠ্য বইয়ের দ্বিতীয় দিনের এসাইনমেন্ট আগামীর জন্য তৈরি হয় শীর্ষক কাজের সমাধান সমূহ। নিয়মিত আপডেট পেতে আমাদের সাথেই থাকো।
সেশনের নাম | বিষয়ের নাম | অ্যাসাইনমেন্ট শিরোনাম ও সমাধান |
প্রথম সেশন | গণিত | অনুপাত ঠিক রেখে কাগজ দিয়ে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা তৈরি |
দ্বিতীয় সেশন | শিল্প ও সংস্কৃতি | বিজয় দিবসকে উপজীব্য করে এমন শুভেচ্ছা কার্ড |
তৃতীয় সেশন | জীবন ও জীবিকা | আগামীর জন্য তৈরি হই |
অধ্যায়ন ডট কম এর সকল আপডেট সবার আগে পাওয়ার জন্য আমাদের ফেসবুক পেজটি লাইক এবং ফলো করে রাখুন, ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করে রাখুন এবং আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন।
বালো